বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
যখন টাইটানিক ডুবে যাচ্ছিল তখন কাছাকাছি তিনটি জাহাজ ছিল...
.
(১) একটির নাম ছিল "স্যাম্পসন"। মাত্র ৭ মাইল দুরে ছিল সেই জাহাজ। ওরা দেখতে পেয়েছিল টাইটানিকের বিপদ সংকেত, কিন্তু বেআইনি সীল মাছ ধরছিল তারা। জদি ধরা পড়ে যায় তাই তারা উল্টোদিকে জাহাজের মুখ ঘুরিয়ে বহুদুরে চলে যায়।
.
সেই জাহাজটার কথা ভাবুন...দেখবেন আমাদের অনেকের সাথে মিল আছে ৷ আমরা যারা শুধু নিজেদের কথাই ভাবি। অন্যের জীবনে কি এল আর কি গেল তা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই যাদের...তারাই ছিলেন ঐ জাহাজটিতে!
.
(২) দ্বিতীয় জাহাজটির নাম "ক্যালিফোর্নিয়ান"। মাত্র ১৪ মাইল দুরে ছিল টাইটানিকের থেকে সেই সময়। ঐ জাহাজের চারপাশে জমাট বরফ ছিল। ক্যাপ্টেন দেখেছিলেন টাইটানিকের বাঁচতে চাওয়ার আকুতি। কিন্তু পরিস্থিতি অনুকুল ছিল না এবং ঘন অন্ধকার ছিল চারপাশ তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন ঘুমোতে যাবেন। সকালে দেখবেন কিছু করা যায় কিনা। জাহাজটির অন্য সবাই নিজেদের মনকে প্রবোধ দিয়েছিল এই বলে যে ব্যাপারটা এত গুরুতর নয়।
.
সেই জাহাজটাও আমাদের অনেকের মনের কথা বলে। আমাদের মধ্যে যারা মনে করেন একটা ঘটনা ঘটনার পর... ঠিক সেই মুহুর্তে আমাদের কিছুই করার নেই। পরিস্থিতি অনুকুল হলে ঝাঁপিয়ে পড়বো!
.
(৩) শেষ জাহাজটির নাম ছিল "কারপাথিয়ান্স"।
সেই জাহাজটি আসলে যাচ্ছিল উল্টোদিকে। ছিল প্রায় ৫৮ মাইল দুরে যখন ওরা রেডিওতে শুনতে পায় টাইটানিকের যাত্রীদের আর্ত চিৎকার। জাহাজের ক্যাপ্টেন হাঁটুমুড়ে বসে পড়েন ডেকের ওপর। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন যাতে তিনি সঠিক পথ দেখান তাদের। তারপর পুর্ণশক্তিতে বরফ ভেঙ্গে এগিয়ে চলেন টাইটানিকের দিকে।
.
ঠিকই জাহাজটির সেই সিদ্ধান্তের জন্যে টাইটানিকের ৭০৫ যাত্রী প্রাণে বেঁচে যায়!
.
মনে রাখা ভাল
এক হাজার কারণ থাকবে আপনার কাছে দায়িত্ব এড়াবার কিন্তু তাঁরাই মানুষের মনে চিরস্থায়ী জায়গা করে নেবেন যাঁরা অন্যের বিপদের সময় কিছু না ভেবেই ঝাঁপিয়ে পড়বেন ।
.
ইতিহাস হয়তো মনে রাখবেনা কিন্ত মানুষের মুখে মুখে গাওয়া "লোকগাথা"য় প্রশংসিত হবেন তাঁরাই যুগে যুগে।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now