বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন
বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

সীমাহীন ভালোবাসা

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান সাফায়েত হোসেন (০ পয়েন্ট)

X কোনো এক বসন্তের বিকেলে আমার নীল পাঞ্চাবী টা পড়ে হাতে একটা ঘড়ি পড়ে,গায়ে হালকা পারফিউম দিয়ে বের হয়ে গেলাম।গন্তব্য হচ্ছে আমার মনের মানুষ আমার ভালোবাসা নীলার কাছে যাওয়া।নীলার কাছে যাওয়ার আগে লাল গোলাপটা কিনে নিলাম।নীলার যে লাল গোলাপ খুব পছন্দ।একটুপর পৌছে গেলাম নীলার বলা ঠিকানায়।এবার নীলার দিকে আস্তে আস্তে পথ চলছি।যতই নীলার কাছে যাচ্ছি আমার মনের ভিতর হালকা কাপুনি হচ্ছে।প্রতিবার যখনই দেখা করি নীলার সাথে আমার মনের কাপুনি টা হয়।মনের এই কাপুনি টা থাকে হয়তো ভালোবাসার মানুষের প্রতি দুর্বলতার চিহ্ন হিসেবে।পুরোপুরি স্বাভাবিক ভাবে নীলার সামনে আমি নিজেকে উপস্থাপন পারি না কিন্তু তাতে কি একটু দুর্বলতা নিয়েই না হয় থাকলাম।ভালোবাসার কাছে বাইরের বা ভিতরের দুর্বলতা তুচ্ছ।ওই তো নদীর পাশে বসে আছে নীলা।সেই দিকেই আগাচ্ছি আস্তে আস্তে।নীলার কাছে পৌছানোর আগমূহুর্তে শেষে একটা মেহেগনি গাছ পড়লো।গাছের নিচে তার পাতাগুলো পড়ে আছে।পাতাগুলো মাড়িয়ে কিন্তু একটুও কষ্ট না দিয়ে নীলার কাছে অবশেষে হাজির হলাম।তাকিয়ে দেখি নীল শাড়ি পড়ে চুলগুলো ছেড়ে দিয়ে যেন নদীর পাশে একটা পরী বসে আছে।এবার আমি ডাক দিলাম নীলা........... তারপর আমার ডাক শুনে তাকালো আমার দিকে নীলা তারপর...... আকাশের দিকে তাকিয়ে নীলা বললো... নীলা:-নীল এত দেরি করে আসলে তুমি।একটু আকাশের দিকে দেখো নীল আকাশটায় আজ পুরোপরি নীল দেখা যাচ্ছা না হালকা কালো মেঘের সমাবেশ ঘটেছে।তার সাথে সাথে আমার মনে নীল এর জায়গায় একটু কালো মেঘের মতো অভিমান জমেছে। হাতে লাল গোলাপ নিয়ে হাটু গেড়ে বসে নীলার দিকে তাকিয়ে আমি বললাম আমি:-তোমার ওই নীল আকাশের মতো মনের মাঝে হালকা কালো মেঘের বেশে থাকা অভিমান কি লাল গোলাপে দূর হয়ে যাবে? আমার কথা শুনে এবার মুখে একটু হাসির রেখা ফুটলো নীলার।যেন হালকা কালো মেঘের বেশে থাকা একটুকরো অভিমান লাল গোলাপের সুবাশে কেটে গেলো। এবার আর দূর থেকে কথা নয় এবার নীলার পাশে গিয়ে বসলাম।গোলাপ ফুলটা নীলার চুলে গুজে দিলাম। আমি:-নীলা তোমার চুল দেখে এখন মনে হচ্ছে যেন তোমার ঘন কালো চুলের বাগান এ একটা লাল গোলাপ ফুটে আছে। কথাটা শুনে একটু লজ্জা পেল নীলা।মাথাটা একটু নিচে নামালো।আমার হাতটা ধরলো।আমার কাধে ওর মাথাটা দিলো।কিছু বললো না।চুপ করে আকশের পাণে তাকিয়ে থাকলো।আমিও কিছু বললাম না।থাকুক না একটু নিঃস্তব্ধতা আমাদের মাঝে।দুজন দুজনাকে নিয়ে একটু কল্পনার মাঝেই না হয় এখন ডুবে যাই।নদীর দক্ষিণা বাতাসে নীলার চুলগুলো উড়ছে।চুলগুলো উড়ে ওর মুখে গিয়ে পড়ে ওর সুন্দর মুখটা ঢেকে দিচ্ছে।কিন্তু ওহ চুলগুলো সড়িয়ে দিচ্ছে না।কারণ ওহ আশা করে কাছে যে ওর ভালোবাসার মানুষ তো কাছেই আছে এখন তাই চুলগুলো মনের মানুষটি সাড়িয়ে দিবে।নীলা কিছু বললো না আমায়।আমি এবার বাতাসের দোলায় ওর মুখের দিকে চলে আসা ওর চুলগুলো সড়িয়ে দিলাম।এটা দেখে নীলা একটু মুচকি হাসলো।কারণ ওর মনের মধ্যে থাকা ইচ্ছাটা যে তার মনের মানুষ পূরণ করেছে।এতে তার মনে আনন্দের হাওয়া লেগেছে।এই আনন্দ বিশ্ব জয়ের আনন্দের থেকে কম কিসের।আর সেই আনন্দের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আমার দিকে তাকিয়ে তার একটু হাসি দেওয়া।যেই হাসি আমাকেও আনন্দ দিয়েছে কারণ প্রিয়জনের মুখে হাসি দেখতে কে না চায়।এভাবেই দুজন দুজনার হাত ধরে নীলা ওর মাথা আমার কাধে দিয়ে একান্তে চুপচাপ যে কতক্ষণ বসে ছিলাম জানি না।আস্তে আস্তে সূর্য দক্ষিণ দিকে ডুবে যাচ্ছে।চারিদিকে আধার হয়ে হয়ে আসছে।মনে হচ্ছে যেন আধার আস্টেপিস্টে ঘিরে ধরছে প্রকৃতিকে।সময় কখন যে চলে গেলো বুঝতে পারলাম না।ইশ যদি পারতাম সময়টাকে ধরে রাখতে যাতে নীলার হাত ধরে এখানে অনন্তকাল বসে থাকতে পারতাম।কিন্ত সেই ক্ষমতা যে আমাদের নেই।যাই হোক আমরা এবার উঠলাম।নীলার হাত ধরে বাড়ির দিকে পথ চললাম।ফেরার পথে আবার সেই মেহগনি গাছ পড়লো।আবার মেহেগনি গাছের পাতা মাড়িয়ে কিন্তু একটুও কষ্ট না দিয়ে আমি আর নীলা পথ চলছি।আমরা এভাবেই দুজন দুজনার হাত ধরে পথ চলতে চাই।দুজন মিলে পাড়ি দিতে আরো অনেকটা পথ।আমাদের পথচলা জীবনে যতদিন থাকবে ততদিন আমরা একে অপরের পাশে থাকতে চাই ধরতে চাই হাত শক্ত করে দুজন দুজনার এবং জীবনে সুখ দুঃখ যাই আসুক না কেন হাত ছাড়বো না একে অপরের এটাই আমাদের প্রতিঙ্গা হবে দুজন দজনার প্রতি।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২২১১৫ জন


এ জাতীয় গল্প

→ সীমাহীন ভালোবাসা

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now