বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
শুরুতে হয়তো আপনারা অনেকেই বলবেন, গ্রামে যে হারে শীত পড়ে তেমন শীত শহরে কোনকালেই পড়ে না! সুতরাং জয়ী নিশ্চয়ই গ্রামের শীত।
আমরা কিন্তু কতটুকু শীত পরে সেটা নিয়ে কথা বলছি না। আমরা বলবো কোথায় শীতকালটা বেশী মজা সেটা নিয়ে।
তাপমাত্রা:-
শহরে তাপমাত্রা ততটা কমে না বললেই চলে। নামলেও আমরা খুব বেশি বুঝতে পারি না। দেখা যায় পুরো ঋতুতে খুব কম দিনেই লেপ ব্যবহার করা লাগে। অন্যদিকে গ্রাম মানেই হাড়কাঁপানো শীত। মানুষজন পারলে ২৪ ঘন্টাই মানুষ লেপ মুড়ি দিয়ে থাকে। এই ভয়ানক শীত অনেক কষ্টকর হলেও সত্যি কথা বলতে কি, শীতকালে যদি ঠান্ডাই না লাগে তাহলে শীত এসে লাভ কি! সুতরাং এ ক্যাটাগরিতে জয়ী গ্রামীণ শীত।
খাবার:-
প্রতি ঋতুরই একটি নিজস্ব খাবারের মেন্যু থাকে। বর্ষার আছে ইলিশ-খিচুড়ি, গ্রীষ্মের আছে লাচ্ছি-পেস্তার শরবত বা ডাবের পানি; এভাবে শীতেরও আছে কিছু নিজস্ব খাবার। শহরের মানুষ হয়তো গরম কফি খেয়ে নিজেদের গরম রাখেন; কিন্তু শীতের খাবারের মেন্যু পুরোটাই আমাদের গ্রাম বাংলা-কেন্দ্রিক। পিঠাপুলি, খেজুরের রস বা কনকনে শীতে খাঁটি গরুর দুধের এক কাপ চা- এসব ছাড়া তো শীতকে শীতই মনে হয় না।
বিয়েশাদি:-
শীতকাল মানেই বিয়েশাদি! এ ব্যাপারটাকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং বিয়েশাদিকে একটা ক্যাটাগরি দিতেই হলো। গ্রামের বিয়েতে হয়তো আনন্দ বেশী হয়, অনেক ক্ষেত্রে এক বিয়েতেই দু-তিন গ্রাম খাইয়ে দেয়া হয়; কিন্তু আড়ম্বর বেশী হয় কিন্তু শহুরে বিয়েতে। আমি নিজে যেমন দেখেছি ঢাকাই বিয়ের ধুমধাম। অন্তত দেড় মাস আগে থেকে সবাই প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে। বিয়ের জাঁকজমক শেষও হয় বেশ রাত করে। সুতরাং এ ক্যাটাগরিতে আমার মতে জয়ী শহর।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now