বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
ভালবাসা নামক অমূল্যধন কে না
পেতে চায়?
কেউ পায়,কেউ পায় না,আবার কেউ
পেয়ে ও
হারায়!
আসলে ভালোবাসা ধরে রাখার মত
শক্তি
আমাদের কয়জনের আছে?
.
মাঝে মাঝে শত চেষ্টা থাকার পর ও
হেরে
যেতে হয় নিয়তির কাছে।
হারিয়ে যায় তিল তিল করে গড়ে
তোলা
ভালোবাসা।
.
কেউ যদি কাউকে সত্যিকারে
ভালোবাসে
তাহলে কখনো চাইবে না যে তার
ভালোবাসার
মানুষ কে কষ্ট দিতে তেমনি নুহাশ ও
চায়নি
নুসরাত কে কষ্ট দিতে।
.
নুহাশ অনেক ভালোবাসতো নুসরাত কে
কারন
নুসরাত যে ছিল নুহাশের স্বপ্নের
রাজকন্যা।
কি ভাবছেন রাজকন্যা মানেই কি
গাঁয়ের রঙ
ফর্সা না নুসরাত এর গাঁয়ের রঙ এতোটা
ফর্সা না।
.
নুসরাত দেখতে শ্যামলা তবুও অদ্ভূত এক
মায়া
আছে নুসরাত এর মাঝে।
টানা টানা চোখ,পাগল করা মত হাসি
অনেক
পাতলা মনে হয় বাতাস আসলে সঙ্গে
সঙ্গে পড়ে
যাবে।
.
সব কিছু মিলিয়ে নুসরাত ছিল
অসাধারণ নুহাশ
যেমন ভেবে ছিলো কল্পনার জগতে।
.
নুহাশ যেমন নুসরাত কে পাগল এর মত
ভালোবাসতো নুসরাত ও নুহাশ কে ঠিক
তেমনি
ভালোবাসতো।
কারো ভালোবাসা কারো থেকে কম
না আসলে
ভালোবাসা তো এমনি হওয়া উচিত।
আমি ও তোমাকে ভালোবাসি,তুমি ও
আমাকে
ভালোবাসো তাহলে তোমার থেকে
আমার
ভালোবাসা কম হবে কেন?
.
ভালই চলছে ২জনের রিলেশনশীপ।ফোন
কথা
বলা,দুষ্টুমি করা,বৃষ্টিতে ভিজা...
নুসরাত এর একটা খারাপ অভ্যাস ছিল
চিমটি
দেওয়া সারাক্ষণ শুধু চিমটি দিতো
একদিন নুহাশ কে এমন ভাবে চিমটি
দিয়েছে যে
হাত থেকে রক্ত বের হতে শুরু করেছে।
ওই দিন অনেক কেঁদেছে নুসরাত হাজার
বার সরি
ও বলেছে নুহাশ কে যে আর কখনো
চিমটি দেবে
না।
কিন্তু কে শুনে কার কথা আবার দেখা
হলে
চিমটি মেরে দিতো(হাহাহাহা)য
ে লাউ সেই
কদু।
.
আজ অনেক দিন হয়ে গেলো নুহাশ এর
সাথে দেখা
হয় না নুসরাত এর দেখা করা কথা
বললেই নুহাশ
বিভিন্ন অজুহাত ধরে।
নুসরাত কিছুই বুঝতেছে না যে হঠাৎ
করে কেন
নুহাশ এমন করে।
.
কিছু দিন পর নুসরাত খেয়াল করলো
নুহাশ এখন আর
আগের মত ভালোবাসে না।
মনে হচ্ছে কিছুটা এড়িয়ে চলছে
নুসরাত কে।
.
এক সময় নুহাশ নুসরাত এর সাথে
যোগাযোগ বন্ধ
করে দিলো!
.
নুসরাত এই বিষয় নিয়ে নুহাশ কে প্রশ্ন
করতেই সে
বলে অতীত ভুলে যাও।
আমি তোমাকে ভালোবাসি না আর
কখনো
ভালবাসিনি আমার সব ছিল অভিনয়
আর কখনো আমার সাথে যোগাযোগ
করার চেষ্টা
করবা না প্লীজ।
.
এটা বলেই নুহাশ চলে গেলো আর
নুসরাত দাঁড়িয়ে
আছে মনে হচ্ছে পায়ের নিচের মাটি
সরে
যাচ্ছে।
পুরো পৃথিবী ঘুরছে নিজে কে একা
লাগছে নুসরাত
কাঁদছে আর বলছে বেঈমান পারলে এই
ভাবে
ভালোবাসা
নিয়ে খেলা করতে।
.
আসলে পৃথিবীর সব কষ্ট সহ্য করা যায়
কিন্তু
ভালোবাসার কষ্ট সহ্য করা অনেক কঠিন
এই কষ্ট না পারে পুড়ে ফেলতে না
পারে উড়িয়ে
দিতে।
.
এই দিকে নুহাশ ও বাসায় এসে কাঁদছে
কি করবে
বুঝতেছে না নিয়তির কাছে আজ
ভালোবাসা
হেরে গেলো।
যে ভালোবাসা বিন্দু বিন্দু করে গড়ে
তুললো আজ
সেই ভালোবাসা নিজের হাতে কবর
দিয়ে
আসলো।
.
কিন্তু করার তো কিছু নেই কারন নুহাশ
এর হাতে
যে আর অল্প কয়টা দিন সময়।
যে শ্যামলা পরী কে স্বপ্ন দেখাতো
আজ সেই
পরীটার স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়ে আসলো।
.
যে শ্যামলা পরী কে দিনে হাজার
বার বলতো
ভালোবাসি আজ সেই পরীটা কে
ভালোবাসি না বলতে হলো নুহাশ কে
অনেকটা
কঠিনই ছিল নুহাশ এর জন্য।
.
কিছু দিন পর নুসরাত এর বিয়ে হয়ে
গেলো সৈকত
নামের এক বিজনেস ম্যান এর সাথে
অনেক ভাল মানুষ নুসরাত কে অনেক
ভালোবাসে।
সৈকত এর ভালোবাসা পেয়ে নুসরাত
ভুলে গেলো
নুহাশ নামে কেউ ছিল নুসরাত এর
জীবনে
ভুলে যাওয়ারই কথা কারন নুহাশ তো
নুসরাত কে
ভালোবাসে নাই করেছে অভিনয়।
.
এই দিকে নুসরাত এর বিয়ের ৩ মাস পর
নুসরাত এর
কাছে চিঠি আসলো নুহাশ এর।
.
প্রিয়...
শ্যামলা পরী...
বিধাতার করুন পরিহাসে আমরা এক
হতে পারলাম
না।
যে দিন আমি প্রথম জানলাম আমি আর
বেশি
দিন বাঁচবো না সে দিন থেকে বুকে
পাথর চেপে
তোমার সাথে অভিনয় করা শুরু করলাম।
ভেবেছি তুমি আমাকে ভুল বুঝে দূরে
সরে যাবে
তাই তোমার কাছ থেকে দূরে
থেকেছি।
বিশ্বাস করো শ্যামলা পরী আমার
ভালোবাসা
মিথ্যে ছিলো না যত দিন তোমায়
ভালবেসেছি
সত্যি মন
থেকেই ভালবেসেছি।আমি হেরে
গেছি নিয়তির
কাছে...
আচ্ছা,শ্যামলা পরী সব ভালোবাসা
কি পূর্ণতা
পায়?
ভালত সবাই ভাসে আমি,তুমি,সে
কিন্তু কয়জনে
পারে ভালবেসে ঘর বাঁধতে?
কিছু কিছু ভালোবাসা অজানাই
থেকে যায়,ঘর
বাঁধা আর হয় না।
হয়তো আমাদের ভালবাসা ও অজানাই
থেকে
গেলো।ঘর বাঁধা আর হলো না।
যখন তুমি আমার চিঠিটি পড়বে তখন
আমি
তোমার কাছ থেকে অনেক দূরে
থাকবো।
আমার কারনে তোমার চোখে অশ্রু
দেখতে
পারবো না তাই তোমার সাথে এমন
করেছি।
পারলে ক্ষমা করে দিও এই প্রতারক কে
যে
তোমার ভালোবাসা নিয়ে খেলা
করেছে।
নুসরাত চিঠিটা পড়ছে আর কাঁদছে
পড়তে পড়তে
চোখের জলে চিঠিটা ভিজে
গেলো।
.
আর এই ভাবেই নুহাশ অনেক দূরে চলে
যায় নুসরাত
এর কাছ থেকে
আজ ও আরো একটি ভালোবাসা ব্যর্থ
গল্পে
পরিণত হলো।
উৎসর্গ:সকল ব্যার্থ প্রেমিক কে যাদের
ভালোবাসা নুহাশ এর মত নিয়তির
কাছে হেরে
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now