বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন
বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

অ্যামাজনে কয়েকদিন (পর্ব ২)

"রোমাঞ্চকর গল্প " বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান হৃদয় (০ পয়েন্ট)

X লেখক:::অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় MH2 আমরা সবাই সকালে সিদ্ধান্তের পর বনে গেলাম,শিকার করব উপজাতিদের সাথে।আমাদের জিজের গ্রুপকে এখন লীড করছেন মি.A।আমরা উপজাতিদের সাথে যাচ্ছি,বনের গাছপালা সবুজ প্রকৃতি আমাদের সবাইকে মুগ্ধ করে দিচ্ছে।উপজাতিরা কিন্তু এসব দেখছে না,ছোট থেকেই দেখে আসছে,তাদের নজর পথের দিকে।বনের প্রায় গভীরে গেলাম যখন তখন আর চারপাশ দেখছি না,দেখছি এখন শিকার।আমরা কয়েকভাগে ভাগ হয়ে গেলাম।আমরা জিজের মোট ৫ জন মি.A এর সাথে যাচ্ছি।বাকি দুইজন উপজাতিদের সাথে আছে।ওই দুইজন হলো সিয়াম আর রাহিন।আমরা যে ৪ জন মি.Aএর লীডে আছি তারা হলাম আমি,হৃদয় ভাইয়া,রনি ভাইয়া,আনিস ভাইয়া।সাঈম ভাইয়াকে বলেছিলাম আসতে কিন্তু তিনি আসতে চাইলেন না,বুদ্ধদের মতো জ্ঞানন দিতে লাগলেন জীবে প্রেম মহৎ গুণ,আমি মারতে যেতে পারব না.......। আমাদের দল এগুচ্ছি খুব ধীরে ধীরে,চারপাশে সতর্ক দৃষ্টিতে দেখছি।হালকা হালকা করে পায়ের পাতা ফেলছি আর সবাই নিঃশব্দ আছি।বনের পাখি ছাড়া আর কিছুর শব্দ হচ্ছে না।আমরা দেখছি আর দেখছি,এরকম সময় আমায় মি.A ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলেন,আমি হতচকিত হয়ে গেলাম,কেন এমন করলেন???ওনি বললেন তোমার মাথার উপর দিয়ে একটা তীর ছুটে গেল,ওইসব আদিবাসীদের তীর,শিকারের গায়ে না লেগে তোমার গায়ে লাগছিল আর একটু হলেই।আমরা এই জঙ্গলে অনভ্যস্ত,তাছাড়া শিকারের অভিজ্ঞতা আমাদের নেই।কিন্তু মি.A দক্ষ শিকারী মানুষ।একটা হরিণ নজরে পড়ল আমাদের সামনে।মি.A আর আমি একসাথে ফায়ার করলাম,লক্ষভেদ হয়েছে।হরিণটা দুটো বুলেট সহ্য করতে পারে নি,মারা গেল।একটা হরিণই আজকের জন্য আমাদের যথেষ্ঠ।হরিণটাকে ধরতে আমরা সামনে যাচ্ছি,সামনের ঝোপটা হালকা করে নড়ে উঠল।মনে হচ্ছে ওইখানে কিছু একটা আছে।কিন্তু কী সেটা??? এইদিকে আদিবাসী গ্রামটাতে অন্যরা সবাই যার যার মতো হাসি মজা কাজ করছে।ইভা আর তুবা রান্না করছে,মফি, ফারহান সহ অন্যদের মাছ ধরার কাজ শেষ।তারা বসে গল্প করছে।সুস্মির, পুষ্পের সাথে মফি বসে আলাপ করছে।রেহনুমা আপু,তাহিরা আপু আর অপরাজিতা আপু এতক্ষণ ইভা আর তুবাকে সাহায্য করছিলেন,এখন তারা হাটছেন আর গ্রামের মানুষদের দেখছেন।অনেকে অনেক জায়গায় বসে আছে। মফি::: জানিস সুস্মিতা,আমার রনি ভাইয়ের মতো এই জায়গাটা মারাত্মক পছন্দ হয়েছে,খাওয়ার চিন্তা নেই,বন হতে শিকার কর,পাশে এতো সুন্দর দৃশ্য,কী যে অপরূপ লাগছে।ভাবছি রনি ভাইয়ার মতো এখানেই থেকে যাই। সুস্মিতা:::ভালোই তো, এখানে কোনো একটা মেয়েকে বিয়ে করে এখানেই থেকে যা,আন্টিকে গিয়ে বলব যে মফি এখানকার মেয়ের প্রেমে পড়ে জংলি হয়ে গেছে। পুষ্প:::আরে এখানকার মেয়েদের বিয়ে করে মফি খুব সুখি হবে। মফি:::আরে না,বাংলার মেয়েদের মতো মিষ্টি মেয়ে এইখানে পাব???অসম্ভব। তারা মজা করছে।আর ওইদিকে ইভা আর তুবার অবস্থা কাহিল।রান্না করতে করতে গরমে শরীর অবস্থা শেষ।রামিশা ওদের দেখে হাসছে,ইভা গেল রেগে,কথা কাটাকাটির মতো মজার কাজ শুরু করল। ওইদিকে শুভ,সাঈম ভাই আর কাব্য ভাই বসে আছে।এখন কাব্য ভাই নতুন যে কাব্যগ্রন্থ লিখছেন তার নাম হলো " স্বপ্নের দেশে।" তারা কবিতা শুনছে কখনও তো কখনও অ্যামাজন বন সম্পর্কে শুনছে। গ্রামটা যেহেতু মূল ভূ খন্ড থেকে দূরে নয় তাই এখানে হালকা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি পাওয়া যায়,ফারহান পকেট রেডিও নিয়ে তাতে শুনতে লাগল খবর। ঝোপটা হঠাৎ নড়ে উঠল,ভিতরে একটা জাগুয়ার বসে ছিল।রয়েল বেঙ্গলের মতো অতো বড় আকারের না হলেও যথেষ্ঠ ভয়ঙ্কর প্রাণী এরা।যথেষ্ঠ দ্রুত চলতে পারে।আমরা সবাই অবাক হয়ে যেন পাথরের মতো হয়ে গেছি।কিন্তু মি.A এর মগজ সচল,তিনি জাগুয়ারকে সুযোগ না দিয়েই গুলি ছুড়ে দিলেন,বাঘটা সরে গেল।গায়ে লাগল না তার গুলিটা।বাঘটা খেপে গেল।মারাত্মক জোরে গর্জন দিয়ে লাফিয়ে উঠল আমরা সরে গেলান।বাঘটাও মনে হয় হরিণটাকে দেখছিল,কিন্তু আমরা তার শিকারকে নিজের করে নেওয়ায় ও গেল ক্ষেপে।তাই আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছে।আমরাও হার মানর পাত্র নই,আমরা গুলি করতে লাগলাম,মি.A এর নির্দেশে আমরা অর্দচাদের আকারে দাড়িয়েছি,এর ফলে আমাদের গুলি লাগবে না।হৃদয় ভাইয়া আর আমি পাশাপাশি,রনি ভাই আনিস ভাই একসাথে,মি.A আলাদা আমাদের থেকে।সবাই একযোগে গুলি চালানোতে গুলি লাগল জাগুয়ারের গায়ে।পড়ে গেল।আমরা বাঘটার কাছে যেতে চাইলাম,মি.A নিষেধ করলেন,কিন্তু আমরা তা শুনি নি,ভাবলাম বাঘ মরে গেছে,মরা বাঘকে ভয় পাওয়ার কী আছে??? ভুলে গেলাম জাগুয়ার রয়েল বেঙ্গল টাইগার আর সিংহের সম গোত্রের, সহজে মরে না আর মারাত্মক হিংস্র এরা।আমরা সামনে যেতেই জাগুয়ারতা লাফিয়ে উঠল,আমার কলজে লাফিয়ে উঠল সাথে সাথে,দিশা হারা হতবিহ্বল হয়ে গেলাম।জাগুয়ারটা রনি ভাইয়ের দিকে মুখ করে আছে।রনি ভাই পিছু হটছেন, কিন্তি জাগুয়ারটা লাফিয়ে উঠল আর রনি ভাই পড়ে গেল।বাঘটা রনি ভাইয়ের উপরে পড়ার আগেই মি.A গুলি করলেন আর জাগুয়ারটা পড়ে গেল,এবার মরে গেছে তবে কাছে যেতে ভয় করছে,সাহস করে গেলাম।এবার হরিণ আর জাগুয়ারটাকে গ্রামে নিব। গ্রামে অন্যসব শিকারিরা চলে এসেছে,আমরা আসছি না দেখে তারা চিন্তিত হয়ে গেল।সর্দার আদেশ দিলেন সিয়াম আর রাহিনের সাথে কয়েকজনকে যেতে।ওরা এগুচ্ছে,ওদের মতে আমরা পথ হারিয়েছি,কিন্তু ওরা জানে না মি.A একজন দক্ষ মানুষ,পথটা সঠিকভাবেই চিনেন তিনি।ওরা কিছুটা দূরে আসতে ই দেখল হৃদয় ভাইয়া আর রনি ভাইয়ের কাঁধে হরিণ ঝুলিয়ে আনছে তারা,আমি, মি.A আর আনিস ভাই ভারী জাগুয়ারটাকে বয়ে আনছি।ওরা অবাক হলো জাগুয়ার আসল কোথা থেকে??? আমরা বললান আমাদের সাহায্য কর গ্রামে গিয়ে সব বলব।গ্রামে গেলাম,বিশ্রাম করলাম,দুপুরের খাবার খেলাম,সবার চোখেই অধীর আগ্রহ। সর্দারের কাছে গেলাম,তিনি সকলের সামনে সব বললেন।আমরা মি.A কে আগের চাইতেও বেশি শ্রদ্ধা করতে শুরু করলাম।রাতের খাওয়ার পর সবাই নদীর তীরে বসেছি,চাঁদনি রাত।মি.A কে তার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে বললান।কখনও তিনি রাজি হন না,এবার আশ্চর্যরকমে রাজি হয়ে গেলেন।মি.A বলতে শুরু করলেন...............................। [ কাজের কারণে এই পর্ব দিতে দেরী হয়েছে।আচ্চা নিজেকে আমি চরিত্রে কল্পনা করেছেন???কেমন লাগছে গল্পটা???ভালো লাগলে বলবেন অবশ্যই,উৎসাহ পাব,কোনো ভুল থাকলে বলবেন যেন গল্পটার ভুলগুলো ঠিক করতে পারি,পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে] চলবে,,, আল বিদা,,,


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২১০০৪ জন


এ জাতীয় গল্প

→ অ্যামাজনে কয়েকদিন [পর্ব ৩০ এবং শেষ]
→ অ্যামাজনে কয়েকদিন[পর্ব ২৯]
→ অ্যামাজনে কয়েকদিন [পর্ব ২৮]
→ অ্যামাজনে কয়েকদিন[পর্ব ২৭]
→ অ্যামাজনে কয়েকদিন [পর্ব ২৬]
→ অ্যামাজনে কয়েকদিন [পর্ব ২৫]
→ অ্যামাজনে কয়েকদিন [পর্ব ২৪]
→ অ্যামাজনে কয়েকদিন [পর্ব ২৩]
→ অ্যামাজনে কয়েকদিন [পর্ব ২২]
→ অ্যামাজনে কয়েকদিন [পর্ব ২১]
→ অ্যামাজনে কয়েকদিন [পর্ব ২০]
→ অ্যামাজনে কয়েকদিন [পর্ব ১৯]
→ অ্যামাজনে কয়েকদিন [পর্ব ১৮]
→ অ্যামাজনে কয়েকদিন[পর্ব ১৭]
→ অ্যামাজনে কয়েকদিন [পর্ব ১৬]

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now