বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন
বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

মেসওয়াক

"শিক্ষণীয় গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান ⏩المامون ⏩ (০ পয়েন্ট)

X আসরের নামাজ পড়ার জন্য যখন মাসজিদের ওযুখানায় ঢুকে মেসওয়াক করতে লাগলাম ,তখন দেখি বাহিরে কয়েকজন যুবক ছেলে হাসতেছে। প্রথমে ভাবলাম অন্য কিছু‌ দেখে হাসতেছে ,, না পরে একটু ভালো‌করে দেখে বুঝতে পারলাম আমাকে দেখেই হাসতেছে। বুঝতে পারলাম না কি জন্য হাসতেছে!! তাই কিছু না বলে আমি ওযু করে ওদের সামনে দিয়ে যখন আসতেছিলাম তখন একজন বললো ব্রাস কেনার টাকা নেই নাকি!!! আমি তো শুনে অনেকটা অভাগ হয়ে জিঙ্গাসা করলামঃ কেন ভাই ? ছেলেটি বললো লাঠি দিয়ে কেন দাত মাজলেন ?? আমি ছেলেটিকে বললাম ভাই ওইটা লাঠি‌ নয় , ওইটা মেসওয়াক,, আর মেসওয়াক করা ভালো ! ছেলেটাঃ আসলেই‌ হুজুরা কিপটা হয় !! আমিঃ ভাই নামাজের সময় হইছে চলো নামাজ পড়ে তোমার সাথে কথা বলব। ছেলেটিঃ ঠিক আছে আপনি পড়ে আসেন। আমি চলে গেলাম নামাজ পড়তে। নামাজ শেষে বাহিরে এসে দেখি ছেলে গুলো আর নেই। জানি না কেন চলে গেলো। পরের দুইদিন ওদের কে আর আমি দেখি । তৃতীয় দিন আমি আবার মেসওয়াক করতে করতে ওযু খানায় গিয়ে তখন আমি যা দেখলাম তার জন্য প্রস্থুত ছিলাম না। দেখি ওই ছেলেগুলো প্রত্যেকে পান্জাবি টুপি পড়ে হাতে মেসওয়াক দিয়ে বসে মেসওয়াক করতেছ !!! আমাকে দেখে ছেলেগুলো বললো কেমন আছেন ভাই?? আলহামদুলিল্লাহ ভালো ,তোমরা কেমন আছ ?? আলহামদুলিল্লাহ আমরাও ভালো আছি ??? আর আমাদের আপনি মনে হয় এ অস্থায় দেখবেন, আশা করেন নি তাই না?? হ্যা, আশা করতাম । তোমরাও নামাজ পড়, মেসওয়াক কর । ইসলামের আদেশ নিষেদ মেনে চলো। তোমরা মেসওয়াক যেটা ধারণা করতে সেটা ভূল ছিল, তোমাদেরকে আমি সেটা জানাতে চাচ্ছিলাম ,, কিন্তু তোমরা এ দুই দিন কোথায় ছিলে? আমরা এই‌ দুই‌ দিন এদিকে লজ্জায় আসিনি কারণ আপনি যে মেসওয়াক করতেন আমরা আপনাকে নিয়ে অনেক উপহাস করেছি ! দুই দিন আগে আপনি যখন চলে গেলেন আমরা একে অপরকে বলতে লাগলাম মেসওয়াক করলে কি হতে পারে?? তখন আমাদের মধ্যে থেকে একজন বললো .. চল আমরা গিয়ে ইসলামিক বইয়ে দেখি । আপনি মসজিদ থেকে বের হওয়ার আগে আমরা চলে গিয়েছিলাম , বাসায় গিয়ে বই‌ বের করে দেখি মেসওয়াক করা আমাদের রাসূলের সুন্নাত । আর মেসওয়াক করলে অনেক সাওয়াব !!! আপনার সামনে কি ভাবে আসব তাই আমরা দুই দিন এদিকে আসিনি। কোন ব্যাপার না,, তোমরা যদি কিছু না মনে কর নামাজের পর মেসওয়াক এর কিছু ফজিলত তোমাদের বলবো! হ্যা,, অবশ্যই বলবেন আমরা শুনব!! (কিন্তু পাঠকরা তো বিরক্ত হয়ে যাবে) লেখকের মনে:- ওযু করে সবাই নামাজ পড়ে বাহিরে আসলাম । ছেলেগুলো বললো দোকানে গিয়ে বসে কথা বলা যাবে চলুন। না, পৃথিবীর সব চেয়ে নিকৃষ্ট জায়গা হলো বাজার , আর দোকান হলো তার অংশ (হাদিস) ,, তাই আমরা দোকানে না বরং ওর গাছের নিচে চলো। হ্যা চলুন.... প্রথমে একটা ঘটনা বলি শুনো : রাসূল বলেছেন:- একদিন দুই ব্যাক্তি সখরাত বা মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসলো । দুইজনে বিছানায় সুয়ে আছে পাশাপাশি , সময় একে বারে শেষ পর্যায়ে!!! একজন সুন্দর ভাবে কালিমা পড়তেছে অথচ অন্য জন পড়তে পারতেছে না । সাহাবিদের উদ্দেশ্য করে বললে কেন জানো , সাহাবিরা বললো আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল ভালো জানেন । রাসূল সা. বললেন যে ব্যাক্তি কালেমা পড়েছে সে নিয়মিত মেসওয়াক করত!! তার মেসওয়াকে ব্যবহার করা ঢাল গুলো আল্লাহ বিশাল বড় বড় লাঠি বানিয়ে তার পাশে সেই লাঠি সহ ফেরেস্তা নিযুক্ত করে রেখেন যাতে সয়তান কালেমা পড়তে বাধা না দিতে পারে । সয়তান মেসওয়াক করা ব্যক্তির কাছে আসলে ফেরেস্তারা তাকে সেই মেসওয়াকের লাঠি ধারা আঘাত করে এতে সয়তান দূরে চলে‌ যায় । আর যে মেসওয়াক করেনি তার জন্য আল্লাহ কোন ফেরেস্তা নিযুক্ত করেনি , তাই সে কালেমা পড়তে পারতেছে না । ছেলেগুলোঃ ভাই এগুলো আমরা আগে জানতাম না,, আমরা এখন থেকে নিমিত মেসওয়াক করব । আল্লাহ যেন আমাদের তাওফিক দান করেন (আমিন) ভাই আরো কিছু বলেন মেসওয়াক নিয়ে। না , থাক এবার চলো উঠা যাক মাগরিবের সময় ঘনিয়ে আসতেছে , অন্য একদিন বলবো। আরেকটা কথা তোমাদের মেসওয়াক ধরার নিয়মটা ঠিক নেই :- নিয়ম হলো কনিষ্টা আঙ্গুল মেসওয়াকের নিচে আর বৃদ্ধা আঙ্গার উপরে আর বাকি তিন শাহাদত, মধ্যমা,অনামিকা মেসওয়াক উপর হালকা ভবে সুয়ানো থাকবে । ঠিক আছে ভাইয়া, আমরা এখন থেকে নিয়ম অনুযায়ী ধরব। সমাপ্ত শিক্ষাঃ আপনারা বলবেন , আমরা এখান‌ থেকে কি শিখতে পারি?? বিঃদ্রঃ মেসওয়াকে কিছু উপকারিতা আছেঃ ১. মেসওয়াকের মাধ্যমে দাঁত পরিষ্কার হয়ে মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়!! ২. মুখের দূর গন্ধ দূর হয়!! ৩. মৃত্যু কালে কালিমা নসিব হয়!! (আমরা সবাই চাই আমাদের মৃত্যুর সময় যেন কালিমা নসিব হয়) ৪. সকল রোগের নিরাময়কারী !! কালিজিরা আর মধুও সকল রোগের নিরাময়কারী (মৃত্যু বাদে) ৫. মুত্যু সময় কষ্ট কম হয়!! ৬. স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়!!! ৭. দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায় (আসলে আমি‌ লেখক না তাই গুছিয়ে লিখতে পারি না ) ভূল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন !!


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২০৯৬৮ জন


এ জাতীয় গল্প

→ মেসওয়াক

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now