বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
গ্রামের মসজিদ সংলগ্ন হেফযখানায় কয়েকটি মাসুম বাচ্চা দুলে দুলে কুরআন মুখস্হ করছিলো। হৃদয়ের সুরক্ষিত ফলকে উৎকীর্ণ করেছিলো কালামে-ইলাহীর একেকটি আয়াত। হঠাৎ করে এই গ্রামে অতর্কিত আক্রমণ চালালো সেভিয়েত দখলদার, নাস্তিক, হায়ওয়ান, লাল-সেনারা।
.
কাফের কমিউনিস্টদের একজন অফিসার গোছের লোক হেফযখানার বে-গুনাহ্ বাচ্চাদের হাত থেকে কুরআন শরীফ কেড়ে নিতে চাইলে নিষ্পাপ শিশুরা তাদের কুরআন শরীফ গিলাফে ভরে গলায় ঝুলিয়ে দেয়।
:
আফগান মুসলমানদের সাহসী সন্তানেরা এসব পশুর হাতে আল্লাহর পবিত্র কিতাব দিতে রাজী হয়নি। ইতিমধ্যে কয়েকজন রুশ অফিসার বাচ্চাদের ব্যাবহারে রাগান্বিত হয়ে ওঠে এবং এ শিশুদের লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলির নির্দেশ দেয়।
.
ভীত-সন্ত্রস্ত ও আতঙ্কগ্রস্ত পাংশু চেহারার শিশুরা আল্লাহ.....ও আল্লাহ.....আল্লাহ গো বলে আর্তনাদ করে ওঠে। তাদের চারপাশের বাড়ী-ঘর আগুনে জ্বলছে, শোনা যাচ্ছে গ্রামবাসীর মরণ চিৎকার-করুণ কন্ঠে বিলাপ করছে মা-বোন ও মেয়েরা।
.
হাফেয শিশুদের ওপর ফায়ার করা হলে এরা সবাই মাটিতে লুটিয়ে পড়লো। গ্রামটিতে কিয়ামত ঘনিয়ে যখন সেভিয়েত কুকুরগুলো যখন চলে গেছে, তখন বেঁচে যাওয়া গ্রামবাসীরা মসজিদের সামনে গিয়ে দেখতে পেলো, সবগুলো হাফেয শিশু শুয়ে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছে।
.
পরিচিত মানুষদের দেখে সবাই উঠে দাঁড়ালো। গ্রামবাসী তো অবাক, একটি শিশুও মরেনি বা আহত হয়নি। গুলি এদের বুকে বিদ্ধ হয়নি। দেখা গেলো, এদের বুকে ঝুলানো কুরআন শরীফের গিলাফের ভিতর কিছু বুলেট নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে আছে। সোনার টুকরা শিশুদের জীবিত পেয়ে বাবা-মা গফুরুর রহীমের নিকট সিজদায় লুটিয়ে পড়লো।
সূত্রঃ- "ফিলিস্তিনের মুজাহিদ"তামিম আদনানের বর্ণনা, অনুবাদ করেন মাওলানা ওবায়দুর রহমান খান নদভী।"
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now