বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আজকে আমি মানুষের একটি কমন রোগ বুকে ব্যথা(হৃদপিন্ডজনিত) বা Angina নিয়ে কথা বলবো। অনেকসময় দেখা যায় একজন কাজ করছে হঠাৎ তার বুকে ব্যথা শুরু হলো। বুকে ব্যথা নানাকারনে হয়ে থাকে। হঠাৎ বুকে ব্যথাকে অধিকাংশ লোকজন ই এসিডিটি ভেবে এন্টাসিড জাতীয় ওষুধ খায়। সঠিক লক্ষণ না জানার কারণেই এটি আমরা করে থাকি।
প্রথমে আমাদের জানতে হবে হৃদপিন্ডজনিত বুকে ব্যথা বা অ্যানজাইনা আসলে কী? এটি কতটা মারাত্মক হতে পারে?
হৃৎপেশি যখন অক্সিজেন সমৃদ্ধ পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ পায় না তখন দম বন্ধ হয়ে বা বুক নিষ্পেষিত হচ্ছে এমন মারাত্মক অস্বস্তি অনুভূত হলে সে ধরনের বুক ব্যথাকে অ্যানজাইনা(Angina Pectoris) বলে। অ্যানজাইনা হলো হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাবস্থা।
অ্যানজাইনার লক্ষণ(Symptoms of Angina):
১.উরঃফলকের(Sternum) পেছনে বুকে ব্যথা হওয়া।
২.শারীরিক কাজে,মানসিক চাপে,অতি ভোজন,শৈত্য বা আতংকে বুকে ব্যথা হতে পারে। ব্যথা 5-30 মিনিট স্থায়ী হয়।
৩.ব্যথা গলা,কাঁধ,চোয়াল,বাহু,পিঠ এমনকি দাঁতেও ছড়াতে পারে।
অনেক সময় ব্যথার উৎপত্তিস্থল বোঝা যায় না।
৪.বুকে জ্বালা-পোড়া,চাপ,আড়ষ্ট ভাব,বমি বমি ভাব এবং দম ফুরিয়ে হাঁপানো দেখা দিতে পারে।
করণীয়(Control):
অ্যানজাইনা প্রতিরোধের জন্য কিছু বিষয় বিশেষ গুরুত্বের সাথে পালন করা উচিত। কিছু বিষয় আছে যার নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নেই।
যেমন-বয়স,লিঙ্গভেদ,হৃদরোগের পারিবারিক ইতিহাস। কিন্তু যেসব আমাদের নাগালের মধ্যে আছে তা হলো- ব্যায়াম করা,স্থুলতা প্রতিরোধ, সুষম ও হৃৎবান্ধব খাবার খাওয়া, রক্তচাপ এবং কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে রাখা,ডায়াবেটিস প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণে রাখা,ধুমপান ত্যাগ করা,মদপানের ধারে কাছে না যাওয়া এবং অবশ্যই বছরে অন্তত একবার সম্পূর্ণ শরীর চেকআপ করিয়ে নেওয়া।
মোঃআল হাদী
বিজ্ঞান বিভাগ
ঝালকাঠি সরকারি কলেজ
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now