বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
২.
মশাদের পাখিসমাজে মর্যাদা দেওয়ার আন্দোলন
ভালোই চলছিল। পাড়ার ছেলেপুলেদের
অনেকেই যোগ দিয়েছিল মামার সঙ্গে।
হঠাৎ এক সকালের ঘটনা। চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দে
রোটনের ঘুম ভাঙল। বারান্দায় বেরিয়ে রোটন
অবাক হয়ে দেখল, বাড়ির সবাই উঠোনে দাঁড়িয়ে
আছে। সবার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন নানাভাই। তাঁর
মুখে তৃপ্তির হাসি। সামনে দাউ দাউ করে আগুন
জ্বলছে। আগুনে তিনি কী যেন পুড়ছেন।
কাছে যেতেই রোটন চমকে উঠল। এ তো ফনি
মামার মশাপাখি চাষের মশারি! সঙ্গে মামার বিছানার
তোশকও।
ফনি মামার কথা মনে পড়ল রোটনের। গতকালও
মামাকে সঙ্গে নিয়ে পাড়ায় জমজমাট আন্দোলন
হয়েছে। মশাকে পাখির মর্যাদা দেওয়ার
আন্দোলন। স্লোগানে স্লোগানে পুরো পাড়া
সরগরম করে ফেলেছিল ওরা। ‘মশা নিধন বন্ধ
করো, মশাপাখি রক্ষা করো’, ‘আমার ভাই তোমার
ভাই, মশাপাখি ভাই মশাপাখি ভাই’...এমন আরও কত
স্লোগান! মামা বলেছেন, লোকজন এবার
মশাকে পাখির মর্যাদা না দিয়ে যাবে কোথায়!
রোটনেরও তাই মনে হয়েছিল। মামার কথা মনে
হতেই রোটন দৌড়ে ফনি মামার ঘরের দিকে
গেল।
মামার ঘরে ঢুকে রোটন এবার সত্যি সত্যি অবাক
হলো। পুরো ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। মশা তো
দূরের কথা, একটা পিঁপড়াও নেই। মামা বিছানায় শুয়ে
আছেন। লেপ মুড়ি দিয়ে শোয়া যাকে বলে। পা
থেকে মাথা অবধি ঢাকা। মামার গায়ের ওপর আলতো
করে হাত রাখল রোটন। মামা একটু নড়েচড়ে
উঠলেন। মুখের ওপর থেকে লেপ সরিয়ে
একগাল হেসে বললেন, ‘রুটোন নাকি রে?’
রোটন বলল, হু। তোমার কী হয়েছে মামা?’
‘আর বলিস না, মশার কামড় খেয়ে ম্যালেরিয়া
বাঁধিয়ে ফেলেছি। চিন্তা করিস না, জ্বর সেরে
গেলে নতুন কিছু নিয়ে কাজ করব। মশা, মাছি,
তেলাপোকাকে পাখি বানানোর আন্দোলন আপাতত
বাদ। এরা পোকা আছে পোকাই থাকুক। পাখিসমাজে
এদের এনে কোনো কাজ নেই, বুঝলি?’
রোটন বিড়বিড় করে বলল, ‘হু!’
মামা আর কথা বাড়ালেন না। ‘তুই এখন যা, আমি একটু
ঘুমোব’ বলেই আবার লেপের ভেতর হারিয়ে
গেলেন।
-হুমায়ূন হানিফ
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now