বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
বিজ্ঞান তার নানা শাখার নানামুখী ঝলক দিয়ে আমাদের প্রতিদিন বিস্মিত করে চলেছে। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো বিস্ময় উপহার দিয়ে চলেছে বিজ্ঞান। ইদানিং বিজ্ঞানের নতুন এক প্রযুক্তি থ্রিডি প্রিন্টারের নানামুখী ব্যবহার আমাদের নিয়ে যাচ্ছে বিস্ময়ের অন্য এক উচ্চতায়।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার মেলবর্নে ইউনিভার্সিটি অব মেলবর্নের গবেষকরা জন্ম দিয়েছেন অপার এক বিস্ময়। এই ইউনিভার্সিটির বেজমেন্টে প্রায় ৯০ বছর ধরে পরে থাকা এক মমির মাথার খুলি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, মৃতার আসল চেহারা কেমন ছিল!
ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ২০০০ বছর পূর্বে এই তরুণীর মৃত্যু হয়েছিল। ‘মেরিটামুন’ নামের এই মিশরীয় সুন্দরী ১৮ থেকে ২৫ বছরের বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার মৃতদেহ মমি করে রাখা হয়েছিল।
সম্প্রতি এক অডিট চলাকালীন সময়ে এই মমির শুধু মাথার অংশ পাওয়া যায়। কোনো এক অজ্ঞাত কারণে মমির বাকি অংশ পাওয়া যায়নি। গবেষকরা এই মাথার খুলি নিয়েই চালিয়ে গেছেন গবেষণা।
মেরিটামুন দেখতে কেমন ছিল, সেটা দেখতে বিজ্ঞানীরা প্রথমে এই খুলির সিটিস্ক্যান করেন। ইউনিভার্সিটি অব মেলবর্ন, ভিক্টোরিয়ান ইনস্টিটিউট অব ফরেনসিক মেডিসিনের সহায়তায় সিটি স্ক্যান এবং থ্রিডি প্রিন্টারের সহায়তায় তৈরি করেন অবিকল এই তরুণীর মুখ, অন্তত বিজ্ঞানীদের দাবি সেরকমই।
ইউনিভার্সিটি অব মেলবর্নের হ্যারি ব্রুকস অ্যালেন মিউজিয়াম কিউরেটর ড. রায়ান জেফারিসের মতে, এই উদ্যোগ অনেক সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে। যেখানে আগে এ ধরনের মমির ক্ষেত্রে জল্পনা কল্পনা করা হতো যে, মমির ব্যক্তিটি দেখতে আসলেই কেমন ছিল? এই ধরনের প্রয়াস মানুষকে প্রকৃত অনুমান করতে সহায়তা করবে।
তবে এখন এই মুখমণ্ডল আবিষ্কারের পরে বিজ্ঞানীরা মেরিটামুনের জীবনযাপন বা কিভাবে মারা গিয়েছে এই সব বিষয় নিয়ে গবেষণা করার উদ্যোগ নিয়েছে।
বিজ্ঞানীদের ধারনা, এই প্রয়াস তাদের ২০০০ বছর আগের জীবনযাপন কিংবা তখনকার অনেক তথ্য পেতে সাহায্য করবে।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now