বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
ডিজিটাল যুগের বকশিশ
আসিফ মেহ্দী
নাহার-বাহারের ছোট সংসার। দুজনই কর্মজীবী হওয়ায় সপ্তাহ শেষে দেখা যায় বাসায় কাজের পাহাড় জমে গেছে। সাংসারিক কাজে বাহারের উদাসীনতা দেখে নাহার বলল, ‘অলস বসে থাকতে থাকতে লেজ গজিয়ে দিন দিন তো “লেজি” হয়ে যাচ্ছ!’
এমন অপবাদে এই শীতের সকালে ‘শীতনিদ্রা’ থেকে উঠে বসল বাহার। নিজেকে ‘কেজো’ প্রমাণের জন্য ডেকে আনল বাড়ির কেয়ারটেকার জসিমকে। নাহারদের বাসার নিচেই গ্যারেজের পাশের রুমটিতে ছেলেটি থাকে। জসিমকে নিয়ে শুরু হলো তার কার্যক্রম। সিলিং ফ্যান মোছানো, বইয়ের শেলফ গোছানো, ফার্নিচার এদিক-ওদিক করা, ওয়াটার ফিল্টারে পানি ভরা ইত্যাদি। কাজের ফাঁকে বাহার ছেলেটিকে ‘পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি’ বিষয়ক কিছু নীতিবাক্য শোনাল! নীতি নিয়ে নাতিদীর্ঘ বক্তব্য শেষে জসিম তার প্রতিক্রিয়ায় জানাল যে ‘কাঠি লজেন্স’-এর কথা সে জানে, কিন্তু ‘কাঠিচাবি’ বা ‘চাবিকাঠি’ এসবের কথা সে আগে শোনেনি!
কাজ শেষে সন্তুষ্ট হয়ে বাহার জসিমকে বকশিশ হিসেবে কিছু টাকা দিতে চাইল। ছেলেটি নিল না। বাসার রান্না করা খাবার সাধল। তা-ও নিল না। শীতে পরার জন্য গরম কাপড় দিতে চাইল। সেটিও নিল না। তবে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় জসিম বলল, ‘একটা জিনিস দিলে নিতাম।’ নাহার-বাহার একে অপরের দিকে তাকাল। ছেলেটা খাটনি করেছে ঠিকই; কিন্তু তার বিনিময়ে কী চেয়ে বসবে, কে জানে! এখন শেরশাহের যুগ নেই যে চাইলেই পাওয়া যাবে। ডিজিটাল এই যুগে, সস্তায় মানুষ পস্তায়। বকশিশ হিসেবে বেশি দামি কিছু চেয়ে বসলে তো মুশকিল!
অতঃপর ছেলেটি চাইল তার বকশিশ, ‘আপনাগো ওয়াই-ফাইয়ের পাসওয়ার্ডটা দিবেন?’
(কপি)
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now