বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
অপু দিদির দিকে চাহিয়া বলিল,তেলের ভাড় ছুলে মা মারবে যে? আমার কাপড় যে বাসি?
*তুই যা না শিগগিরি করে,মার আসতে এখন ঢের দেরি ক্ষার কাচতে গিয়েছে শিগগির যা ।
অপু বলিল,নারকোলের মালাটা আমায় দে । ওতে ঢেলে নিয়ে আসবো ,তুই খিড়কি দোরে গিয়ে দ্যাখ মা আসচে কি না ।
*দুর্গা নিম্নস্বরে বলিল,তেলটেল যেন মেঝেতে ঢালিসনে ,সাবধানে নিবি,নইলে মা টের পাবে,তুই তো একটা হাবা ছেলে ।
অপু বাড়ি মধ্য হইতে বাহির হইয়া আসিলে দুর্গা তাহার হাত হইতে মালা লইয়া আমগুলি বেশ করিয়া মাখিল,বলল,নে হাত পাত ।
অপুঃ তুই অতগুলো খাবি দিদি?
*অতগুলি বুঝি হলো? এই তো ভারি বেশি যা,আচ্ছা নে আর দু খানা বাঃ,দেখতে বেশ হয়েছে রে,একটা লঙ্কা আনতে পারিস? আর একখানা দেবো তা হলে।
লঙ্কা কী করে পাড়বো দিদি? মা যে তক্তার ওপর রেখে দ্যায়,আমি যে নাগাল পাই নে?
*তবে থাকগে যাক,আবার ওবেলা আনবো এখন পটলিদের ডোবার ধারের আমগাছটায় গুটি যা ধরেচে দুপুরের রোদে তলায় ঝরে পড়ে । দুর্গাদের বাড়ির চারিদিকেই জঙ্গল । হরিহর রায়ের জ্ঞাতি ভ্রাতা নীলমণি রায় সম্প্রতি গত বৎসর মারা গিয়াছেন,তাহার স্ত্রী পুত্রকন্যা লইয়া নিজ পিত্রালয়ে বাস করিতেছেন । কাজেই পাশের এ ভিটাও জঙ্গলবৃত হইয়া পড়িয়া আছে । নিকটে আর কোনো বাড়ি নাই ।।।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now