বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
লেখকঃ নাফিজ আহমেদ। সময় বা স্রোত কখনো কারওর জন্য অপেক্ষা করেনা। সময় যে মানুষকে কতটা দূরে সরিয়ে দেয় তা আগে বুঝতাম না। কিন্তু এখন
বিষয়টা পুঙ্খানু পুঙ্খানু ভাবে উপলব্ধি করতে পারি। আমি এবার দাখিল পরিক্ষার্থী। কিছুদিনের মধ্যেই পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। হঠাৎ একদিন কোন এক জরুরি কাজের জন্য গেলাম আমার সেই প্রাণ প্রিয় প্রতিষ্ঠানে। যেখান থেকে বুঝতে শিখেছি লেখাপড়ার গুরুত্বটা কতটুকু। জীবনকে সুন্দর ভাবে গঠন করার জন্য লেখাপড়ার কোন বিকল্প নেই। স্কুলের কাজটা শেষ করে রওনা করলাম সৃতি জড়িত সেই শ্রেণী কক্ষের দিকে। যেই ঘরে বন্ধুরা মিলে একসাথে আড্ডা দিতাম। শিক্ষকের নাম ডাকার মধ্যে একজন আরেক জনের মুখ চেপে ধরতাম। আহ কতই না সুন্দর ছিল সেইসব মুহূর্তগুলো। ঘরের মধ্যে প্রবেশ করতে চোখ পড়ে গেল শিক্ষকের ঐ চেয়ারটার দিকে, কত বারই না নিজের ভাঙাটা দিয়ে শিক্ষকের এই চেয়ারটা মুছে দিয়েছি। আজ আর কেউ একবারের জন্যও মুঁছতে বলে না। একটু সামনে দিকে অগ্রসর হতেই দেখলাম সৃতিময় সেই বেঞ্চেটা, কতবারই তো এই বেঞ্চে বসে ক্লাস করবো না বলে পালিয়ে গেছি। কিন্তু বারংবার শিক্ষক জোর করে ক্লাসে বসিয়েছে। সময়ের কি এক আচর্য সিন্ধান্ত যে আজ আর কেউ এই বেঞ্চটাতে বসার জন্য পীড়াপীড়ি করছে না। বেঞ্চটাতে বসার জন্য মন কেঁধে যাচ্ছে তবুও হয়তো কখনো আর সেই মুহূর্তগুলো ফিরে পাবোনা। হঠাৎ আমি অবলোকন করলাম ক্লাসরুমের ঐ ব্লাকবোর্ডের দিকে। যেখানে প্রতিটা শিক্ষকই সুন্দর করে লিখে আমাদেরকে বুঝিয়ে দিতেন । এই ঘরের প্রতিটা জিনিসই আমার খুবই আপন। কিন্তু আজ সময়ের ব্যবধানে সবকিছুই পর করে দিয়েছে। ঘর থেকে বাহির হওয়ার আগে পুনরায় চোখ রাখলাম সৃতি জড়িত সেই ঘরের দিকে। চোখে সামনে কত সৃতি দেখা দিচ্ছে তার কোন ইয়ত্তা নেই।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now