বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন
বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

পিশাচ কাহিনীঃ শয়তানের পাল্লায়

"ভৌতিক গল্প " বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান F.H. FAHIM (০ পয়েন্ট)

X আমি আরেকবার ঘড়ির দিকে তাকালাম। সন্ধ্যা সাতটা পয়ত্রিশ। শিট। পৌনে আটটার মধ্যে অবশ্যই আমার ঘাটে পৌছাতে হবে, নাহয় আটটার মধ্যে অফিসে পৌছাতে পারব না। বাল।মুখ দিয়ে গালি বের হয়। সিএনজি ড্রাইভার পেছন ফিরে তাকায়। গালাগালি করেন ক্যা?জ্যাম কি আমি লাগাইছি। আরে না না, আপনাকে না, নিজের কপালকে গালি দেই। আমি জবাব দিলাম। ক্যান? গল্পের গন্ধ পেয়ে উতসাহী হয়ে ওঠে ড্রাইভার। আপনার এত জানার দরকার কি? ঠিকঠাক গাড়ি চালান। আমি রুক্ষ কন্ঠে জবাব দেই। আমার কর্কশ কন্ঠ শুনে সিএনজিওয়ালা সম্ভবত মনক্ষুন্ন হয়।বলতে না চাইলে বইলেন না। এমন করেন ক্যা? আমি কোন জবাব না দিয়ে আশেপাশের গাড়িঘোড়া লক্ষ্য করি।আমার কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে সিএনজিওয়ালা সামনে ফেরে। বসে আছি সিইজেডের সেই বিখ্যাত জ্যামে।চট্টগ্রামে যারা এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন তারা জানেন কি ভয়াবহ এই জ্যাম। একই রাস্তার ওপর ইপিজেড আর তার কিছু দূরে কর্নফুলী ইপিজেড। এত কাছাকাছি দুটো ইপিজেড। চট্টগ্রামের একমাত্র এয়ারপোর্ট বা সিবিচে যেতে হলে আপনাকে যেতে হবে এই রাস্তা দিয়ে, ইপিজেড পেরিয়ে।আবার পোর্টে আসা কন্টেনারগুলো রাখার জন্য কিছু ফেসিলিটি আছে, সেখানে যেসব লরি কন্টেনারগুলো নিয়ে যায় তারাও যায় এই রাস্তা দিয়ে। আবার পদ্মা-মেঘনা-যমুনা অয়েল কোম্পানি বা ইস্টার্ন রিফাইনারীর মত বড় বড় ইন্ডাস্ট্রিতে যাওয়ার জন্যও এটাই একমাত্র পথ।তাই প্রতিদিন চব্বিশ ঘন্টা, বছরে তিনশ পঁয়ষট্টি দিন এই রাস্তায় জ্যাম। বাল। আমি মনে মনে আবার গালি দেই। কোন শুয়োরের বাচ্চা এই শহরটা প্ল্যান করেছিল। সবখানে যাওয়ার জন্য খালি এক রাস্তা। আজব। স্যার, কিছু বলেন আমারে? সিএনজিওয়ালা জানতে চায়। অদ্ভুত, আপনাকে না বল্লাম সামনে তাকান, গাড়ি চালান। আমার কথা আপনার শোনার দরকার নাই। আমি চেচিয়ে উঠি। আমার চেচামেচি শুনে লোকটার মুখ কালো হয়ে যায়। আমি রাগে রাগে গজগজ করতে থাকি। পেইন একটা লোক। যখন থেকে এর গাড়িতে উঠেছি, তখন থেকে লক্ষ্য করছি ড্রাইভিং এর পেছনের সীটে বসে আমি কি করছি,কি বলছি সেদিকেই তার আগ্রহ বেশি। ফালতু। আমাদের পাশ দিয়ে একটা ট্রাক এগোয়। সাবধান, ট্রাক আসে।আমি লোকটাকে সাবধান করে দেই। সিএনজি চালক তাকে সাইড পরিবর্তে বরং ট্রাকের সাথে লাগিয়ে দেয়। গাজা খাইয়ুস না ওডা? (গাজা খেয়েছিস নাকি ব্যাটা?- চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা)।ট্রাক থেকে কে যেন চেচায়। ওই মিয়া, চোখের মাথা খাইছেন? আমি চিতকার করে উঠি। হঠাত লোকটা পেছন ফিরে আমার দিকে তাকিয়ে হেসে ওঠে।ভয়ের একটা শীতল স্রোত আমার শিড়দাড়া দিয়ে বয়ে যায়। মানুষ না, যেন সাক্ষাত শয়তানের হাসি দেখলাম। নেক্সট পার্ট আছে পড়তে ভুলবেনা।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২০৯৬২ জন


এ জাতীয় গল্প

→ পিশাচ কাহিনীঃ শয়তানের পাল্লায় ৩
→ পিশাচ কাহিনীঃ শয়তানের পাল্লায় ২

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now