বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
দার্জিলিং এ প্রচুর ঠান্ডা হয়। কখনো কখনো তুষারপাতও হয়। কেউ বাইরে যেতে চাইলে গরম কাপড় সাথে রাখতে হবে।
রনিঃ ভাই হোটেলে থাকতে ইচ্ছে করছে না। চলুন না একটু ঘুরে আসি কাছাকাছি কোথাও থেকে।
আমিঃ এখন না বের হওয়ায় উত্তম। আমরা দীর্ঘ একটা জার্নি করে এসেছি, আমাদের উচিত রেস্ট করা। চলো বারান্দায় বসে সময় কাটাই।
হৃদয়ঃ আনিছ ভাই যা বলছে ঠিকই।
***********★******★************
মফিঃ আনিছ ভাই চলুন। একটু ঘুরে আসি। ওদের দেখে আসি।
আমিঃ হৃদয় রুমে থাকো। আমরা বাইরে একটু পরেই চলে আসব।
হৃদয়ঃ আনিছ ভাই এক মুখে দুই কথা আমি কিন্তু সহ্য করতে পারি না।
আমিঃ কি বলতে চাচ্ছো হৃদয়?
হৃদয়ঃ রনি যখন বাইরে যেতে চাইল আপনি যেতে দিতে চাইলেন না। অথচ আপনারা এখন বাইরে যাবেন।
আমিঃ তোমাকে আমার কৈফিয়ত দিতে হবে।
হৃদয়ঃ আমি সব সময় সত্যটাই বলি।
আমিঃ আমরা আমাদের পরীদের সাথে দেখা করতে যাচ্ছি। এবার হলো তো!
হৃদয়ঃ আগে বলবেন না ভাই। I am sorry to the power Infinity.
আমিঃ হৃদয়, তোমাকে দেখে আমি অবাক হই। তুমি আমাকে না হাসিয়ে ছাড়ো না।
সাইম আরাফাতঃ আনিছ ভাই আপনার কাছে কোন বই আছে?
আমিঃ থাকবে না কেন? আরিফ আজাদের " বেলা ফুরাবার আগে" ও " মা মা মা এবং বাবা" ও " শিকড়ের সন্ধানে " বইগুলো আছে। এগুলো আমার ব্যাগ থেকে নাও, সাইম।
আমরা যাচ্ছি।
************************
আমরা একটা দরজায় কড়া নাড়তে থাকলাম। একটি অপরিচিত মহিলা বের হয়ে এলো।
- দেখে তো বাঙালী মনে হয়। মেয়ে দেখলেই কি হুঁশ থাকে না।
- আপনি মনে হয় ভুল ভাবছেন। আমরা বাংলাদেশ থেকে এসেছি।
- তো
- আমরা আমাদের টিমমেটদের খোঁজছি।
- চাপা মারার জায়গা পাও না।
- আন্টি, আপনি কোথা থেকে?
- কলকাতা থেকে।
- ভাল। আমরাও কলকাতা হয়ে এসেছি আপনারা বাঙালী! তাই ভাল লাগছে। এখানে আমরা সাইমন জাফরি ভাইয়ার সাথে এসেছি। আমরা জিজে পরিবার।
- ওওও। আচ্ছা। তাহিরা কে খোঁজছো?
- হুম।
- সামনের রুমটা।
********★******★**********
যাক বাবা বেঁচে গেলাম। কি ডেঞ্জারাস মহিলা রে বাবা!
আমাদের হট্টগোলে তাহিরা বের হয়ে এলো।
তাহিরাঃ বুঝেছি তোমরা কেন এসেছো?
আমিঃ ওদের কে ডেকে দেওয়া যাবে কি?
মফিঃ প্লিজ তাহিরা আপু।
তাহিরাঃ তা হবে না।
আমিঃ আমাদের তাড়িয়ে দিবে তাহিরা।
তাহিরাঃ হুম। আমি তাই করব। যাও ঘুমিয়ে পড়ো।
*********************************
বিষন্ন মনে চলে এলাম আমরা তিনজন। যা হোক, আগামীকাল দার্জিলিং দেখব জুটি বেঁধে। যা হবার হবে। কোন বাঁধায় মানব না।
রাত গভীর। হঠাৎ ফিসফিস করে ডাকে আমাদের। গিয়ে দেখি আপরা, সুস্মিতা ও ইসরাত।
*************************
আপরা আমাকে, সুস্মিতা মফি কে আর ইসরাত ইমরানকে একটা করে পাপ্পি দিয়ে বলে-
- হয়েছে, আজ রাতের উপহার!
এ বলে সবাই চলে যায়। আমরা শুধু গালে হাত দিয়ে বসে থাকি। যেন সারা জীবন ধরে ওদের ভালবাসা চাই।
তাহিরাঃ ছেলেদের কি দোষ দিব? সব দোষ মেয়েদের। আমি তো সব দেখলাম।
ইসরাতঃ আপু, সরি।
তাহিরাঃ সবাই রুমে যাও।
তাহিরা মুচকি হাসল। আর ভাবল। মেয়েরা ছেলেদের ঘুমটাকে হারাম করে দিয়ে আসল। এ ভাবতে ভাবতে আপুও রুমে চলে গেল।
বাইরে প্রচন্ড শীত। তাই আমি, মফি ও ইমরান নিজেদের রুমে চলে এলাম। দেখলাম সাইম আরাফাত বইগুলো পড়ছে।
সাইম আরাফাতঃ আনিছ ভাই বইগুলো দারুন ছিল।
আমিঃ চলো সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। কাল ভোর চারটাই উঠব। টাইগার হিল ও কাঞ্চনজঙ্ঘায় সূর্যোদয় দেখব।
দার্জিলিং এর সকল হোটেল এর আলো আস্তে আস্তে নিভতে থাকে আগামীকালের প্রত্যাশায়। শুভ রাত্রি।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now