বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

জিজের নায়ক-নায়িকার দার্জিলিং ভ্রমণ ( পর্ব - ২)

"ভ্রমণ কাহিনী" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান মোঃ আনিছুর রহমান লিখন (০ পয়েন্ট)

X জ্যোৎস্নালোকিত রাত। আকাশে হাজারো তারার মেলা। সময় তখন ৪ঃ০৫ মিনিট। বেনাপোল থেকে ফেরীতে পারাপার করতে হয়। একসাথে অনেক গুলো বাস ফেরীতে উঠল। বিশাল জাহাজের মতো। আমরা সবাই ফেরীতে উঠে পরলাম। খোলামেলা পরিবেশে ভাল লাগল। এদিকে ঘটে গেল আরেকটি মজার কাহিনী। উপস্থিত রনি ও হৃদয়। কি জানি একটা পায়তারা করছে। হৃদয়ঃ রনি ভাই, জুটিগুলো এক হয়ে গেলেই আমাদের প্রোগ্রাম টা মাটি হয়ে যাবে। রনিঃ নো প্রবলেম। সবাইকে একে একে ঘায়েল করতে হবে। হৃদয়ঃ আমরা বসে বসে মশা মারব, উনারা চুটিয়ে প্রেম করবে। এটা হব্বে না। রনিঃ চলো হৃদয়, সালার জুটিগুলোকে নিয়ে একটু মাজা করি। এটাই তো সুযোগ। হৃদয়ঃ চলো ভাই। শুরু করা যাক। ইমরান হাঁটাহাঁটি করছিল। তখন রনি ও হৃদয় গিয়ে ইমরানকে বলল, - চলো ছাদে যাই। - না, আমি যাব না। তোমরা যাও। - না গেলে খবর আছে, ইমরান। রনি ও হৃদয় ইমরানকে দুপাশ থেকে ঝাপড়ে ধরে ওকে ছাদে নিয়ে গেল। ইমরানের ফোনের টা সুইচ অফ করে দিল। আর কি হাসি? হা- হা- হা। - এবার বোঝ ইসরাত কেমন লাগে? ------------------------------ পুষ্পিতা, তাসমিহা ও শিখা সুস্মিতা কে ভুলিয়ে কৌশলে ছাদে নিয়ে গেল। তার রনি ও হৃদয়কে দেখে আবারো হাসির রোল পড়ে গেল। সুস্মিতাঃ আমাকে এখানে নিয়ে এসেছিস পুষ্টি। পুষ্পিতাঃ খালি মফিকে সময় দিস। আমাদের দিকে তাকা একটু। আমাদের বন্ধু ভাবিস না। সুস্মিতাঃ আমি চলে যাব। শিখাঃ তোকে ছেড়ে দিলে আমাদের প্ল্যান ভেস্তে যাবে। সুস্মিতাঃ তাহলে তোরা প্ল্যান করেই করেছিস? তাসমিহাঃ আমরা এখানে একা থাকব। তুমি সুশি মফিকে নিয়ে মজা করবা? এটা হবে না। সুস্মিতার ফোনও সুইচ অফ করে দেওয়া হলো। -------------------------------- তুবা ও রুবা অপরাজিতার কাছে এসে বলল, - চলো আপু, একটু ঘুরে আসি। - আমি কিন্তু বেশি সময় দিতে পারব না। - না, আপু, চলো ছাদে যাই। - দাঁড়াও, আনিছকে একটু বলে যাই। - ওওও। আনিছ ভাইয়া আমাদের পাঠিয়েছে। চলো। - চলো, মুক্ত হাওয়া খাই।( কিছুক্ষণ পর) কি তুবা ও রুবা, আনিছ কোথায়? - নাই তো। হা হা হা। - তোমরা আমাকে মিথ্যা বলে এখানে নিয়ে এসেছো। - আপু, ফোনটা দাও তো! এখন থেকে নো ফোন, নো কল। বুঝলে আপু। আমাদের সাথে সময় দাও। ---------------------------- ****************************** আমি, মফি ও ইসরাত। একা নিচে সময় কাটাচ্ছি। ভাল লাগছে না কারও। ওরা কোথায় যেতে পারে? মফিঃ এগুলো আনিছ ভাই, ঐ দুষ্ট গুলোর কাজ! ইসরাতঃ খেয়াল করে দেখেছিস সবার ফোন সুইচড অফ। ওরা এটা প্ল্যান করেই করেছে। আমিঃ আমি নিশ্চিত ইভা। তোমার ধারণা সঠিক। কিন্তু এরা কোথায় থাকতে পার? মফিঃ জানেন আনিছ ভাই, সুস্মিতার ঝগড়া করলেও আমি ওকে অনেক বেশি ভালবাসি। আমিঃ তোমার মনের অবস্থা আমি বুঝি মফি। ইসরাতঃ জানো আনিছ ভাইয়া, ইমরান একটু ভীতু টাইপের। তবু ইমরানকে ছাড়া থাকতে আমার ভাল লাগছে না। ফোন টাও অফ করে রেখেছে। উফফ আমি পাগল হয়ে যাব। আমিঃ তোমার শুধু তোমাদের কথাই বললা। আমার মনের অবস্থা একবার বোঝো। অপরাজিতা কে আমি সব সময় আগলে রাখি। এতটাই ভালবাসি যে, ওর অনুপস্থিতি আমার হার্টবিট বাড়িয়ে দেয়। মেয়েটিকে আমি পাগলের মতো ভালবাসি। ও আমাকেও। চলো, একটু ছাদ থেকে ঘুরে আসি। যখন ছাদের নিচ তলায় পৌঁছি তখন তাদের হাসাহাসির শব্দ শুনতে পাই। পরে দ্রুত ছাদে চলে যাই। গিয়ে দেখি আমরা যা ভাবছি তাই হয়েছে। কি আর করব? ওদের এই কান্ড আমাদের সবারই হাসি পায়। হা হা হা। হাসি প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে আসে। আমিঃ সবাইকে বলছি নিচে চলে যাও। শুধু ইমরান, সুস্মিতা ও অপরাজিতা এখানে থাকবে। আমরা পরে আসব। সবাইঃ আচ্ছা ভাইয়া। ------------------------------ শাঁ শাঁ করে জাহাজটি এগিয়ে চলছে। ইভা ইমরান কে দেখা সহ্য করতে পারে না। কেঁদে কেঁদে ইমরানকে আলিঙ্গন করে ফেলে, - তোমার কিছু হলে আমি বাঁচব না ইমরান। আই লাভ ইউ। - দূর পাগলী। কেঁদো না। আমি তো চলে যাই নি। আমি তোমাকে বড্ড ভালবাসি। মফিঃ কি রে! এতক্ষণ তো একাই ভালই কাটালি। সুস্মিতাঃ ভাল না ছাই, কচু! মফিঃ আয়, আমার বুকে আয় দেখি। মনের ক্ষতটা সারিয়ে নিই। তুই কি জানিস তোকে ছাড়া আমি অচল। তুই আমার সচল ঘড়ি। সুস্মিতাঃ এত ভালবাসিস আমাকে! জানা ছিল না। মফিঃ কি আনিছ ভাই? আপুকে নিয়ে সামনের দিকটায় যান। আপনি এত আনরোমান্টিক কেন ভাই? আমিঃ হা হা হা। আচ্ছা সবাই চালিয়ে যাও। আমি আর অপরাজিতা ছাদের শেষ দিক টায় আসি। চাঁদ জাহাজের সাথেই পথ চলছে। অপরাজিতা মায়াবী দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকায়। আপরার দিকে তাকালেই পৃথিবীর সকল শোকব্যথা মুহুর্তের মধ্যেই ভুলে যাই। - চাঁদ টা ভারি সুন্দর, তাই না আনিছ। - তুমি চাঁদের চেয়ে বেশি সুন্দর, অপরা। - আমাকে তুমি কেমন ভালবাসো? - আপরা, তুমি আমার অস্তিত্বে মিশে আছো। বাতাসের ঝাপটায় ওড়না উড়ে এসে আমার নাকে ঘষা খায়। নিজেকে আর আটকাতে পারি না। দুজনে আরো কাছাকাছি হই। দীর্ঘ নিঃশ্বাস আসে। চোখে জমে উঠে জল। আবেগাপ্লোত হয়ে পড়ি। দুজনে দুজনায় আলিঙ্গন করি। কেটে যায় বহুক্ষণ। ভালবাসার নিকুঞ্জ-বিতানে। নিচে নেমে আসি সবাই। ফেরী চলে যায়। তখন সময় ভোর ৫ঃ৪৫ মিনিট। তাহিরা আপু বলে- এখান থেকে যদি কলকাতা হয়ে যাই। কলকাতা থেকে দার্জিলিং ৫৫০ কি.মি, সময় লাগবে আট ঘন্টার মতো। টাকা খরচ হবে বেশি। আর যদি শিলিগুড়ি দিয়ে যাই তাহলে শিলিগুড়ি থেকে ৭৫ কি.মি দূরবর্তী হলো দার্জিলিং। তবে শিলিগুড়ি হয়ে গেলে ফারাক্কা বাঁধ দেখতে পারবে। - ওয়াও, তাই নাকি? -হুম। একটা কথা নিই। শিলিগুড়িতে সব খাবারের দাম উচ্চমূল্যের। তবে আমাদের যে বাজেট। তাতে কোন সমস্যাই নাই বরং আরো অনেক জিনিসই দেখবে। এই বলে আমরা শিলিগুড়ির বাসে সবাই উঠে পরলাম। বাস চলতে শুরু করল। সবাই ঘুমিয়ে পড়ল। হঠাৎ এক বিকট শব্দে সজাগ হলাম। তাহিরা আপু বলল, - এটাই ফারাক্কা বাঁধ। - ওয়াও, কি বিশাল! চোখ ছানাপড়া। তোমরা কি জানো এখানে বাংলাদেশ নামে গ্রাম আছে। অনেক মহাকুমা আছে যা বাংলাদেশের জেলার নামকরণে করা হয়েছে। যেমন- ঢাকা, জামালপুর, উত্তর দিনাজপুর ইত্যাদি। যেন আমরা বাংলাদেশেই আছি এমন অনুভূতি হচ্ছে। সবাই মিউজিক অন করে দিল। মফি, রনি, হৃদয় ও আমি ডান্স শুরু করে দিলাম। আমাদের দেখে সব জিজেবাসী নাচতে শুরু করল। আমরা ১২ঃ৩০ মিনিটে শিলিগুড়ি পৌঁছে যাই। এরপর দার্জিলিং যাওয়ার পালা। চলবে................................


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৬৪৬ জন


এ জাতীয় গল্প

→ জিজের নায়ক-নায়িকার দার্জিলিং ভ্রমণ (শেষ পর্ব)
→ জিজের নায়ক-নায়িকার দার্জিলিং ভ্রমণ (পর্ব - ৭)
→ জিজের নায়ক-নায়িকার দার্জিলিং ভ্রমণ (পর্ব - ৬)
→ জিজের নায়ক-নায়িকার দার্জিলিং ভ্রমণ (পর্ব -৫)
→ জিজের নায়ক-নায়িকার দার্জিলিং ভ্রমণ (পর্ব - ৪)
→ জিজের নায়ক-নায়িকার দার্জিলিং ভ্রমণ ( পর্ব - ৩)
→ জিজের নায়ক-নায়িকার দার্জিলিং ভ্রমণ (পর্ব - ১)

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now