বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন
বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট - ১

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান FahMiDa SulTaNa (OboNti ) (০ পয়েন্ট)

X সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট - 1 ঘুম থেকে উঠেই শুনি আজ আমার বিয়ে! যতবেশি অবাক হয়েছি,তারচেয়ে বেশি বিব্রত বোধ করছি।আচমকা নিজের বিয়ের কথা শুনলে কেমন লাগে? কিন্তু ব্যাপার সেটা নয়,আসল কথা হচ্ছে বর নাকি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট। বিদ্যুতের খুটির মত লম্বা।আর আমার যে উচ্চতা, তার পাশে দাড়ালে মনে হবে ল্যাম্পপোস্ট এর নিচে বনমানুষ দাড়িয়ে। চেঁচামেচি শুরু করে দিলাম। আম্মু বলল,ছেলে খুব সুন্দর। তোর পছন্দ হবে। - আচমকা বিয়ে ক্যান? - বিয়ের অনুমতি পাইছে।আর তাছাড়া ছেলের আব্বা আম্মা এই সপ্তাহেই হজ্বে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ জন্যই... - কিন্তু আম্মু,ছেলের হাইট এত বেশি যে আমাকে তার পাশে মানাবে না। - ছেলে যখন রাজি,তোর অসুবিধা কি? - ছেলে নিশ্চয় মানসিক সমস্যাগ্রস্ত। - ছেলে ভালো।সে বাবার মতের বাইরে যাবেনা।ওর বাবার ইচ্ছে তোকে মেয়ে বানাবেন। - তাহলে তুমি বরং ওই মুরুব্বি কে বিয়ে করে ফেলো। আমি ওনাকে আব্বা বলব। আম্মু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলল,পাগলী। এমন পাত্র হাতছারা করলে পাপ হবে। আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আম্মু বেরিয়ে গেল। . অনেক কষ্টে ছেলের মোবাইল নাম্বার জোগার করে কল দিলাম। যদি বিয়ে টা আটকানো যায়,কিন্তু মোবাইল বন্ধ। অবশেষে হবু শ্বাশুরি মাকে কল দিয়ে আমার আপত্তির কারন জানালাম। তিনি বললেন,পেন্সিল হিল পড়ে একসাথে বের হবা। - কিন্তু আনটি,ও যখন অফিসে বের হবে,ওর কপালে এক টা চুমু দেয়ার মত ভাগ্য আমার হবেনা। - কেন হবেনা? টুলের উপর দারিয়ে চুমু দিবা। . অনেক চেষ্টা করেও কিছুই লাভ হল না।পাত্রের নাম তন্ময়।সবারই খুব পছন্দ হয়েছে। আমি পড়েছি মহা যন্ত্রনায়।কিছুদিন আগে এক বৃদ্ধকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। নিজের রক্ত দিয়ে সাহায্য করেছিলাম। তিনিই এখন আমার শ্বশুর হওয়ার ইচ্ছে পোষন করেছেন। হজ্ব করতে যাবেন, সকলেই তার ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে বিয়েতে মত দিয়েছেন। আমার ব্যাপার টা কেউ বুঝল না। . কবুল বলার পর একসাথে খেতে বসলাম। তখন আমার বরকে ভালো ভাবে দেখলাম। ওর চোখে যেন আগুন ঝরছে।হয়ত ওকেও জোর করে রাজি করানো হয়েছে।জানিনা কি আছে কপালে! . রাত সাড়ে দশ টায় শ্বশুরবাড়িতে পৌছলাম। ফ্রেশ হয়ে রুমে আসলাম। . আমার আখাম্বা বর রুমে ঢুকেই আমাকে আপাদমস্তক দেখতে লাগল। তারপর বলল,short মেয়েদের ব্যাপারে আমার এলার্জি আছে।আর তুমি আমার short বউ।তুমি এখন মহা এলার্জি। - জেনে শুনে বিয়ে করেন নাই? - বিয়ের কথা অনেক আগেই শুনেছি।short বলে contact করার ইচ্ছা হয়নি। - তাহলে বিয়ে করলেন কেন? আজব তো! আমি তো আজ সকালে উঠে জানলে পারলাম আমার বিয়ে! - তুমিতো intelligent গার্ল।ছেলে defence এ job করে শুনেই নাচতে নাচতে রাজি হয়ে গেলা।নিজের হাইট টা দেখবা না? - অনেক চেষ্টা করেছি।কাজ হয়নি।আপনার এলার্জি থাকলে বিয়ে করার কি দরকার ছিল? বাবাকে বলতে পারতেন কথা টা। - আব্বু হজ্বে যাচ্ছেন। শেষ ইচ্ছে পুর্ন করব না? - তাহলে এখন আমাকে কথা শুনাচ্ছেন কেন? আর আপনার বাবা তো আমায় দেখেছেন। তিনি কেন এক টা short মেয়ের সাথে ছেলের বিয়ে দিতে গেলেন? - ওই যে রক্তের ঋণ শোধ করবেন বলে। - এভাবে ঝগড়া করতে থাকলে ঋণ শোধ হবে? - তাহলে কি তোমাকে নিয়ে শুয়ে পড়ব? আমি বললাম,আপনি কি করবেন জানিনা।আমি শোব।ঘুম পাচ্ছে। - আমার ভিতরে আগুন জ্বলছে আর তোমাকে ঘুমাতে দিবো? - তাহলে কি ফায়ার সার্ভিস ডাকব? - যা খুশি করো।আমি তোমাকে মেনে নিতে পারব না ব্যস। - তাহলে ডিভোর্স দিয়ে দিন। - ডিভোর্স দেয়ার জন্য বিয়ে করছি? - তাহলে কি ঝগড়া করার জন্য বিয়ে করছেন? - নাহ।রক্তের ঋণ শোধ করার জন্য বিয়ে করছি। - ছাড়তেও চান না,মানতেও চান না।এক টা সিদ্ধান্তে তো আসতে হবে? - বাহ! বিয়ের রাতেই ডিভোর্স চাইছ,লক্ষি মেয়ে তুমি। - দেখুন আমার দিক থেকে কোনো অসুবিধা নাই।আপ্নিই তো অপমান করছেন। - তাহলে কি করব? নিজের হাইট টা তো দেখবা। - অনেক চেষ্টা করছি বিয়ে আটকাতে। পারিনি।যদি আমার বয় ফ্রেন্ড থাকত,অবশ্যই পালিয়ে যেতাম। আপনার গার্ল ফ্রেন্ড ছিল না? - ছিল even এখনো আছে।পুরা ক্যাটরিনা কাইফের মত দেখতে।হাইট ৫ ফুট ৫. - আবারো আমাকে অপমান করছেন। আপনি কি চাচ্ছেন আমি নিজেই আপনাকে ছেড়ে দিই? - যদি বলি তাই? - ওকে।আপনার আব্বা আম্মা হজ্ব থেকে ফিরে আসুক,then সিদ্ধান্তে আসা যাবে। - ওকে ডান। . আমি ব্যাগ থেকে হেডফোন বের করে গান শুনতে লাগলাম। এরকম কিছু ঘটতে পারে ভেবে সারাদিনে নিজেকে প্রস্তুত করেই রেখেছি যাতে এখন কষ্ট না হয়। . তন্ময় চিৎকার করে বলল,কোথায় শোব? - চিল্লাচ্ছেন কেন? - চারবার বলেছি।শুনতে পাওনি। - আমার পাশে ঘুমান। - impossible. - তাহলে ওয়াশরুমে গিয়ে ঘুমান। -কথা কম বলবা।এটা আমার বাড়ি। - আমি এ বাড়ির বউ। চুপ করে গান শুনতে লাগলাম। দুচোখ বন্ধ করে গান শুনছিলাম। তন্ময় কি করছে সেটা দেখার জন্য এক চোখ মেলে তাকালাম। ও ফোনে কথা বলছে।নিশ্চয়ই ওর সেই ক্যাটরিনা কাইফের সাথে।মনে একটা প্রশ্ন জাগল।ক্যাটরিনার তো বয়স অনেক হয়েছে।এত নায়িকা থাকতে ক্যাটের সাথে তুলনা করল।ওর গার্ল ফ্রেন্ড কি তাহলে বয়স্ক মহিলা? হতেও পারে।আমার বরের বয়স তো আর কম হয়নি।প্রশ্নটা তোলা থাক,পরে জিজ্ঞেস করব। . অনেক চেষ্টা করছি ঘুমাতে।কিন্তু ঘুম আসছে না।ঘুম না আসাটাই স্বাভাবিক। বাসর রাত বলে কথা।কিন্তু এ কেমন বাসর? এটাকে তো কালোরাত টু বলা উচিৎ। . রাত ১ টা। খুব ক্ষুধা লেগেছে।এটা আমার বদভ্যাস। খুব রেগে গেলে খাবার গিলতে থাকি।এখন খুব রেগে আছি,তাই খাবারের জন্য দাত কিড়মিড় করছে।কিন্তু এ বাড়িতে ফ্রিজ কোথায় জানিনা।এত রাতে কাউকে খাবার কথা বললে ব্যাপার টা বাজে হয়ে যাবে।তারচেয়ে বরং নিজের রাগ কমাই,রাগ কমলে খাবার ইচ্ছাটাও কমে যাবে। রাগ কমানোর চেষ্টা করে লাভ কিছুই হচ্ছেনা।রাগগুলা সব মেয়বি জেদ করে অবরোধ ডেকে বসেছে।মনে মনে রাগগুলো কে কয়েকটা ভাগে ভাগ করলাম। এক ভাগ রাগ মা বাবার প্রতি,এক ভাগ রাগ শ্বশুর শ্বাশুরির প্রতি,আরেক ভাগ রাগ আমার আখাম্বা বরের প্রতি।যাক,এখন কিছুটা হালকা লাগছে। . তন্ময় এসে বিছানায় শুয়ে পড়ল। আমি অন্যদিকে সরে ওকে জায়গা করে দিলাম। হেডফোনটা খুলে রাখলাম। অনেকক্ষণ পর তন্ময় বলল,আমাকে disturb করবা না।ঘুমাব। - disturb করব কেন? - অধিকার খাটানোর জন্য। - করতেও পারি।আমাকে কেউ কিছু নিষেধ করলে সেটার প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যায় আমার। - তোমার আকর্ষণ এমনিই কমবে।আব্বু আম্মু চলে যাক,আকর্ষণ টের পাবা। - আহারে! কি সৌভাগ্য আমার! তন্ময় দাতে দাত চেপে বলল,সেটা পরেই টের পাবা।ওরা চলে যাওয়ার পর তোমার মুখ আর আমি দেখতে চাইনা। - ওকে তাহলে মুখোশ পড়ে থাকব।আমার হাত,পা,চুল এগুলা দেখবেন। তন্ময়ের রাগ আরও বাড়ছে। আর আমার রাগ কমছে।ব্যাপার টা কি বুঝলাম না! . তন্ময় উঠে বসে বলল,ঘুমাতে দিবা না বুঝছি। - বাসর রাতে কেউ ঘুমায়? - বাসর রাতের গুল্লি মারি। তন্ময় খুব রেগে গেছে।আমি বললাম,আপনি গুলি মারতে পারেন? আপনার তো রিভলভার থাকার কথা।থাকলে সেটা আমার মাথায় ঠেকিয়ে ঠুস করে দিন।আমি মরে গেলে ডেড বডি লুকিয়ে ফেলবেন। সবাইকে বলবেন বউ পালিয়ে গেছে। তন্ময় বলল, এত শয়তানি বুদ্ধি পাও কই হুম? দেখেই বুঝেছিলাম তুমি একটা চিংড়িমাছ। - চিংড়িমাছের মাথায় গু থাকে তাইনা? তন্ময় ভীষণরকম রেগে বলল,আমাকে রাগাতে ভাল্লাগছে? তাইনা? - হুম।বিষে বিষে বিষকক্ষয়,তেমনি রাগে রাগে রাগকক্ষয়। - shut up. . আমি একেবারেই shut down হয়ে গেলাম।বিছানার এক কোনো গুটিসুটি মেরে শুয়ে রইলাম।যদিও খুব দুষ্টুমি করতে ইচ্ছে করছে।কিন্তু এখন লক্ষী মেয়ের মত ঘুমানোটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। . আবারো মনে প্রশ্নটা উদয় হল।তন্ময়ের গার্ল ফ্রেন্ড বয়স্ক মহিলা কি না? আসতে করে বললাম,ঘুমিয়ে গেছেন? - উহুম।কি হইছে? - আপনার গার্ল ফ্রেন্ড কি বয়স্ক? - non sense. . আমি আর কিছু বললাম না।হায় রে বিয়ের রাত! নিজের বিয়ে নিয়ে কত্ত পরিকল্পনা ছিল! আব্বু আম্মু সব নষ্ট করে দিলো। . কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম জানিনা। মোবাইলের রিংটোনের শব্দে ঘুম ভাঙল। - হ্যা আম্মু বলো। - কিরে এত বেলা অব্দি ঘুমাচ্ছিস? - হুম।তোমার জামাই এত ভালো যে...... থাক বাকিটা আর বললাম না। - সব ঠিক আছে? - কিচ্ছু ঠিক নাই।তাড়াতাড়ি এসে আমাকে নিয়ে যাও। - নারে।দুটা দিন থাক।বেয়াই সাহেবরা চলে গেলে এসে অনেকদিন থাকিস। - ওহ আমার ত নতুন মা বাবা হইছে।তোমাদের দায়িত্ব তো শেষ। তাহলে কল দিছো ক্যানো? - রাগ করিস না মা।কয়েকদিন গেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। কল কেটে দিলাম।আজ আম্মুর সাথেও কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। . ফ্রেশ হয়ে বাইরে আসতেই শ্বাশুরিমা এসে অনেক কথা বললেন, উপদেশ দিলেন। ওনাদেরকে মা বাবা বলে ডাকতে বললেন। নিজের মা বাবা ছাড়া কোনো ভাগ্নিকেও শখ করে আম্মু আব্বু বলিনি।কিভাবে সম্ভব? অনেক চেষ্টা করে বলতে পারলাম। দুজনেই খুব খুশি। বাবা আমাকে তুলে খাওয়ালেন। তারপর বললেন, এই সংসার টা আমরা দুইজন মিলে অনেক কষ্টে আর যত্নে সাজিয়েছি।আমরা আর কয়দিনই বা বাঁচব? আমার আর ছেলেমেয়ে নাই।এখন তুমি আর তন্ময় ই এসব দেখবা।তন্ময় খুব রাগী, কিন্তু অনেক ভালো ছেলে।ওকে সামলে রেখো। একটু কষ্ট হলেও সহ্য করো।কিন্তু সংসার টা টিকিয়ে রেখো।আমরা যদি হজ্ব থেকে আর ফিরতে না পারি,যদি সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করি,আর তো বলতে পারব না মা। আমি বাবার হাত ধরে বললাম,দোয়া করি বাবা আপ্নারা যেন সুস্থ শরীরে ভালভাবে ফিরে আসতে পারেন। />মা বললেন , আমার পাগল ছেলে টাকে দেখে রেখো মা। কি বলব বুঝতে পারছি না।দুজনেই মায়াভরা চোখে তাকিয়ে আছেন। ভরসা দিয়ে বললাম,দোয়া করবেন আপ্নারা। - মা,তোমার তন্ময়কে পছন্দ হয়েছে? মনে মনে বললাম,এই প্রশ্নটা বিয়ের আগে করলে কি হত? কিন্তু সেটা বলতে পারলাম না।বললাম,হুম। - তুমি নাস্তা নিয়ে গিয়ে তন্ময়কে ডেকে তুলে খাওয়াও। নিজেও খাও। কাল সেই সন্ধ্যেবেলা খাইছ। আমার কেন জানি খুব মায়া লাগছে এই মানুষ দুজনের প্রতি।বিয়ে হতে না হতেই এত মায়া জন্মাল কেন? ওনারা আমাকে খুব স্নেহ করেন।এদের ছেড়ে যেতে খুব কষ্ট হবে।তন্ময় যদি মানতে না চায়,আলাদা তো হতেই হবে।ভাবতেই খারাপ লাগছে। . নাস্তা নিয়ে এসে দেখি তন্ময় ঘুমাচ্ছে।ডাকলে আবার রেগে যাবে নাতো? দুইবার ডাকতেই চোখ মেলে তাকাল।বলল,এত সকাল সকাল ডাকছ কেন? - মা নাস্তা পাঠিয়েছেন।খেয়ে নিন। তন্ময় কোনো কথা না বলে উঠে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসল।আমি খাবার এগিয়ে দিতেই বলল,শাড়ি পড়ে আছ কেন? জামা থাকলে জামা পড়ে নাও। আমি দারিয়ে রইলাম। ও খেতে শুরু করেছে। একবার খেতেও বলছে না! আমারও তো ক্ষিধে পেয়েছে।বাবা শুধু দুইবার মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন, তাতে কি পেট ভরে? তন্ময় আমার দিকে তাকিয়ে বলল খেয়েছ? - না। - বসো।খেয়ে নাও। . আমিও একটা প্লেট নিয়ে খাওয়া শুরু করলাম। . গোসল সেরে জামা পড়লাম। ঘরে আসতেই তন্ময় ড্যাবড্যাব চোখে তাকাল। আমি খুব সহজ ভঙ্গিতে ব্যাগ থেকে আমার জিনিসপত্র বের করলাম। চোখে কাজল দিলাম,হালকা লিপস্টিক দিলাম,চুল আচরে ছেড়ে দিলাম।আয়নায় তাকিয়ে দেখি তন্ময় মুচকি হাসছে। মাথা ঘুরিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, হাসছেন কেন? - তোমার weight ৩৮ তাইনা? - হুম।কিভাবে বুঝলেন? - অনুমান করলাম। চেহারার গড়ন, ওয়েট, সবকিছুই হাইটের সাথে ম্যাচ করেছে।এখন তোমাকে ঠিক পুতুলের মত লাগছে।যেকেউ দেখলে বলবে ক্লাস এইট নাইনে পরো। আমি হাসলাম। তন্ময় বলল,তোমার হাসিটাও সুন্দর, চুলগুলাও সুন্দর, সব মিলিয়ে রুপবতী বলা যায়।কিন্তু হাইট টাই প্রব্লেম। আমার কলিগ,ফ্রেন্ড সার্কেল, সবার সামনে কিভাবে পরিচয় করাই দিবো? বাইরে বের হবো কিভাবে? এসব ভাবলে মাথা গরম হয়ে যায়। - এত মাথা গরম করতে হবেনা।আমিতো চলেই যাবো। তখন আপনার ক্যাটরিনাকে বিয়ে করে ফেলবেন। তন্ময় কি যেন ভাবল।তারপর বলল,তোমাকে নিয়ে থাকাটা সম্ভব না আমার পক্ষে।প্লিজ কষ্ট পেও না।আমি কি করবো বলো? পারব না। - পারতে হবেনা।কিন্তু এভাবে বললে আমার নিজেকে ছোট মনে হয়।অপমানিত বোধ করি।এভাবে বলবেন না।আপনি যা চান,তাই হবে।বাবা মা চলে যাক,তারপর আমার মুখ আর দেখতে হবে না , চলবে,,


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২০৯৭৭ জন


এ জাতীয় গল্প

→ সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট - 4
→ সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট-২
→ সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট - ১

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now