বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন
বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

রাজকুমারী মেহের-০৩ (শেষ)

"রূপকথা " বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান রিয়েন সরকার (০ পয়েন্ট)

X তিন ব্যাঙ্গমীর পিঠে চড়ে রাজকন্যে নাজিফা সকাল সকাল ই চলে এলো। নাজিফাকে পেয়ে মেহেরের আনন্দ আর ধরে না! ব্যাঙ্গমা - ব্যাঙ্গমীর পিঠে চড়ে বাগানময় ঘুরে বেড়াল দুজনে। ছাদে আর প্রাসাদের গলি ঘুপচিতে ছোটাছুটি করল। ওদের উত্তেজনা দেখে রাজা হাসেন। বহুদিন পর মেয়েটাকে এত হাসিখুশি দেখছেন তিনি। ছোটাছুটি করে ক্লান্ত হয়ে মেঝেতে বসে হাঁফাতে থাকল নাজিফা আর মেহের্। কিছুটা সুস্থির হয়ে নাজিফা মেহেরের বানানো পুতুল গুলো এক এক করে ছুঁয়ে দেখছে মুগ্ধ হয়ে। "আমাকে একটা পুতুল বানিয়ে দিবি? " হঠাৎ করেই বলল নাজিফা "এমন একটা পুতুল যেটা দেখলে সবাই তাকিয়েই থাকবে। " মেহের তখন ব্যাঙ্গমার সাথে ঈশারায় কথা বলছে। আর কেউ কিছু বুঝুক আর না বুঝুক , ব্যাঙ্গমা মেহেরের সব কথা বোঝে। নাজিফার কথা শুনে মুখ তুলে তাকালো ও। ছোট্ট একটা হাসি ফুটলে ওর ঠোঁটে। মাথা ঝাঁকিয়ে উঠে পড়ল সে। ব্যাঙ্গমা -ব্যাঙ্গমীও খুশিতে মাথা নাড়ালো। অবশেষে রাজা ফাতাহ এর চিন্তার অবসান ঘটতে যাচ্ছে! মেহের ঠিক করল কাঠ , পাথর , ঝিনুক বা তুলো দিয়ে নয়; নাজিফাকে সে খাবার দিয়ে পুতুল বানিয়ে দিবে। ঘিয়ে চুপচুপে সোনালী রঙ্গের পোলাও দিয়ে মানবদেহ বানালো মেহের্। রকমারি খাবার আর ফলফলাদি দিয়ে পোশাক বানালো। মুকুট আর জুতোও বানালো ও। ধীরে ধীরে পুতুল টি সুদর্শন রাজকুমারের আকৃতি পাচ্ছে। ছোট খাট একটা ছুরি বানিয়ে রাজকুমারের কোমরে গুজে দিল মেহের্। মনে মনে ভাবছে , যদি তার প্রাণ দেওয়ার ক্ষমতা থাকতো , তাহলে সে অবশ্যই এই পুতুল টিকে জীবন্ত করে দিতো। সেই সাথে আরো একটি ক্ষমতা দিতো রাজকুমার কে। নাজিফা রাজকুমারের পুতুল টি দেখে খুব খুশি হলো। রাতে ওরা পুতুলটিকে শোবার ঘরে নিয়ে গেল। ঘুমানোর আগে মেহের রাজকুমারের চকচকে কালো চোখের দিকে তাকিয়ে থাকলো কিছুক্ষণ। তারপর ঘুমিয়ে পড়ল সে। দক্ষিণা বাতাসে তখনো জানালায় লাগানো ফিনফিনে পর্দা উড়ছে। চাঁদের আলো এসে পড়ছে রাজকুমারের পুতুলটির উপর্। গভীর রাতে হাঁটার শব্দে ঘুম ভেঙে গেল মেহেরের্। চাঁদের রূপালী আলোয় সে দেখতে পেল কেউ হাঁটাহাঁটি করছে তার কামরায়। ভয় পেয়ে উঠে বসল সে। ওদিকে নাজিফার ও ঘুম ভেঙে গেছে। প্রদীপ জ্বালিয়ে ওরা দেখতে পেল সোনালি চামড়ার অত্যন্ত রূপবান একজন রাজকুমার কামরায় মাঝখানে দাড়িয়ে আছে। "আমার রাজকুমার প্রাণ পেয়েছে! আমার রাজকুমার প্রাণ পেয়েছে !!" বলে নাজিফা রাজকুমারের দিকে এগোয়। রাজকুমার তখন ধীর পায়ে হেঁটে মেহেরের সামনে এসে দাড়ায়। সে তো মেহেরের কাছেই যাবে! মেহের ই তো তাকে নিজ হাতে বানিয়েছে! মেহেরের প্রার্থনায় ই তো সে জীবন পেয়েছে। রাজকুমার মেহেরের হাত দুটি নিজের হাতে তুলে নেয়। মেহের তখনো অবাক চোখে চেয়ে আছে রাজকুমারের দিকে। মেহের মুখ তুলে আরেকবার রাজকুমারের চোখের দিকে তাকায়। আবারো মোহাচ্ছন্ন হয় ও। ঘোর লাগা চোখে সে দেখতে পায় , ফুলবাগানে বসে আছে রাজকুমার আর মেহের। রাজকুমারকে গান গেয়ে শোনাচ্ছে ও। সৃষ্টিকর্তা তাহলে তার মনের বাসনা পূর্ণ করেছেন! সত্যি সত্যিই রাজকুমার কে সেই ক্ষমতা টা দেওয়া হয়েছে! (সমাপ্ত)


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২০৯৫৭ জন


এ জাতীয় গল্প

→ রাজকুমারী মেহের-০৩ (শেষ)

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now