বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
দুই
রাতে উত্তেজনায় ভালো ঘুম হলোনা
মেহেরের। কতদিন পর সখী আসছে!
মেহেরের সখী নাজিফাও রাজকন্যে। তবে
মেহেরদের প্রতিবেশী কোন রাজ্যের
রাজকন্যে নয়। বহুদূরের আরাকান রাজ্যের রাজার
মেয়ে সে। আশেপাশের রাজ্যের রাজকন্যেরা
মেহেরকে এড়িয়ে চলে। সত্যি বলতে
রাজকুমারেরাও তাই। হয়তো সে বোবা আর কালা
বলেই। নাজিফার সাথে পরিচয় হবার আগে মেহের
সারাক্ষণ মন খারাপ করে প্রাসাদেই সময় কাটাতো।
যতদিন আম্মি বেঁচে ছিলেন; আম্মিই ছিলেন
মেহেরের বন্ধু; খেলার সাথী এবং ওর বানানো
পুতুল গুলোর একমাত্র দর্শক। ওহ! বলতে ভুলে
গেছি; মেহের খুব ভালো পুতুল বানাতে
পারতো। আম্মি মারা যাওয়ার পর মেহের পুতুল
বানানো ছেড়ে দিল। ব্যাঙ্গামার পিঠে চড়ে
বাগানময় ঘুরে বেড়ানো বন্ধ হয়ে গেল।
মাস্টারজির কাছে পড়া শেখার সময়টুকু বাদে
সারাদিনের পুরোটা সময় সে তাদের বিরাটাকায় ছাদে
বসে থাকত।
সেসময় ই একদিন ছাদের এককোণে , ছায়ায়
বসে দূর দিগন্তের পানে উদাস দৃষ্টি মেলে
তাকিয়েছিল। হটাৎ করেই সে মোহাবিষ্ট হয়ে
গেল। ঘোর লাগা দৃষ্টিতে দেখতে পেল ,
কোন এক দূর রাজ্যের নিরপরাধ রাজা ভীষণ
বিপদে পড়তে যাচ্ছে। মেহেরের মনে
হলো , রাজ্যটা সে চেনে।
ব্যাঙ্গমার পিঠে ঘুরে বেড়ানোর সময় ব্যাঙ্গমা
একদিন তাকে এক রাজ্যের বাগানে নিয়ে গেছিল।
সেই রাজ্যে ব্যাঙ্গমার ব্যাঙ্গমী থাকত। তার
সাথেই দেখা করতে গেছিল ব্যাঙ্গমা। ওই রাজ্যে
নাকি একজন রাজকন্যে আছে। ব্যাঙ্গমী ওই
রাজকন্যের কাছেই থাকত। ব্যাঙ্গমী মেহের
কে রাজকন্যের সাথে কথা বলিয়ে দিতে
চেয়েছিল। কিন্তু মেহের লোকের চোখে
করুণা দেখতে পছন্দ করে না। তাই সে ব্যাঙ্গমার
পিঠে চড়ে প্রাসাদে ফিরে এসেছিল।
তার মনে হচ্ছিল , সেই রাজ্যের রাজাই বিপদে
পড়তে যাচ্ছেন। সে চট জলদি ছাদ থেকে
নেমে পুরো ঘটনাটা কাগজে লিখে মহারাজার
কাছে দিল। রাজা ফাতাহ প্রথমে অবিশ্বাসের দৃষ্টি
নিয়ে তাকালেও মেহেরের চোখের আকুতি
দেখে কিছু সৈন্য সামন্ত নিয়ে রাজকুমারীর
নির্দেশনানুসারে সেই রাজ্যে গিয়ে পৌঁছুল। গিয়ে
দেখল , সত্যি সত্যিই অপ্রস্তুত অবস্থায় পেয়ে
শত্রুরা রাজ্যটিকে ঘিরে ফেলেছে। ফাতাহ রাজা
একপাশ থেকে শত্রুর ব্যূহ ভেদ করে এগুতে
থাকলো। আর ব্যাঙ্গমাকে মেহের আগেই খবর
দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিল ব্যাঙ্গমীর কাছে।
ব্যাঙ্গমী তার মনিব কে বলতে না বলতেই শত্রুর
আক্রমনের শিকার হয়েছিল রাজ্যটি। রাজা ফাতাহ যুদ্ধ
শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই আরাকান রাজা তাঁর
সেনাবাহিনী কে প্রস্তুত করে ফেলেছিল।
তাঁদের যৌথ প্রচেষ্টায় কিছুক্ষণের মধ্যেই শত্রুরা
পিছু হটতে বাধ্য হল। আর সেই সাথে দুই
রাজ্যের মধ্যে মৈত্রীবন্ধনের সৃষ্টি হলো।
ওদিকে ব্যাঙ্গমা -ব্যাঙ্গমীর কাছে সব ঘটনা
জানতে পেয়ে আরাকান রাজ্যের রাজকন্যে
নাজিফা মেহেরের সাথে আজীবন বন্ধুত্বের
ইচ্ছে পোষন করলো।
সেই থেকে রাজকন্যে নাজিফা আর মেহের
জনম জনমের সখী।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now