বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন
বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

প্রেম তো হয়ে যায় ১

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Shakib Ahammed (০ পয়েন্ট)

X সকাল সকাল আম্মুর ডাক, আম্মুঃ এই শাকিব,উঠ তাড়াতাড়ি উঠ। আমিঃ আম্মু আরেকটু ঘুমাই না,,, আম্মুঃ না, আর ঘুমানো যাবে না, আজকে তোর খালু আসবে ভুলে গেলি। আমিঃ না আম্মু, উঠতেছি তো, কি আর করার, উঠেই পড়লাম, অনিচ্ছাসত্ত্বেও। তারপর ফ্রেশ হয়ে গেলাম। এখন বাজে সকাল ৬ টা, উঠেই হাটতে হাটতে চলে গেলাম বাস স্ট্যান্ডে। গিয়ে দেখি কেও আসে নাই এখনো। আর এখনো আমার খাওয়া হয় নাই। তাই আমি ভাবলাম কিছু খেয়ে আসি, তো এখন কি আর খাওয়া যাবে। সামনে দেখা যাচ্ছে একটা বাদামের দোকান। তাই ওখানেই যাচ্ছি। যেতে যেতে আমার পরিচয় টা দিয়ে নেই। আমি শাকিব। আব্বু ,আম্মুর একমাত্র আদরের ছেলে। আমি সাধারনত মেয়েদের থেকে সবসময় দূরে থাকি। বাদামের দোকানে এসে ১০ টাকার বাদাম কিনে খাওয়া শুরু করলাম। খেতে খেতে আগের জায়গায় এসে দেখি খালু, খালাম্মা এসে বসে আছে, সাথে একটা মেয়ে, মেয়েটা অনেক সুন্দর। মনে হয় ও শ্রাবন্তী। শ্রাবন্তীকে আমি সবচেয়ে ভয় পাই। আমিঃ খালু, খালাম্মা, আসসালামু আলাইকুম, ভালো আছেন, খালাঃ হ্যা,বাবা ভালো আছি, তুই? আমিঃ হ্যা,ভালো আছি। খালাম্মা আপনি কেমন আছেন? খালাম্মাঃ আমিও ভালো আছি, আমিঃ চলুন বাসায় যাই,, খালু-খালাম্মাঃ হ্যা চল । শ্রাবন্তীঃ ওই শাকিব, আমার কথা জিগাইবি না? আমিঃ ওওহহ,,হ্যা,,কে কেমন আ আছিস?(তুতলিয়ে) শ্রাবন্তীঃ ভালো,,,,বলে দিতে হয়, তুই আর পাল্টাইলি না,, আমিঃ হুম,চল। খালু-খালাম্মা শুধু মুচকি মুচকি হাসতে লাগল। আমি তাদের নিয়ে যাচ্ছি। এখনো কোন রিকশা দেখছিনা। তাই হেটেই যাচ্ছি। শ্রাবন্তীঃ এই তুই আমাকে রেখে বাদাম খাচ্ছিস! আমিঃ ও নে,,(সবটা দিয়ে)। শ্রাবন্তীঃ সবগুলো কেন? তুই খাবি না? আমিঃ না,, যেতে যেতে রিকশা দেখতে পেলাম। তাই দুটো রিকশা নিলাম। আমি আর খালু একটাতে শ্রাবন্তী আর খালাম্মা একটাতে। আমরা বাসায় এসে আমি কলিংবেল বাজালাম। আম্মু দরজা খুলে সবার সাথে ভালোমন্দ কথা বলে ভিতরে চলে গেলো। আমার কথাটা একবারের জন্যও জিজ্ঞাসা করল না,, মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি। তারপর আমি আরেকটু ঘুমানোর জন্য আমার রুমে চলে গেলাম। কিচ্ছুক্ষন ঘুমানোর পর,,,,, শ্রাবন্তীঃ এই শাকিব, উঠ,, আমি বললাম আমিঃ কেন,,? শ্রাবন্তীঃ খেতে ডাকা হইছে। আর এত প্যাচাল পারস কেন? আমিঃ কই প্যাচাল পারলাম,,উঠতেছি তো। দেখি শ্রাবন্তী চলে গেলো। আমি মনে মনে ভাবলাম মেয়েটা অনেক সুন্দর। পরে ভাবলাম,,, তাতে আমার কি। খেতে গিয়ে দেখি আম্মুর পাশের চেয়ারে বসে আছে শ্রাবন্তী। আমি আম্মুকে অনেক ভালোবাসি। তাই খাওয়ার সময় সবসময় আম্মুর পাশে বসি। যাইহোক কিছু না বলে চুপচাপ খেতে বসলাম। সবাই চুপ করে খাচ্ছিলাম। হঠাৎ শ্রাবন্তী বলে উঠল,,,, শ্রাবন্তীঃ খালা, তোমার ছেলে একটুও পাল্টাইনি,,,একটা হাদারাম,,, সবাই হাসছে,,, আমিঃ এই কি বললি,,,আমি হাদারাম,, তো তু তুই কি,, তু তুই তো একটা হাইভিড মেয়ে। শুধু ছেলেদের সাথে........ (চুপ করে গেলাম) শ্রাবন্তীঃ কি বললি, সবটা বল,,( হাতে চামচটা নিয়ে) আমিঃ কই কি বললাম,,,আম্মু খালু খালাম্মা আমি কিছু বলছি,,,, যদিও খালু খালাম্মা বলল কিছু বলে নাই কিন্তু আমার সেই বিখ্যাত আম্মু বলল বলছি। আর শ্রাবন্তীকে পায় কে। খাওয়া ছেড়ে চামচ টা নিয়ে আমার দিকে তেড়ে আসতে লাগল। আমি বুজলাম ব্যাপার ভালো না। তাই আমিও খাওয়া ফেলে আমার রুমে চলে এসে দরজা মেরে দিই। শ্রাবন্তী অনেকবার দরজায় নক করে চলে গেলো। যাওয়ার সময় বলে গেলো,,,, তোকে যদি পাই,, এই টুকুই বলে চলে গেলো। আমি কিছুক্ষন পর খালুকে ফোন করলাম। পাশাপাশি রুম থেকে। আমিঃ হ্যালো,, খালু ওপাশ থেকে মেয়ের কন্ঠ ভেসে আসল। বুজলাম খালু না শ্রাবন্তী । শ্রাবন্তীঃ খালু না,,আমি শ্রাবন্তী । চিনসস। আমি আর কিছু না বলে ফোন কেটে দিলাম। তারপর আমি ফোন দিলাম খালাম্মা কে,, কেননা খালুর কাছে যদি শ্রাবন্তী থাকে তো খালাম্মার কাছে ও নেই। কেননা খালাম্মা আম্মুর কাছে। আমিঃ হ্যালো,,,খালাম্মা? খালাম্মাঃ হ্যারে, আমিঃ শ্রাবন্তী কই? খালাম্মাঃ তোর খালুর সাথে ছাদে। আমি আর কিছুই না বলে সোজা কলেজে চলে আসলাম। আজকে কলেজের সময়টা যেন তাড়াতাড়ি চলে গেলো। আমি বাসার দিকে যাচ্ছি, আর ভাবছি,,,,হয়তো শ্রাবন্তী সব ভুলে গেছে,,,, ভাবতে ভাবতে বাসায় চলে এলাম। কলিংবেল বাজাতেই শ্রাবন্তী দরজা খুলল। এত তাড়াতাড়ি যেন, আমার জন্যই অপেক্ষা করছিলো। আর ওকে খুব রাগান্বিত দেখাচ্ছে। আমি তো ভয়ে শেষ। চলবে,,,,


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২০৯৫৫ জন


এ জাতীয় গল্প

→ প্রেম তো হয়ে যায় ৫ (শেষ পর্ব)
→ প্রেম তো হয়ে যায় ৪
→ প্রেম তো হয়ে যায় ৩
→ প্রেম তো হয়ে যায় ২
→ প্রেম তো হয়ে যায় ১

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now