বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন
বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

♥প্রেম যমুনায়- মাঝি ও আমি♥পর্ব-১৫♥ ক্যাম্প ফায়ার পর্ব ♥

"উপন্যাস" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান মোঃ আনিছুর রহমান লিখন (০ পয়েন্ট)

X লেখকঃ মোঃ আনিছুর রহমান (নিজ) প্রকাশনাঃ হ্যামক ট্যুরিজম বিডি শ্রেণীঃ উপন্যাস প্রকাশকালঃ ২০১০ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥পর্ব-১৫♥ জাবির প্রতিটি সময় আমার কাছে এক একটি বছর মনে হচ্ছিল। কারোর সাথে কথা বলি না। এখন থেকে একা একা থাকার চেষ্টা করছিলাম। আর বারবার অপরাজিতার কথা মনে পড়ত। অপরাজিতার ছবি দেখে আনমনা বুকটাকে একটু সান্তনা দিতার। প্রায় সময় উদাসিন হয়ে ঘুরে বেড়াতাম। আমার সহপাঠীরা বিশেষ করে সাইদ আমাকে লক্ষ্য করছিল। এক সময় সাইদ আমাকে ডেকে বলে- - তোর কি হয়েছে রে আনিছ? বেশ কয়েকদিন হলো লক্ষ্য করছি, তুই আর আগের মতো নেই। তোর কিছু একটা হয়েছে! বল্ না আমায়। - নারে সাইদ, কিছু হয় নি তো। - আমার কাছে কিছু লুকোচ্ছিস! - না, আমি ঠিক আছি। - এভাবে কার না ভাল লাগে! চল্ কক্সবাজার যাই। সমুদ্র সৈকতে ক্যাম্প ফায়ার আয়োজন করব। আর প্রকৃতির পরশে মনটা চাঙ্গা করতে চাই। কি বলিস? - তোর কথাটা অযৌক্তিক নয়। সবার পরামর্শে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণের জন্য নির্ধারণ করা হলো। মাস খানেক ছুটি। আমি, সাইদ ও আমার সহপাঠীরা সবাই মিলে কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকত দেখতে যাচ্ছি। সঠিক সময়ে আমরা গেস্ট হাউজে এসে পৌঁছলাম। পরক্ষণে সমুদ্র সৈকতে আমরা সবাই মিলে বিচরণ করছি প্রকৃতির সজীবতার পরশ পেতে। সৈকতে আমি অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর বাহারি ঝিনুক কুড়ালাম। শুধুমাত্র অপরাজিতার জন্য। যখন আমরা ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম তখন দেখতে পেলাম সেই মেয়েটিকে। হয়ত প্রিয়া হতে পারে! আমাদের দেখে চিনতে পেরে আমাদের কাছে এল। আমাদের উদ্দেশ্য করে বলল, - আপনারা কেমন আছে ভাইয়া? - আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। তুমি? - আলহামদুলিল্লাহ। - বিশেষ করে আপনাকে ( সাইদকে) ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনার মাধ্যমে একদিন আমি অসম্মান হতে বেঁচেছিলাম। - সে আর কি? আমি আমার কর্তব্য করেছি মাত্র। আপনাকে যখন পেয়েছি তাহলে আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আমাদের ক্যাম্প ফায়ারে অংশগ্রহণ করার জন্য। - আমাকে আপনি তুমি বলে ডাকতে পারেন। - তুমি আসবে তো প্রিয়া? - অবশ্যই। কেন নয়? আমরা সবাই ও প্রিয়ার বান্ধবীরা সহ ঘুরে ফিরে দেখছি। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে আমার মনে ভালবাসা সাড়া জাগায়। অপরাজিতার কথা মনে পড়ে। নিমিষে কবি হয়ে যাই। " আমার ভালবাসা সমুদ্রের চেয়ে বিশাল হয় ভালবাসার ভুবনে থাকবে না ভয়, তোমার আমার ভালবাসা হবে জয়।" - এত কবিগিরির ভাব মারিস না! - কবি নারে, সবই মনের কথা। - আনিছ ভাইয়া মনে দেখছি জোশ আছে। - ধন্যবাদ প্রিয়া। রাতে আমরা ক্যাম্প ফায়ার আয়োজন করেছি। আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়ছে চারদিক। সমুদ্রের জল থেকে আগুনের প্রতিবিম্ব দেখা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে সমুদ্র জলে কেউ জানি আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। এ সময় প্রিয়া আবির্ভাব। সবাই মিলে একই তালে ধরেছি ক্যাম্প ফায়ারের গান। " ক্যাম্প ফায়ার ক্যাম্প ফায়ার, আজ আমাদের ক্যাম্প ফায়ার, ক্যাম্প ফায়ার...................। আগুনের শিখা দেখো উর্ধ্ব আকাশে মোদের মনে আশা জাগে তারই পরশে নির্ভয়ে এসো ভাই মিলি এক জায়গায় প্রেম-প্রীতি ভালবাসা মিলনের গান গাই। দাও মুছে হৃদয়ের হিংসা-অহংকার ক্যাম্প ফায়ার.......................। " ক্যাম্প ফায়ারের পরপরই দু'ঠোঁটের মিষ্টি হাসির ঝলকে সাইদে আকৃষ্ট করে। - একি! কে হেসে আমার বন্ধুর মনটা দখল করে নিয়েছে? প্রিয়া নয়ত কি? আমার মন বলছে অবশ্যই প্রিয়া হবে। প্রিয়া মনে হয় সাইদে পছন্দ করতে শুরু করে দিয়েছে। ধীরে ধীরে সবকিছু বিলীন হয়ে গেল। দূর আকাশে তারার মেলা বসেছে। এখন আমাদের ফেরার পালা। - আমাদেরও ফেরার সময় হয়ে এলো যে? আমরা তবে চলি ( প্রিয়া বলল)। - ( সাইদ মনে মনে বলছে) প্রিয়া সাথে আরেকটু সময় যদি কাটাতে পারতাম। প্রিয়াকে আমার এত ভাল লাগে কেন? আমি কি প্রিয়ার প্রেমে পড়েছি? প্রিয়াকে বিদায় জানাতে আমার এত কষ্ট হচ্ছে কেন? কক্সবাজার থেকে রওনা হওয়ার পরপরই পথিমধ্যে বাসটি দূর্ঘটনায় কবলিত হয়ে নষ্ট হয়ে গেল। এত দূর রাস্তা! কিভাবে তারা যাবে? এ ভাবনায় তারা ঘাবড়ে গিয়েছিল। ভাগ্য ভাল। আমাদের বাসে যথেষ্ট জায়গা ছিল বলে তাদেরকে আসতে বললাম। কিন্তু প্রিয়াদের বাস কন্ট্রাক্টর তাদের ছাড়তে রাজি হলো না। বিশেষ করে আমাদের কাছে। কারণ তাদের বাস ভাড়া বাকি ছিল। আমি ও সাইদ চাঁদা তুলে বাকি বাস ভাড়া দিয়ে ওদের নিয়ে রওনা দিলাম। আমি, সাইদ ও প্রিয়া। যেতে যেতে প্রিয়ার কাছে তার জীবনের কথা শুনি। প্রিয়া মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। কোন ভাই বোন নেই। আমারও কোন ছোট বোন নেই। তাই প্রিয়াকে ছোট বোন বানিয়ে নিলাম। যথা সময়ে বাস এসে থামল। যাওয়ার সময় প্রিয়া আমার কাছ থেকে সাইদের সেল ফোন নং চেয়ে নিল। - সবার পক্ষ থেকে।আপনাদের আবারও কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনাদের ওছিলায় এ বিপদ থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন। আমরা সবাই আসছি। আল্লাহ্‌ হাফেজ। চলবে.............


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২১০০৮ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now