বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
"নামাজ"
"ইসলামিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান মফিজুল (০ পয়েন্ট)
X
নামঃমফিজুল
উৎসর্গঃসকল গল্পের ঝুড়িয়ান
"নামাজ কে বলো কাজ আছে
কাজকে বলো আমার নামাজ আছে"জনপ্রিয় এই ইসলামিক সংগীত ইকটু হলেও মনকে অনুপ্রেরণিত করে।নামজ সম্পরকে সঠিক ধারণা দেয়।হজরত রাবেয়া বশরী (র) এক হাতে পানি ও আগুন নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন হাসান বশরী বলে " ও রাবেয়া তুমি কোথায় যাও" রাবেয়া বশরী বলেন "জান্নাত কে আগুন দিয়ে জ্বালাতে এবং জাহান্নামের আগুন কে পানি দিয়ে নিভাতে।"তিনি আরও বলেন " মানুষ নামাজ পড়ে জান্নাতের জন্য কিন্তু নামাজ পড়া উচিৎ আল্লাহকে ভালোবাসার জন্য তাঁর নৈকট্য লাভের জন্য। আল্লাহকে ভালোবাসলেই তো জান্নাত পাওয়া যায়।" আমরা বর্তমানে অনেক ভালো কাজ ও অনেক খারাপ কাজ করি।আল্লাহ উপর থেকে সব কিছুই দেখছেন। আমরা ভূলে গেছি আমাদের দুই কাঁধে দুইজন ফেরেস্তা রয়েছে। তারা সবই লিখছেন। ইবলিস শয়তান আল্লাহ কে বলে-এই আদমের জন্য আমি শয়তান হয়েছি তাই আদম সন্তানদের আমি আমার রাস্তায় নিয়ে আসব।আল্লাহ বলেন"যারা আমার কথার অবাধ্য তাদের তুই তোর রাস্তায় নিতে পারবি কিন্তু যারা খাঁটি মুমিন যারা আমার কথা শুনে তাদের তুই তোর রাস্তায় নিতে পারবি না" এবার মূল গল্পে আসি।
এককালে এক দেশে দুই দম্পতি ছিল। তাদের দুটি পুএ সন্তান হয় একজনের নাম আবদুল্লাহ এবং আরেকজনের নাম ইয়াকুবুল্লাহ।তারা দুজনে দুই রকম।আবদুল্লাহ সবসময় নমাজ পড়ে। মানুষ মানুষের সাথে প্রেম করে আর ও আল্লাহর সাথে প্রেম করে।আল্লাহর প্রেমে সে মশগুল।রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে। আললাহর জিকির করে।সবাইকে শ্রদ্ধা করে।সত্য কথা বলে।সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। কাজা করে না।অন্যদিকে ইয়াকুবুল্লাহ নামাজ পড়ে না। সত্য কথা বলে না। গুরুজন দের শ্রদ্ধা করেনা।চুরি করে। তাদের বাবা মারা যাওয়ার পর দুইজনকে সমান সম্পওি দেন কিন্তু ইয়াকুবুল্লাহ ছল ছাতুরি করে আবদুল্লাহর সম্পওি ও নিয়ে যায়। তারা বড় হলে আবদুল্লাহ কাপড় এর ব্যবসা করে এবং ইয়াকুবুল্লাহ সুদের ব্যবসা করে মানুষকে ঠকায়। দুজনে বৃদ্ধ হয় এবং প্রথমে আবদুল্লাহ মৃত্যুকে গ্রহণ করে তারপর ইয়াকুবুল্লাহ মারা যায়।আবদুল্লাহর কবরে মুনকার-নাকির আসে প্রশ্ন করে এবং আবদুল্লাহ প্রশ্ন গুলোর সঠিক জবাব দেয়।কিন্তু ইয়াকুবুল্লাহ পারেনা(সেই প্রশ্ন গুলো কি নিশ্চই বুঝতে পারছেন)তারপর শান্তি ও আজাব শুরু হয়।আস্তে আস্তে সময় পার হয়।ইসরাফিল (আ) শিঙ্গায় ফুঁক দেন ফলে কিয়ামত হয়। সব ধ্বংস হয়। কিয়ামতের পর আল্লাহর কথায় ইসরাফিল (আ) শেষ বারের মতো শিঙ্গায় ফুঁক দিলেন।ফলে সকল প্রাণী জীবিত হলো।সে সময় আবদুল্লাহ আর ইয়াকুবুল্লাহ ও ছিল। হজরত জিবরাইল (আ) সকলকে এক ময়দানে ডাকলেন যার নাম হাশরের ময়দান।তারা দুই ভাই পরস্পর ছিল কিন্তু কেউ কাউকে চিনতে পারে নাই।এ সময় হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উম্মত দের জন্য সুপারিশ করেন।তারপর
মহান বিচার শুরু হয়। মিযানের মাধ্যমে পাপপুন্যের ওজন করা হয়। তাদের দুই ভাইয়ের ও করা হয়।তারপর আবদুল্লাহ জান্নাত ও ইয়াকুবুল্লাহ জাহান্নাম।
বিদ্রঃআমাদের সবাই কে নামাজ পড়তে হবে। অন্তত আল্লাহ এটা দেখে খুশি হবেন যে তাঁর বান্দা তাঁকে সিজদাহ করছে।তখন শয়তান কিছুই করতে পারবে না।
তাই চলুন শুদ্ধ মনে আল্লাহ কে মেনে নামাজ পড়ি।
ভুল ক্রটি মাফ করবেন।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now