বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন
বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

কবিরা গুনাহ পর্ব ২ (১)আল্লাহর সাথে শিরক করা

"ইসলামিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান মোঃ ইমন ইসলাম শুভ (০ পয়েন্ট)

X লেখকঃ৷ ইমাম আয্-যাহাবী(রহ) আল্লাহর সাথে কাউকে শিরক করা হচ্ছে সবচেয়ে জঘন্যতম কবিরা গুনাহ। এই শিরক দুই প্রকার ১)আকিদাগত শিরকঃ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে আল্লাহর সমতুল্য মনে করা এবং তাঁর ইবাদত বা উপাসনা করা। যেমনঃ পাথর, বৃক্ষ, চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ফেরেশতা, নবী, ওলী, জিন, দেবতা ইত্যাদি যা-ই হোক না কেন তাকে আল্লাহর সমতুল্য মনে করা। এবং তাঁর পূজা করা সবচেয়ে বড় শিরক। আল্লাহ তায়ালা বলেন নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সাথে কাউকে শিরক করার গুনাহ মাফ করেন না এর চেয়ে সর্ব নিম্ন পর্যায়ের যে কোন গোনা যাকে ইচ্ছা তিনি মাফ করেন( সূরা নিসা ৪৮) আল্লাহ তালা বলেন যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শিরক করবে আল্লাহ তার জন্য বেহেশতে হারাম করে দিবেন এবং তার বাসস্থান হবে জাহান্নাম (সূরা আল মায়েদা ৭২) বস্তুত যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে বা কোন বস্তুকে শিরক করবে এবং সেই অবস্থায় মারা যাবে সেই নির্ঘাত জাহান্নামে যাবে। যেমনঃ কেউ আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলে এবং মুমিন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে জান্নাতবাসি হবে চাই সে জাহান্নামে যতই আজাব ভোগ করুক না কেন। রাসূল (সা) একদিন বলেন আমি কি তোমাদের সবচেয়ে বড় কবিরা গুনাহ সম্পর্কে অবহিত করবো না? জি হ্যাঁ ইয়া রাসূলাল্লাহ তখন তিনি বললেন আল্লাহর সাথে কাউকে শিরক করা পিতা-মাতাকে কষ্ট দেওয়া। অতঃপর তিনি হেলান দেয়া হয়ে সোজা হয়ে বসলেন মিথ্যা বলা ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া থেকে সতর্ক থাক। এই শেষোক্ত কথাটি তিনি এত বার পুনরাবৃত্তি করতে থাকেন যে বর্ণনাকারী বলেন আমরা মনে মনে বলতে লাগলাম রাসুল (সা) যদি চুপ থাকতেন তবে ভালো হতো (বুখারী ও মুসলিম)। দ্বিতীয় প্রকারের শিরক হচ্ছে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে নেক আমল করা। আল্লাহ বলেন যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ কামনা করে তার নেক কাজ করা উচিত এবং নিজ প্রতিপালকের এবাদতের তার কাউকে শরিক না করা উচিত। অর্থাৎ নিজের নেক আমল কাউকে দেখানোর উদ্দেশ্যে করা উচিত নয় রাসূল (স) বলেছেন যে লোক দেখানো কাজ করে আল্লাহ তার সাথে লোক দেখানো আচরণ করে (সহীহ মুসলিম) রাসূল (স) বলেনঃ তোমরা ছোট শিরক থেকে সাবধান থাকো? সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন ছোট শিরক কি? তিনি বললেন রিয়া অর্থাৎ লোক দেখিয়ে নেক কাজ করা। যেদিন আল্লাহ তাঁর বান্দাকে কর্মফল দিবেন সেদিন তাদেরকে বলবেন যাদেরকে দেখিয়ে দেখিয়ে দুনিয়ায় তোমরা সৎ কাজ করতে তাদের কাছে চলে যাও দেখো তারা তোমাদেরকে কোন প্রতিদান দেয় কিনা (আহমদ বাইহাকী তাবরানী)। এক ব্যক্তি রাসূল( স) এর নিকট জিজ্ঞাসা করছিলেন মুক্তির পথ কি? তিনি বললেনঃ তোমরা আল্লাহকে ধোকা দিও না তবে মুক্তি পাবে। প্রশ্নকারী আবেদন করলেন আল্লাহকে কিভাবে ধোকা দেওয়া হয় তিনি বললেন তুমি যদি আল্লাহ ও তাঁর রসূল (সা) এর নির্দেশিত কোন কাজ আল্লাহ ছাড়া অপর কাউকে খুশি করার জন্য করো তবে আল্লাহ কে ধোকা দেওয়া হবে। তোমরা লোক দেখানো আমল থেকে বিরত থাকো কেন রিয়া হচ্ছে ছোট শিরক যে ব্যক্তি রিয়াকারিতে জড়িত থাকবে কিয়ামতের দিন তাকে জনতার সম্মুখে চারটি নামে ডাকা হবে ১) হেঁ রিয়া কার ২) হে বিশ্বাসঘাতক ৩)হে অবাধ্য ৪) হে ক্ষতিগ্রস্ত । হযরত ফাজিল বিন ইয়াজ বলেন লোকের ভয়ে খারাপ কাজ ত্যাগ করা রিয়াকারী আর মানুষকে খুশি করার জন্য ভালো কাজ করা শিরক। আর ইখালাস হচ্ছে এই রোগ থেকে মুক্তি থাকার নাম। আমরা শিরক থেকে বেচে থাকব। শিরক থেকে বেচে থাকার তৌফিক দান করুক (আমিন) ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমা করবেন আল্লাহ হাফেজ পড়ার জন্য ধন্যবাদ দয়া করে কপি পেষ্ট করবেন না


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২০৯৭৪ জন


এ জাতীয় গল্প

→ কবিরা গুনাহ পর্ব ২ (১)আল্লাহর সাথে শিরক করা

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now