বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
ভুল ত্রুটিগুলোখমা করবেন।
কবিরা গুনাহ সম্পর্কে বিস্তারিত
লেখকঃইমন(বিভিন্ন বই থেকে সংগ্রীহিত।তাই ভাব্বেন না আমি নিজে লিখছি।কেউ এমন আছে যে অপমান করতে চাইবে।বলবে মহা পন্ডি। )
আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম যেসব বিষয় থেকে বিরত থাকতে বলতেন এবং ইসলামের পন্ডিতের বর্ণনা থেকে যেসব বিষয়ে আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইি সাল্লাম কর্তিক হারাম হওয়ার অকাট্য দলিল পাওয়া যায় সেগুলো কবিরা গুনা। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন" বড় বড় নিষিদ্ধ কাজ গুলো থেকে যদি তোমরা বেঁচে থাকতে পারো" যেগুলো থেকে দূরে থাকার জন্যে তোমাদের বলা হচ্ছে, তাহলে আমি তোমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি গুলো ক্ষমা করে দেব এবং সম্মানজনক স্থানে তোমাদের প্রবেশ করাবো।(সূরা নিসা ৩১)
আর যারা বড় বড় গুনাহ অশ্লীল কাজ থেকে বেঁচে থাকে এবং ক্রোধের উৎপত্তি হলে ক্ষমা করে! (সূরা আশ শুরা ৩৭)
যারা কবিরা গুনাহ এবং প্রকাশ্য ও সর্বজন বিদিত অশ্লীল কাজ থেকে বেঁচে থাকে তবে ছোটখাটো অপরাধ করলেও নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা ক্ষমাশীল সূদূর বিস্তৃত ও ব্যাপক । রাসুল সাঃ বলেন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ জুম্মার নামাজ পরবর্তী জুম্মা পর্যন্ত এবং রমজান মাসের ফরজ রোজা পরবর্তী রমজান পর্যন্ত মধ্যবর্তী পাপ সমূহের কাফফারা স্বরূপ যখন কেউ কবিরা গুনাহ হতে বেঁচে থাকবে (সহীহ মুসলিম জামে তিরমিজি)।
কবিরা গুনাহৱ সংখ্যা নিয়ে আলেমদের মাঝে কিছুটা মতবিরোধ রয়েছে কেউ বলেছে কবিরা গুনা সাতটি তাদের দলিল হচ্ছে নবী করিম সল্লালাহ সালাম বললেন তোমরা সাতটি পাপ কাজ থেকে বেঁচে থাকো (১) আল্লাহর সাথে কাউকে শিরক করা (২) জাদু করা (৩) অন্যায় ভাবে কাউকে হত্যা করা (৪)ইয়াতিমদের মাল-সম্পদ আত্মসাৎ করা (৫)সুদ খাওয়া (৬) যুদ্ধক্ষেত্র হতে পলায়ন করা( ৭)সতি সাধ্বী সরলমতি নারীর উপর যিনার অপবাদ দেওয়া। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা বলেন কবিরা গুনা সাতটি নয় প্রায় সত্তরটি প্রমাণের ভিত্তিতে যেসব গর্হিত কাজ কবিরা গুনাহ যেগুলোতে দুনিয়া ও আখেরাতের শাস্তির বিধান রয়েছে যেমন চুরি , খুন, ব্যভিচার অথবা যেগুলোর জন্য আখেরাতে কঠিন শাস্তির ভয় প্রদর্শন করা হয়েছে। এটাও সত্য যে অপরাধের মাত্রা কবিরা গুনা সবগুলো সমান নয় এবং একটি অপরটির অপেক্ষা বেশি গুরুতর অথবা হালকা ;-যেমন আল্লাহর সাথে শিরক করাকেও রসূল সাল্লাল্লাহু সালাম কবিরা গুনা বলেছেন অথচ সেটা এত জঘন্য পাপ যে এতে লিপ্ত অপরাধী অন্তকাল জাহান্নামে থাকবে এবং তার অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য । আল্লাহতায়ালা বলেন নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না যে লোক তার সাথে শিরক করে তিনি ক্ষমা করেন এর চেয়ে নিম্নপর্যায়ের পাপ যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। (দ্বিতীয় পর্বে সত্তরটি কবীরা গুনাহ সম্পর্কে ধারাবাহিক আলোচনা করা হবে)
(ভালোভাবে হয়তো লেখা যায় নি কিন্তু পরের পর্বগুলো ভালো করার চেষ্টা করব)
{ সবাই ভাল থাকবেন
পড়ার জন্য
ধন্যবাদ }
দয়াকরে কপি-পেষ্ট করবেন না নাম ব্যতীত
অনেক কষ্ট করে ঘাটা ঘাটি করে লেখা
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now