বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন
বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

জীবনকথা

"জীবনের গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Shikha (০ পয়েন্ট)

X (সম্পূর্ণ কাল্পনিক) রেল লাইনটা সো--জা চলে গেছে। কিছুদূর গিয়ে অবশ্য বাক নিয়েছে।রেল লাইনের দুই পাশে ইয়া বড় বড় কৃষ্ণচূড়া গাছের সারি।টকটকে লাল ফুল ফুটেছে তাতে।মনে হচ্ছে কেউ যেন লাল রঙ ঢেলে দিয়েছে গাছের উপরে।গাছগুলোর নিচে আবার নরম সবুজ ঘাস।এ দিকে সূর্যটাও অস্ত যাচ্ছে। তাই পশ্চিম আকাশটা লাল বর্ণ ধারণ করছে।এমন একটা সময়ে অনিককে তো এখানে আসতেই হবে।অনিক ছেলেটা না বড্ড শান্ত।এখানে এসে চুপচাপ বসে থাকে। "বুঝি না এই ছেলেটা এতো চুপচাপ কি করে থাকে।আমাকে চুপ করে থাকতে বললে তো আমি দম আঁটকেই মরে যাব।"কথাগুলো একমনে বলতে বলতে অনিকের কাছে এসে হাজির হলো আসমানি।আসমানি অনিকের একমাত্র বন্ধু।তবে আসমানির আরও অনেক বন্ধু আছে। আসমানি ও অনিক দুজন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের মানুষ।একজন বেশি কথা বলে,আরেকজন একেবারে শান্ত।একজন বন্ধু বান্ধবের সাথে সারাক্ষণ আনন্দে মেতে আছে,আর আরেকজন চুপ করে কোথাও বসে আছে। তবুও তারা বন্ধু। আস্তে আস্তে অনিকের পাশে এসে বসলো আসমানি।অনিক ও আসমানিদের বাড়ি পাশাপাশি।অনিকের মা আসমানিকে বলেছে ওকে খুজে আনতে।আসমানির অবশ্য ওকে খুজতে হয়নি। ও জানেই যে অনিক এখানেই থাকবে।কারণ অনিককে প্রকৃতি খুব টানে। আসমানি অনিককে প্রশ্ন করলো, --কিরে বসে বসে ভাবছিসটা কি?? --কই কিছু না তো। --তোকে দেখেই বুঝতে পারছি তুই কিছু ভাবছিস। --তাহলে বুঝে নে কি ভাবছি। ---যাই হোক কাকিমা ডাকছে তোকে যা বাড়ি যা। --কেন ডাকছে?? --আমি কি জানি। তুই গিয়ে শুনে নে। বাড়ি ফিরে এলো অনিক।মায়ের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো কেন ডাকছিল।তার মা বললো, ---আমরা কাল আমাদের আগের বাড়িতে যাব।তুই সব গুছিয়ে নে। ওর মনে পড়ে গেল আগে তারা যে বাড়িতে থাকতো তার কথা। তার পাশে বড় নদী ছিল।সেখানে সে কত খেলতো।বড়শি দিয়ে কত মাছ ধরতো! সারাদিন নদীর জলে সাঁতার কাটতো।কত ভালো ছিল দিনগুলো।তারপর একদিন ভাঙ্গন ধরলো নদীতে।প্রিয় জায়গা ছেড়ে চলে আসতে হলো সকলকে।অবশ্য নতুন জায়গা পেতে তাদের কোনো অসুবিধাই হয়নি।কারণ তারা আর্থিকভাবে সচ্ছল।তবুও একটা জায়গায় অনেকদিন থাকার কারণে মায়া জন্মে গেছিল যে! এই নিয়ে আর ভেবে কি হবে।তাই তাড়াতাড়ি নিজের ঘরে চলে গেল ও। (আর কিছু মাথায় আসছে না।কিসব লিখলাম।ভালো হলো কি না কে জানে।)


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২০৯৭৪ জন


এ জাতীয় গল্প

→ জীবনকথা
→ এক আপুর জীবনকথা

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now