বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
জেএসসির খাতা মূল্যায়ন
"ভিন্ন খবর" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান =_= (০ পয়েন্ট)
X
আশ্চর্যজনক হলেও সত্য সদ্য সমাপ্ত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করছে নার্সারি শ্রেণির শিশু। সংশ্লিষ্ট শিক্ষক খাতা না দেখে অন্যের বাড়িতে দিয়ে ওই শিশুর মাধ্যমে খাতা মূল্যায়ন করানোর অভিযোগে উপজেলা প্রশাসন সোমবার ১০০ খাতা জব্দ করেছে।
জানা গেছে, বিরামপুর পৌর শহরের আদর্শ স্কুল পাড়ার বাসিন্দা ফুলবাড়ী উপজেলার জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সাহানুর রহমান সদ্য সমাপ্ত জেএসসি পরীক্ষার ২৫০টি খাতা মূল্যায়নের জন্য দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড থেকে গ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি নিজে খাতা মূল্যায়ন না করে প্রতিবেশি জিয়াউর রহমানের বাড়িতে ২৫০টি খাতা মূল্যায়নের জন্য দিয়ে যান।
জিয়াউর রহমানের স্ত্রী দিলরুবা বেগম বলেন, শিক্ষক সাহানুর রহমান ২৫০টি খাতার মধ্যে মূল্যায়ন শেষে ১৫০টি খাতা নিয়ে গেছে এবং অবশিষ্ট ১০০টি খাতা আজ নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। এই খাতা নিয়ে যাওয়ার পর শিক্ষক সাহানুর রহমানের স্ত্রী বিরামপুর আদর্শ হাইস্কুলের শিক্ষিকা শাহনাজ বেগমের খাতাগুলোও দিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
জিয়াউর রহমানের স্ত্রী দিলরুবা বেগম আরও জানান, তার জেএসসি পরীক্ষা দেয়া পুত্র অনিক ও নার্সারি পড়ুয়া শিশুপুত্র আবরার ওইসব খাতা মূল্যায়ন করছে।
গোপন সূত্রে এ খবর পাওয়ার পর বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নূর আলম ও যুব উন্নয়ন অফিসার জামিল উদ্দিন পুলিশসহ জিয়ার বাড়ি থেকে জেএসসি পরীক্ষার ১০০টি খাতা জব্দ করে আনেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ ও অভিভাবকদের মাঝে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে।
বিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর আলম বলেন, জব্দকৃত খাতাগুলো সিলগালা করে বিরামপুর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে এসব খাতা থানায় রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য শিক্ষক সাহানুর রহমান ও তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। পরে মোবাইলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে জব্দকৃত খাতা মূল্যায়ন বা ফলাফলে কোনো অসুবিধা হবে না।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now