বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন
বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

হটাৎ!(অবন্তির পাগলামো)-০৫

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Opu Ahasan (০ পয়েন্ট)

X স্যাম অফিসের সামনেই দাড়িয়ে আছে । ওর ফ্ল্যাটটা ওর অফিসের ঠিক কাছেই । এখানে যাওয়ার জন্য গাড়ির দরকার হয় না । কিন্তু ও গাড়ির জন্য অপেক্ষা করে আছে । ওর বাবার সাথে ওকে যেতে হবে ওদের বাসায় । বাবা বলছিলো কি যেন একটা কাজ আছে । ঠিক তখনই স্যাম আবন্তিকে দেখতে পেল। হাটতে হাটতে ওর সামনে এসে দাড়ালো । আর ঠিক সেই সময়েই ওর বাবাকে নিয়ে গাড়িটা এসে থামলো ওর পাশেই । কোন দিকে যাবে ? আবন্তির দিকে নাকি গাড়ির দরজা খুলে ভেতরে বসবে । কিন্তু কিছু করার আগেই ওর বাবা নিজেই দরজা খুলে বাইরে বের হয়ে এল । ওর বাবাও আবন্তিকে দেখতে পেয়েছে । আবন্তির দিকে তাকিয়ে হাসি মুখে বলল -আরে তুমি এখানে ? -গুড আফটারনুন আঙ্কেল ! এই তো ! -কোথায় যাবে ? -বাসার দিকে যাবো । স্যামকে চাবি দিতে এসেছি ! স্যাম দেখলো ওর বাবা ওর দিকে তাকালো । ওর বাবা বলল -ওকে আমাদের বাসায় নিয়ে আসো না কেন ? তোমার মায়ের সাথে ওর প্রতিদিন দেখা হয় । তুমিও দেখা কর । তা কেবল আমি বাদ যাবো ? স্যাম কি বলবে ঠিক বুঝে উঠতে পারলো না । তারপর আবন্তির দিকে তাকিয়ে বলল -তা মামনি আজকেই চল আমাদের বাসায় ! -আঙ্কেল আজকে একটা জরুরী কাজ চলে এসেছে । কালকে আসি ! কালকে ছুটির দিন আছে সবার সাথে দেখা হবে ! -প্রোমিজ তো ? -একদম ! কালকে ! -ওকে ! ডান । তারপর স্যামের দিকে তাকিয়ে বলল -শুনো, তাহলে তোমার আর আসা লাগবে না আমার সাথে । তুমি আবন্তিকে ওর বাসায় পৌছে দিয়ে আসো ! তারপর আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে গাড়ি নিয়ে হুস করে চলে গেল । চাবি টা তখনও আবন্তির হাতেই । আবন্তি ওর কাছে এসে বলল -চল ? -দাড়াও । গাড়ি আসুক ! -না গাড়িতে করে যাবো না -তাহলে কিসে করে যাবা ? -রিক্সায় করে ! যে ছেলে সারা জীবন গাড়ি ছাড়া চলে নি তাকে নিয়ে রিক্সায় চড়তে কেমন লাগে সেটা দেখতে চাই । -দেখো এখন আকাশের অবস্থা ভাল না । দেখেছো তো । যখন তখন বৃষ্টি নামবে ! -আরে এখানেই তো আসল মজা ! বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে বৃদ্ধিতে ভিজতে মজাই আলাদা । কথাটা বলে আবন্তি এতো জোরে হাসতে লাগলো যে আশে পাশে মানুষজন পর্যন্ত ওদের দিকে ফিরে তাকাতে শুরু করলো । বুঝতে কষ্ট হল না ওরা এখানেই জব করে । বসের ছেলের সামনে একটা মেয়ে দাড়িয়ে এবং সে অদ্ভুদ ভাবে হাসছে এটা দেখে তারা খানিকটা অবাক না হয়ে পারলো না । শেষে স্যাম আবন্তিকে নিয়ে রিক্সাতেই উঠে বসলো । অদ্ভুদ লাগলেও ওর খারাপ লাগছিলো না ! তবে স্যাম বুঝতে পারছিলো যে মেয়েটার ভেতরে কি যেন একটা পরিবর্তন এসেছে । মেয়েটা কথা বলছে খুব বেশি ! এতো কথা তো মেয়েটা বলতো না । এমন করছে কেন ? আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে হল যে আজকে বৃষ্টি আসবেই । এখন তার আগে আগে বাসায় পৌছাতে পারলে হয় ! আবন্তি কি করছে সেটার কোন ব্যাখ্যা ওর নিজের কাছেও নেই । ও কেবল এসেছিল চাবিটা দেওয়ার জন্য । তারপর ওর ফিরে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল কিন্তু স্যামের বাবার সাথে দেখা হয়ে যাওয়াটা কেমন সব পরিবর্তন করে দিল । ওভাবে স্যাম কে নিয়ে রিক্সায় ওঠাটা ওর কোন ইচ্ছে ছিল না । তার উপর আকাশের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে যখন তখন বৃষ্টি নামবে । আবন্তির আবার বৃষ্টির পানি একদম সহ্য হয় না । গায়ে পড়লেই জ্বর চলে আসে । এই জন্য ও বৃষ্টির পানিকে খুব এড়িয়ে চলে । কিন্তু আজকে ওর এসব কোন চিন্তার ভেতরেই আসছে না । স্যামের দিকে তাকিয়ে একটার পর একটা কথা বলেই চলেছে । স্যামের দিকে তাকিয়ে প্রথমে মনে হচ্ছিলো ছেলেটা সম্ভবত একটু অবাক হচ্ছে তবে কিছু সময়ে সেটাও দুর হয়ে গেল গেল । আবন্তির মনে হল ও সারা জীবন মানুষের মিশতে পারে নি ওর পারিবারিক কারনে স্যাম নিজেও খানিকটা সেরকম । মানুষের সাথে ঠিক মত মিশতে পারে না । ও মা ই বলেছিলো । সত্যি সত্যিই বৃষ্টি নেমে গেল । কিছু সময়ের ভেতরেই দুজনই ভিজে একদম একাকার হয়ে গেল । কিছু সময় যাওয়ার পরই আবন্তি বুঝতে পারলো ওর শরীরে কাঁপন শুরু হয়েছে কিন্তু সেটা ও আমলেই নিল না । পুরোটা সময় বৃষ্টিতে ভিজতেই লাগলো । কেন জানি ওর অসম্ভব ভাল লাগছিলো । কোন ব্যাখ্যা নেই তবুও । পাশে এমন একজন আছে এই জন্য ভাল লাগছে ? কিন্তু সে তো আসল কেউ না । কদিন পরে এই সব কিছু কেমন কোথায় চলে যাবে তখন ? যখন আবন্তির সামনে নামলো তখনই রীতিমত ওর জ্বর চলে এসেছে । স্যাম ওর দিকে তাকিয়ে বলল -তুমি ঠিক আছো ? -হ্যা ! -কাঁপছো মনে হচ্ছে ! -একটু ঠান্ডা লাগছে । শরীর মুছলে ঠিক হয়ে যাবে ! কেন জানি আবন্তির খুব ইচ্ছে এই কথা বলতে যে আমার এখনই আকশ পাতাল জ্বর আসবে । তুমি একটু থাকবে আমার পাশে । কিন্তু বলল না । আজকে যেটুকু হয়েছে সেটাই অনেক । অনেক বেশি ! খানিকটা টলতে টলতেই আবন্তি লিফটের দিকে পা বাড়ালো । ( চলবে...)


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২০৯৫৬ জন


এ জাতীয় গল্প

→ হটাৎ!(অবন্তির পাগলামো)-০৫

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now