বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
পৃথিবীর অন্যতম ভৌতিক জায়গার নাম বলতে গেলে ইংল্যান্ডের শেরবরনের এইপ্রাচীন দুর্গের কথা বলতে হয়।। ১২ শতকে নির্মিত এইদুর্গকে ঘিরে প্রচলিত আছে নানা মিথ এবং গল্পকথা।। মধ্যযুগে এইদুর্গে স্মরণকালেরসবচেয়ে বেশি মানুষকে খুন করা হয়েছে।।
বন্দীদের টর্চার করার জন্য এই দুর্গের সেলারে নির্মিত একটি গুপ্তঘর তখনকার দিনে আতঙ্কের কারণ ছিলো।। এই গুপ্তঘরটি আবিষ্কার করা হয় অনেক পরে।। ততদিনে দুর্গের পূর্বের প্রতাপ আর নেই।। আবিষ্কার করার পর কি পাওয়া যায় জানেন?? এক মাইললম্বা একটি সুড়ঙ্গ ভর্তি লাশের কঙ্কাল।। সবগুলো সেই টর্চার রুমে মারা যাওয়া বন্দীর লাশহিসেবে চিহ্নিত করেন ইতিহাসবিদরা।।
ইতিহাস সাক্ষী যে এখানে খুন হয়েছেন রাজা থেকে শুরু করে যুদ্ধবন্দী অনেকসেনাপতি এবং সৈন্য।। দুর্গের আশেপাশের বাসিন্দারা দুর্গটি এড়িয়ে চলেন।।বলা হয়, প্রতি পূর্ণিমা রাতে দুর্গের ছাদে নাকি একদল সৈন্যকে দেখা যায় যুদ্ধের সরঞ্জাম হাতে।। এইঘটনা চাক্ষুষ করেছেন এমন মানুষের অভাব নেই।। এছাড়াও দুর্গের নিরাপত্তা কর্মীরা জানান, দুর্গ থেকে গভীর রাতে ভেসে আসে অসহায় নিপীড়িত মানুষের চিৎকার এবং কান্নার শব্দ।।অনুমতি না থাকায় রাতে দুর্গের ভেতর ঢোকা নিষেধ।। তবে অনেক নিরাপত্তা কর্মী এই দুর্গে কাজ করা অবস্থায়মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন।। তাদের মাঝে কেউ কেউ আত্মহত্যা করেছেন।। তেমনই এক কর্মী "আইনেল সিউঞ্জার" আত্মহত্যা করার আগে একটি নোটলিখে রেখে যান।। সেই নোট লেখা ছিলোঃ"গতকাল রাতে দুর্গে চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পেয়ে আমি এবং মাইকেল বাধা অমান্য করে দুর্গের প্রধান দরজার সামনে যাই।। দরজা রাতে বন্ধ করে দেয়া হলেও তখন আমরা দেখতে পাই দরজাটি পুরোপুরি খোলা।। আমাদের চোখের সামনে পড়ে ছিলো অগণিত লাশ।। প্রত্যেকটি বিবস্থ অবস্থা।। কোনটারমাথা নেই তো কোনটার সারা শরীর জায়গায় জায়গায় বিচ্ছিন।। বাচ্চা থেকে শুরু করে বুড়ো মানুষের লাশ দেখতে পাই আমরা।। হটাত আমাদের চোখের সামনে কিছু লাশ উঠে দাঁড়ায় এবং চিৎকার করে টলতে টলতে আমাদের দিকে এগিয়ে আসে।। তাদের একটা শব্দই আমরা বুঝতে পারি, তা হলো, "আমাদের মুক্তি দাও।। আমাদের মুক্তি দাও।।"আমরা সেখান থেকে দ্রুত চলে আসি।।
মাইকেল নিরাপত্তা দরজার সামনে এসে হাঁটুগেড়ে বমি করতে করতে জ্ঞান হারায়।।
সকালে কোনোমতে আমরা নিজ নিজ বাসায়ফিরে আসি।। এই ঘটনার পরথেকে আমি মানসিক অশান্তির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।।
আমার চারপাশে মৃতমানুষের অস্তিত্ব উপলদ্ধি করছি।।আমার কানে তারা ফিসফিস করে বলে চলেছে "আমাদের মুক্তি দাও।।
আমাদের মুক্তি দাও।।"এটা পাওয়া "আইনেল সিউঞ্জার" এর লাশের পাশে।। সিউঞ্জার নিজের হাতের রগ কেটে ফেলে আত্মহত্যা করা।। এবং মৃত্যুর আগে সারা ঘরে নিজের রক্ত দিয়ে বিচিত্র সবনকশা একে দিয়ে যায়।। সেইনকশাগুলো বেশিরভাগই টর্চার রুমে আঁকা নকশা এবং তার যন্ত্রপাতির মতো।।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now