বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
পরদিন রিফাহ ইসরাতকে নিয়ে রনিদের বাসায় নিয়ে গেলো।ইসরাত যেতে রাজি ছিলো না।কিন্তু রিফাহ অনেক কষ্টে ইসরাতকে রাজি করালো।ইসরাত বাড়ির ভেতর ঢুকলো।রনি ইসরাতের থেকে চোখ ফেরাতে পারছে না।আজকে খুব সুন্দর লাগছে ইসরাতকে।আয়শা আর রিফাহ আয়শার ঘরে গল্প করছে।ইসরাত পুরা বাড়ি ঘুরে দেখছে।দেখতে দেখতে রনির ঘরে ঢুকে গেলো।কিন্তু ইসরাত জানে না যে ওটা রনির ঘর।তবে ইসরাতের কাছে কেমন যেন ছেলে চলে ঘর লাগলো।ইসরাতের এই ঘরটা খুব ভালো লাগলো।আরেকটু গুসিয়ে রাখলে ভালো হতো।ইসরাত বারান্দায় গেল।রনি পিছন থেকে বলে উঠলো,"এইযে বাঘিনী।"
ইসরাত পিছন ফিরে রনির দিকে তাকিয়ে বলল,"বাঘিনী?"
"হ্যা।"
"তা কেন?"
আয়শা আর রিফাহও রনির ঘর দিয়ে যাচ্ছিল।আয়শা বলল,"ঐতো আপু ভাইয়ার সাথে।"
এই বলে আয়শা রনির ঘরে ঢুকতে যাচ্ছিল।তখনো রিফাহ আয়শাকে অন্যদিকে নিয়ে যেয়ে বলল,"এই তুই কেন যাচ্ছিস?জানিস তোর ভাই ওই মেয়ের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে।থাজ কথা বলতে দে ইসরাতের সাথে।"
"ওহ বুঝেছি।"
ইসরাত রনির দিকে তাকিয়ে বলল,"কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?বলেন কেন।"
"ওহ অনেকে আমাকে বীরবাজাদুরের মতো কাজ করিতো।বাঘতো বীরবাহাদুর।তাই আমাকে বাঘ বলে।"
"কিন্তু আমি কেন?"
",কেন ,কেন যে?ওহ হ্যা তুমিও অনেক বীরনারী এইজন্য।"
রনি বাড়ি থেকে বের হলো।ইসরাত ভাবতে লাগলো ,",কি ব্যাপার এমনভাবে তাকিয়ে থাকে কেন?লেলটা,বদ নাকি?না দেখে তো এমন মনে হয় নাকি।নাকি প্রেম।"
রিফাহ বলল,"এই কি ভাবিছ তুই?"
"এই তোর ওই ভাইয়া কি মেয়েদের দেখলেই তার দিকে তাকিয়ে থাকে নাকি?ওরকম ছেলে কী?"
"আরে কিযে বলিস তুই।ভাইয়া ভালো।
"তাহলে যে আমার দিকে।"
"আরে এটাই বুঝিছ না?ভাইয়ার মতো ছেলে জীবনের প্রথম প্রেমে পড়েছে।"
"ওহ।"
ইসরাতের মাথায় একটা ফাজলামি বের হলো।ইসরাত একটা বেলুনের ভেতর ডিম বেঙে সেই বেলুন ফুলিয়ে তুললো।আয়শা,রিফাহ আর ইসরাত রনির ঘরে ঢুকলো।রনি কি যেন করছে।ইসরাত বলল,"এই দেখেন কি সুন্দর বেলুন।"
রনি বলল,"হুমম।"
আয়শা বলল,"ভাইয়া।"
রনি বলল,"কি?"
,,আয়শা হেসে উঠলো।রনি বলল,"এই হাসিছ কেন?"
ইসরাত রনির পিছনে দাঁড়ালো।ইসরাত রনির মাথার ওপর বেলুন রেখে বলতে লাগলো,"রেডি 1,2,3 স্টার্ট।"
রনির মাথার ওপর বেলুন ফাটালো।আর ডিম রনির মাথার ওপর পড়লো।তারা তিনজন নের হয়ে গেলো।রনি ভাবতে লাগলো,"এই মেয়েটা খুবই দুষ্টু ফাজিল।দাঁড়াও আমিও দেখাচ্ছি।"
বিকেলে রিফাহ, ইসরাত আর আয়শা গল্প করছে।আয়শা খাচ্ছে।আয়শা বলল,"ইসরাত আপু একটা কাজ করবে?"
"হ্যা করবো। কি কাজ?"
"আপু ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি আনো প্লিজ।"
"আচ্ছা আমি আনছি।"
ইসরাত ফ্রিজ থেকে পানি বের করছে।পিছনে তাকিয়ে চমকে যায়।এতো রনি।রনি ইসরাতের হাত শক্ত করে ধরলো।ইসরাত বলল,"একি আমার হাত কেন ধরছেন?"
রনি ফ্রিজ থেকে ডিম বের করে ইসরাতের মাথার ওপর ফাটালো।তারপর চলে যাচ্ছিলো।ইসরাতও ফ্রিজ থেকে আরেকটা ডিম বের করে রনির মাথার ওপর ফাটালো।রনি বলল,"আমার মাথায় কেন ডিম কেন ফাটানো হচ্ছে?"
"আপনিই তো আমার মাথায় ডিম ফাটালেন।"
"তুমিই তো আগে ডিম ফাটিয়েছো।"
এদিকে রিফাহ বলল,"এই এতো চেঁচামেচি কেন রে?"
আয়শা বললো,"ঐযে মনে হয় পাশের বাসায় স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া শুরু হয়ে গেছে।"
"ওহ ।"
রিফাহ ভালো করে শুনে বলল,"এই না মনে হচ্ছে ইসরাত আর ভাইয়ার কন্ঠ।"
"হ্যা তাই মনে হচ্ছে।চলো গিয়ে দেখি জি হচ্ছে।"
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now