বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
লেখক :- Juned Ahmed
আমি একটি মোবাইল। খোদা প্রদত্ত উর্বর মস্তিষ্ক ওয়ালা এক ভদ্রলোক আমাকে জন্ম দিয়েছেন। আমি তার প্রতি কৃতঞ।
.
.
আমার কিছু দুঃখের কাহীনি বলছি। প্রত্যেক বস্তুই চায় তার জন্ম র্স্বাথক হোক।আমি ও চাই।আমি লজ্জা পাই,যখন শুনি ঢাকার বন্দু সিলেটের বন্দুকে ফোন দিয়া বলে - দুস্ত তুই কই। উত্তরে সিলেটের বন্দু তার নিজ আবাসনে থেকে বলে আমি বরিশাল আইছি।
.
.
আমার গা শিহরিয়ে উঠে যখন দেখি কোন মাস্তান ফোন করে ঢেকে এনে কোন নিরপরাধ ব্যক্তিকে খুন করছে। ঘরে স্বমীকে/স্ত্রী কে রেখে মোবাইলে পরক্রীয়া করার দৃশ্য দেখে কেন যেন মন হয় আমার স্থান জাহান্নামে হবে কি? কোন ক্রাইমার কে ধারার আগে থানা থেকে পুলিশ যখন ফোন করে বলে ; "এ বেটা বাসা থেকে সরেজা"। তখন আমার অাত্বহত্যা করতে ইচ্ছে হয়। পরীক্ষা আসন্ন কোন ছাত্র/ছাত্রী যখন দেখি পড়ার টেবিলে বসে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করছে তখন মনে হয়! ওর মার হাতে ফ্যেরালাইসিছ হইছে নাকি? কোন মসজিদের ইমাম মোবাইলে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে দেখলে,চোখের পানি চেড়ে কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলি; হায়রে!আজ কালকার হুজুরদের হাতে আর তাসবিহ দেখা যায় না।দোনিয়ার মানুষগুলা বোধহয় জাহান্নামের দিকে এগুচ্ছে। আর আমিতো সেই দোজখের সিড়ির প্রতম ধাপ হলাম।
.
.
কোন ট্রিনেজার মেয়ে/ছেলে মোবাইলে র্পনগ্রাফি ডাউনলোড করতে যখন দেখি,তখন নিজেকে ভড়ই পাপি মনে হয়। কোন বেকার ছেলে/ মেয়ের হাতে যখন দুই-তিনটা মোবাইল দেখি তখন মনে হয়, অর্থমন্ত্রী মহোদয়ের চশমার পাওয়ার বদলানোর দরকার।
.
.
প্রাইমারি লেভেলের কোন শিশুর হাতে মোবাইল দেখলে ও দুধের শিশু খাওয়ার জন্য কাঁদছে,অতচ মা ইন্টারনেট ব্রাউজিং করছে!এই দৃশ্য দেখলে মনে হয় উনি মা হওয়ার দরকার কি ছিল।
কোন ভিক্ষুকের পকেটে স্মার্ট ফোন দেখলে ও কোন রিক্সাওয়ালাকে পেছিন্জার ডাকছে,তথাপি তার ডাকে সারা না দিয়ে তন্যয় নেত্রে মোবাইল ব্রাউজিং করছে এ দৃশ্য দেখলে আমার বড্ড হাসি পায়। কোন মৃত্যু পথযাত্রী মোবাইলে শেষ বিদায় জানালে আমার কান্না পায়।
.
যখন দেখি কোন সচেতন নাগরিক মোবাইলে কোন অপরাধ বা অপরাধীর খবর আইন প্রয়োগকারি সংস্তাকে জানাচ্ছে : তখন আমি আনন্দে ধেই ধেই করে নেচে উঠি।
.
জানতে চাইবেন, আমার ছেলে/মেয়ে বা বিয়ে শাদী....।দেখেন,ল্যান্ড ফোনের সাথে আমার একটা ইয়ে....,হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।কিন্তু ভাই,আমার লাইফের এত র্কিতি দেখে সে আমাকে প্রত্যাক্ষান করেছে। তাই আজও আমি প্রত্যাক্ষ্যাত।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now