বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন
বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

ব্যবসা করতে গিয়ে হলেন মিশআারী

"ইসলামিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Md Raz Khan (০ পয়েন্ট)

X ব্যবসা করতে গিয়ে হলেন মিশনারী তারিক ইবনে আবদুল্লাহর একটি স্মৃতি কথা : “ আমি একদিন মক্কার ‘মাজাজ’ নামক বাজারে দাঁড়িয়ে আছি। এমন সময় দেখলাম, একজন অত্যন্ত প্রিয়-দর্শন লোক বাজারের চারদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর বলছেন, ‘হে মানব সকল, তোমরা বল আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তাহলে তোমরা সফলকাম হতে পারবে। এই সঙ্গেই দেখলাম, আর একটা লোক তাঁর পশ্চাতে পশ্চাতে ঘুরছেন আর বলে বেড়াচ্ছেন, ‘খবরদান, কেউ এর কথা শুনোনা। এ একটা ভয়ংকর যাদুকর, মস্ত একটা মিথ্যাবাদী।’ এইসব কথা বলার সাথে সাথে পেছনের লোকটা তাঁকে পাথর ছুড়ে মারছেন। আমি জিজ্ঞাসা করলে আমার সাথের একজন বয়স্ক লোক বললেন, প্রথম লোকটি হাশেম বংশের। তিনি নিজেকে আল্লাহর প্রেরিত রাসূল বলে মনে করেন। আর দ্বিতীয় লোকটি তাঁর চাচা আবদুল ওজ্জা- আবু লাহাব। এই ঘটনার অনেক বছর পরের কথা। মদীনার বাইরে একটা খোরমা বাগানে আমরা বিশ্রাম নিচ্ছি। আমরা খেজুর কিনতে মদীনায় এসেছি। আমরা যখন বাগানে বিশ্রামরত, তখন একজন লোক এসে আমাদের সালাম দিল। তাঁর পরনে তহবন্দ এবং গায়ে চাদর। তিনি আমাদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করলেন। তাঁর কণ্ঠে খুবই মধুর। আমাদের সাথে একটা লাল রঙের উট ছিল। পরিচয় জিজ্ঞাসার পর তিনি লাল উটটি আমরা বিক্রি করব কিনা, কত দাম জিজ্ঞাসা করলেন। বললাম, এত মণ খেজুর পেলে উটটা আমরা বিক্রি করতে পারি। তিনি কোন প্রকার দর-কষাকষি না করে আমাদের দাবীকৃত মূল্যে উট কিনতে রাজী হলেন এবং উটের দড়ি ধরে টেনে উট নিয়ে চললেন নগরীর দিকে। তিনি চলে যাবার পর আমাদের চেতনা হলো যে, একি করলাম আমরা? দাম না নিয়ে একজন অপরিচিত লোককে উট নিয়ে যেতে দিলাম। আমাদের সাথে একজন বৃদ্ধ ছিলেন। তিনি বললেন, ‘চিন্তা করো না। লোকটার মুখ পূর্ণ চন্দ্রের ন্যায় স্বর্গীয় সুষমায় উদ্ভাসিত। এমন লোক কখনই প্রবঞ্চক হতে পারে না। তোমরা নিশ্চিন্ত থাক, টাকার জন্যে আমি দায়ী রইলাম।’ অল্প কিছুক্ষণ পর নগরীর দিক থেকে একজন লোক আমাদের কাছে এলেন। তাঁর সাথে প্রচুর খেজুর তিনি পাঠিয়েছেন উপঢৌকন স্বরূপ আপনাদের খাওযার জন্যে। আপনারা গ্রহণ করলে তিনি খুশী হবেন।’ যথাসময়ে আমরা মদীনা প্রবেশ করলাম। পৌঁছলাম আমরা মসজিদে নববীর সামনে। দেখলাম সেই লোকটি মসজিদের মিম্বারে বসে লোকদের উদ্দেশ্যে কথা বলছেন। আমরা শেষের এই কয়টি কথা শুনতে পেয়েছিলাম, ‘হে লোক সকল, অভাবগ্রস্ত ও কাঙ্গালদের দান কর। তোমাদের জন্যে এটা বিশেষ কল্যাণকর। স্মরণ রেখ, উপরের (দাতার) হাত নিম্নের (গ্রহীতার) হাত অপেক্ষা উত্তম। পিতা-মাতা ও অন্যান্য স্বজনদের প্রতিপালন কর।’ আমরা কয়েকদিন মদীনায় থাকলাম। আমরা সবাই ইসলাম গ্রহণ করে দেশে ফিরে এলাম। গিয়েছিলাম মদীনায় ব্যবসায়ী হয়ে, ফিরে এলাম দেশে ইসলামের প্রচারক হয়ে।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২০৯৫৯ জন


এ জাতীয় গল্প

→ ব্যবসা করতে গিয়ে হলেন মিশআারী

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now