বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
বাবু
এমনটা করোনা প্লিজ,আমি তোমাকে খুব
ভালবাসি,
আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না,একটু
বুঝো আমাকে।
কাঁদতে কাঁদতে সিয়ামকে কথাগুলো বললো নিধি।
নিধি অবশ্য
অনেকক্ষন ধরেই
এভাবে কেঁদে কেঁদে মিনতি করে যাচ্ছে,কিন্তু
সিয়ামের মন
কিছুতেই নরম
হচ্ছে না।
নিধি কেঁদেই
চলেছে,একেবারে হাউ
মাউ
করে কাঁদছে।
ফোনের ওপাশ
থেকে সিয়াম বললো,
এভাবে কান্নাকাটি করোনাতো আমার
ভাল
লাগেনা,বিরক্তিক
র।শোন নিধি,এখন
এসব
প্রেম পিরিত আমার
আর
ভালো লাগে না,এখন
আমার মাথায় অনেক
চিন্তা,কিভাবে টাকা যোগাড়
করবো,কিভাবে ঢাকা শহরে জায়গা কিনবো এইসব।
প্রেম টেমে দেওয়ার
মতো সময় অমার নেই।
তুমি এখন ফোন
রাখো আমি ঘুমাবো।
নিধির
কোন লক্ষন নেই
ফোন রাখার সে কেঁদেই
চলেছে।
কালো মেয়েদের
চোখের পানি মনে হয়
একটু বেশীই থাকে।
নিধির কান্না যেন
আর
থামেনা। নিধি ফোন
রাখছে না দেখে কিছুক্ষন
চুপচাপ থেকে সিয়াম
নিজে থেকেই
ফোনটা রেখে দিলো।
নিধি ফোনটা কানে ধরে রেখেছে এখনো।
বছর খানেক
আগে নিধি আর
সিয়ামের পরিচয়
হয়।তারপর
বন্ধুত্ব,বন্ধু
থেকে কখন
যে দুজন দুজনার
প্রেমে পড়ে গেছে তা কেউই
টের পায়নি। সারাদিন
ঝগড়া খুনসুটি হাসি কান্না লেগেই
থাকতো।
ভালোই
যাচ্ছিলো দিন।দুজন
দুজনকে প্রচন্ড
ভালোবাসতো। নিধির
পাগলামিতে সিয়ামের
অবস্থা টাইট
হয়ে যেত,কিন্তু
সবকিছু সহ্য
করে নিতো নিধির
দিকে তাকিয়ে।নিধির
যে জিনিসটা সিয়াম
খুব পছন্দ
করতো তা হল
নিধির চোখ,ঐ
চোখে তাকালে নাকি সিয়াম
সবকিছু ভুলে যেতো।
সবকিছু
থেকে আগলে রাখতো নিধিকে,একটা মানুষ
যে কতোটা ভালবাসতে পারে সিয়ামকে না দেখলে তা নিধির
অজানা রয়ে যেতো।
কিভাবে পারে একটা মানুষ
এতোটা ভালবাসতে,সিয়ামে
র ভালবাসায়
মাঝে মাঝে আবাক
হয়ে যেতো নিধি।
সবকিছু
ঠিকঠাক
চলছিলো,সিয়াম এর
ক্লাস আর
টিউশনির
ফাকে দুজনের কথার
ডালি সাজাতো।
ফোনের
দুইপ্রান্তে দুটো মানুষ
দিনরাত তাদের স্বপ্ন
বুনতো। হঠাত্
কোথা থেকে যেন
সুরটা ছিড়ে গেল।
নিজেদের অজান্তেই
সবকিছু ঘটে গেল।
সিয়াম
অনেকটা বদলে গেছে।
কান্নাকাটি করে করে একসময়
নিধিও
হয়তো থেমে যাবে।
সময়ের
প্রয়োজনে বেঁচে থাকার
তাগিধে হয়তো সবকিছু
মানিয়ে নিবে নিধি ।
দিনগুলো স্মৃতির
পাতায় জমা হবে।কোন
এক
মাতাল
করা বসন্তে স্মৃতিগুলো চোখের
সামনের
সবকিছুকে হয়তোবা কিছু
সময়ের
জন্য
ঝাপসা করে দিয়ে যাবে।
চোখ
মুছে আবার
বাস্তবে ফিরেও
আসবে,কারন
বাস্তবতা তো এটাই
যে,কারো জন্য কোন
কিছু থেমে থাকে না।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now