বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
(১)
তখন ঘড়িতে ৩টা ২১মিনিট। ঘরের বা পাশটায় কালো রঙের একটা ঘড়ি, দোলকটা নির্দিষ্ট ছন্দে দুলছে। নাহ! এভাবে ঘড়ি দেখে সময় পার করা খুব কষ্টকর। আর বসে থাকতে পারছে না, কৌশিক।
মাঝরাতে সিগারেটের ধোঁয়া উড়িয়ে চলছে কৌশিক! তার ঘরটা বাইরের দিকে। মেইন গেট বন্ধ থাকলেও, তার ঘরের দরজা দিয়ে বাইরে বের হওয়া যায়! তাই যেকোন সময় বাইরে বের হয়া যায়! হালকা শীত শীত করছে। সিগারেটটা শেষ করে ঘরে এসে সোফায় বসে কৌশিক। মোবাইলটার দিকে তাকিয়ে আছে। ফেসবুকে লগ ইন করতে ইচ্ছে করছে...
ফেসবুকে লগিন করেই চকমে উঠে!!! এত রাতে 'অরনি' অনলাইনে! মনে মনে ভাবে হয়তো লগ ইন করে ঘুমায় গেছে। তো একটা poke দেয়!
রিফ্রেশ করতেই নোটিফিকেশন ১টা। চেক করে দেখে, অরনি poke back জাস্ট নাও। কৌশিক মেসেজ দিবে, সেই সময় অরনি'র মেসেজ..
: কি করেন? এখনো ঘুমাননি আপনি?
- নাহ্ । ঘুমাইনি। তুমি এখনো জেগে আছো ক্যান? খারাপ লাগতেছে নাকি?
: আমার তো রাতে একা ঘুম আসতে চায় না! আপনি তো ১২টা হইতে না হইতে ঘুমায় যান আর উঠেন ৮টার পর! আমার প্রতি রাতে ঘুমাইতে ঘুমাইতে ২টা বাজে..
- ওই। তোমায় না বলছি রাত জাগবা না? আর আমায় একটা বার ফোন দিলেও তো পারতা..
: কারো ঘুম ভাঙ্গাইতে ইচ্ছা করে না! আর আপনার কাছে তো আমার থেকে, ঘুমটাই ইমপরটেন্ট!! :-/
- হুম। ঘুম হইলো তোমার প্রথম সতীন! আরো দুইটা সতীন আছে তোমার। দুটা কোলবালিশ!
: শোন, আমার সামনে "সতীন" শব্দটা আর কখনো বলবা না! আমার মেজাজ গরম হয়া যায়। তোমার পাশে আমি ছাড়া আর কেউ থাকবে না। যে থাকার চেষ্টা করবে তাকে খুন করবো, এই বলি দিলাম..
- আহ্ । তোমার কথা শুনে তো পুরা ফিদা হয়া গেলাম!
কিন্তু আমার যে তোমাক জ্বালাইতে মজা লাগে?
: ঐ শোন। মাঝরাতে মেজাজ খারাপ করিও না। আমাক তো এখনো চিনো নাই। তোমাক কিছু বলি না দেখি বেশি পাকছো..
- স্যরি। খুব ভয় পাইছি..
: huh! . . . চলো রবিবার সন্ধ্যায় ফুটপাতে হাঁটি! হাঁটবা? শুধু তুমি আর আমি?
- চেষ্টা করবো। যদি সম্ভব হয় যাবো...
: হুম। আমাক তো তোমার কিছু মনে হয় না। আসলে আমিই খারাপ। তোমাক ছাড়ি যাইতেও পারি না, তাই তোমার এতো ভাব বাড়ছে। আমি যেদিন সত্যি আর থাকবো না, সেদিন বুঝবা আমার ইমপরটেন্টনেস..
- থাক। আর বলতে লাগবে না। যাও...যাবো! ফোন দিও!
: নাহ। তোমার তো টা-ই-ম নাই। আসা লাগবে না। যাও যাও..! ৪০কেজি ওয়েটের সুন্দরী মেয়ে খুঁজো। আর বিয়ের অন্তত দাওয়াতটা দিও।
- হ্যাঁ । তা তো অবশ্যই দিব। আসিও হ্যাঁ??
: No reply
- রাগ করলা? স্যরি!
: No reply (১৫মিনিট পরও)
অবশেষে..লগ আউট করে ঘুমানোর প্রস্তুতি নেয় কৌশিক। নিশ্চয়ই মেয়েটা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। যাক। এখন অনেকটা মুড চেন্জ হয়া গেছে। ঘুমটা ভালী হবে। একটা স্বপ্ন দেখতে পারলে মন্দ হত না..
(২)
সন্ধ্যা ৭টা। নীল শাড়ি পড়া একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে। খোলা চুল, হালকা লিপিস্টিক, চোখে কাজল, কপালে ছোট্ট একটা টিপ!- এটাই কি আমার অরনি। হা হয়ে তাকিয়ে দেখতেছে কৌশিক। এত সুন্দর?? মৃদু হাওয়ায় অসাম লাগছে দেখতে.. মনে হয় কোন আধারে অপ্সরী..
*
এ্যালার্ম বাজতেই ঘুম ভেঙে যায়। ৬টা ৫৭মিনিট! ওহ!!!! তারমানে এটা স্বপ্ন ছিল?? স্বপ্নই যদি হয়, তবে কিভাবে সম্ভব! একদম রিয়েল মনে হচ্ছিল!!! অদ্ভুদ ব্যাপার!
(৩)
সকালে নাস্তা করে, আবারো ফেসবুকে লগ ইন করে কৌশিক। উদ্দেশ্য কাল রাতের স্বপ্ন শেয়ার করা.. শেয়ায় করেই বেরিয়ে পড়ে কৌশিক। সারা দিনের কর্মব্যস্ততায় আর লগ ইন করা হয় না ফেসবুকে..
¤¤¤
ঠিক বিকেল বেলা অরনি ফোন দেয় কৌশিক'কে। রংধনুর ৯নাম্বার টেবিলে ওয়েট করতে বলে...
কৌশিক যাওয়ার ৫মিনিট পরেই অরনি উপস্থিত! কৌশিক হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে..!!
একি?(!) নীল শাড়ি পড়া একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে। খোলা চুল, হালকা লিপিস্টিক, চোখে কাজল, কপালে ছোট্ট একটা টিপ! এ তো স্বপ্নে দেখা সেই অরনি!! (সকালে শেয়ার করা স্টাটাসটা পড়েছে সে)
হ্যাঁ। সত্যিই অরনী এসেছে! কৌশিক'কে বসিয়ে দিয়ে, নিজে বসলো তার পাশে। হাতের উপর আলতো করে, মেহেদী রাঙ্গা হাতটা রাখলো.. এ যেন স্বপ্ন হলেও সত্যি!!
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...