বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
লুকানো ব্যাথা রয়ে যায় হৃদয় ধারের বাম কোনে
সুখেদের তখন পাখা গজায় অচেনায় হারাবার ছলে..............
জীবনে কোন Girl friend নাই। যদিও বা পেয়েছিলাম, সেটাও ৩ মাসের Agreement এ।
যখনি ৩ মাস পেরিয়ে গেল Agreement অনুযায়ী Breakup।
যদিও মনে হয় তাদের কনো প্রয়জন নাই, কিন্তু অন্য কারো প্রেম করা দেখে মনে হয়.....
"জীবনে কি রেখে কি করলাম"
বলতে গেলে কিছুটা লালা ঝরার মতই।
>ভাবছেন আমি কে?
আমি হলাম সানু,,,,,
গল্পটার এক চরিত্র।
#এখানে লেখক আবার আমার চরিত্রে আছে।
( যদিও আমার প্রথম লেখাটা Love story এর মতই কিন্তু Love story নয়,
কেন....???
সেটা পড়লেই বুঝতে পারবেন। )
>সানুঃ তো বলে দাও না যে তোমার কথাটা ওকে........
নান্নুঃ না রে ভাই। ভয় লাগে। যদি না বলে দেয়, তাহলে আমি ওকে চিরতরে হরাব। যা আছি এই বেশ। দিন গেলেই কথা হচ্ছে, দেখা হচ্ছে, এইটায় যতেষ্ট।
........না যতেষ্ট নয়।
আচ্ছা ওকে যদি না বল তুমি, তাহলে ও তোমার হবে কি করে??
তা ছারাও তো না এর পরিবর্তে হ্যা ও বলতে পারে, না??
নান্নুঃ সেটাও তো হয়।
.......তাহলে বলে দাও,,,
নান্নুঃ না আমি বলতে পারব না।
......তাহলে আমি বলব।
নান্নুঃ না তুমিও বলবে না।
...... না আমি বলবই বলব।
নান্নুঃ আচ্ছা বলতে পার, কিন্তু ১টা শর্তে।
.....কি শর্ত?
নান্নুঃ সিনহা যদি আমাকে accept নাও করে তাহলে ওর সাথে আমার যে সম্পর্ক আছে সেটা যেন ঠিক থাকে।
না হলে আমি মরে যাব।
....ok ok আমি আজই বলে দিব।
#(মনে মনে ভাবতেছি যে তুমি এইটাই আমার কাছ থেকে চায়ছিলা।)
#যাই হক এর আগের কিছু বাকি কথায় ফিরে যাই.....
>আমাদের পাশের বাড়ির একটা মেয়ে আছে। যার নাম সিনহা, দেখতে বেশ সুন্দর,এক দেখাতে অনেকেরি পছন্দ হতে পারে।
তবে অনেকেই আমার সাথে সিনহাকে নিয়ে ঠাট্টা করত।
আমিও মুখ বঝে সহ্য করে যাই। আর করবই না কেন?
নিজের পাশে সেরকম একটা মেয়ে পেলে কে ঘুরিয়ে কথা বলবে?
কিন্তু আমি জানি না যে,আমার পাশের গ্রামের এক জন আবার সিনহাকে like করে।
সবাই আমাকে সিনহার সাথে জরায় আর আমার নিরবতা টা সবার মনে সারা দেয় যে আমি সিনহাকে সত্যি সত্যি like করি।
কিন্তু না।
>আমি একটা ছেলের কথা বলছিলাম,
মনে আছে কি?
ওই যে পাশের গ্রামের ছেলেটা।
যে ছেলেটা সিনহাকে like করে।
তার নাম হচ্ছে নান্নু। ও সত্যি সত্যি অনেক ভালোবাসে
সিনহাকে।
আর আমি নাকি সিনহাকে like করি সেটা কেউ নান্নুর কানে তুলে দিতে একটুও দেরি করে নাই।
সে থেকে যেখানেই নান্নুর সাথে আমার দেখা হয় সেখানেই নান্নু শুধু আমার আর সিনহার কথাটা টেনে নেয়।
আমি বুঝে গেছিলাম যে নান্নু আমার থেকে জানতে চায় আমি কি সিনহাকে সত্যি like করি কি?
আর ওর সাথে আমার কি সত্যি কোন relation আছে কি না?
>আমি ছেলেটা বেশি না কিন্তু কিছুটা Intelligent।
কিন্তু সেটা আমি কাওকে বুঝাতে চাইনা।
কিন্তু নান্নু ভাবত আমি একটা Innocent boy।
এখন হয়ত সেরকমটা আর ভাবেনা।
যাই হোক নান্নু যে একটা কথা জানতে চাচ্ছে সেটা আমি বুঝতে পারি। আর ওকে সাভাবিক ভাবে বলে দিই যে "সে রকম কিছু না"।
ও বার বার সেটা জানার জন্য আমার কাছে আসলে, আমি ব্যাস্ত না থাকলেও আমার ব্যাস্ততা আমি প্রকাশ করার চেষ্টা করতাম।মোট কথা আমি নান্নু কে কিছুটা এড়িয়ে চলতাম।
কিন্তু নান্নুকে সেটা বুঝতে দেই নায়।
নান্নু আবার Over talented boy, কিন্তু নান্নু যে Over talented boy সেটা নান্নু সবাই কে জানাতে চায়।
কিছুটা আমার বিপরিতে।
>সে সমায় নান্নু আর সিনহা ছিল খুব ভাল বন্ধু, তখন আমি সিনহার কেবল বন্ধ হতে যাচ্ছি।
আজ হয়তো নান্নু আর সিনহা দুজনেই আমার ভাল বন্ধু।
>নান্নু ছিল অন্য college এর ছাত্র।
কিন্তু ও শুধু সিনহার জন্যই আমাদের college এ আসত।
সিনহা আর আমি এক college এ পড়তাম।
প্রতিদিন দুজন college এ আসত, অনেক মজা করত। আর নান্নু সব সমায় সিনহাকে এইটা বোঝানোর চেষ্টা করতো যে নান্নু সিনহাকে কতটা ভালোবাসতো।
হয়তবা সিনহা সেটা বুঝতো কিন্তু প্রকাশ করত না।
আমার ধারনা ভুলও হতে পারে করণ আমি কখন সিনহাকে জিজ্ঞসা করি নাই।
>প্রতিদিন নান্নু college এ যেত এই ভেবে যে আজ হয়ত আমি সিনহাকে বলতে পারব, আর সে হয়ত আমাকে গ্রহন করবে।
নয়ত আমি যে তাকে ভালোবাসি সেটা ও বুঝতে পারবে আর আমাকে জরিয়ে ধরবে।
কিন্তু না।
নান্নু যেটা ভাবে সেটা হয় না।
প্রতিদিন ব্যার্থতাকে ঘারে করে বহন করতে হয়।
আর বিকালবেলা আমাকে ডাকত আর আমার থেকে শুনতো সিনহা বাড়িতে কি কি করে?
বড় বেশি ভালোবাসতো সিনহাকে।
আমি মাঝে মাঝেই বলতাম যে সিনহাকে তোমার মনের কথাটা বলে দাও।
কিন্তু নান্নু খুব ভয় পায়তো, সিনহা যদি ওকে না গ্রহন করে তাহলে নান্নু সিনহাকে চিরতরে হরাবে আর নান্নু সেটা সহ্য করতে পারবে না, পুর পাগল হয়ে যাবে।
>তারপর এক দিন বিকালবেলা ঠিক হল আমি সিনহাকে বলে দিব যে নান্নু সিনহাকে ভালোবাসে।
সেটা প্রথমে বলে দিয়েছি।
পরদিন বিকালে আমি সিনহাকে একা ডেকে নিলাম।
তার পর বললাম......
......সিনহা আমি তোমাকে একটা কথা বলতে চায়।
সিনহাঃ কি কথা?
.....কিভাবে যে বলব বুঝতে পারতাছি না?
সিনহাঃ যে ভবে ইচ্ছা বলো।
.....Mind করবা বল। আর এই কথাতা বলার পর কারো উপর কোন প্রতিক্রিয়া যেন না পরে।
যার কথাটা তার উপরও & না আমার উপরও না।
ok?
সিনহাঃ ok! বল।
.....একজন তোমায় ভিষন like করে।
সিনহাঃ কে সে?
.....সেটা বলব না, কিন্তু সে তোমায় অনেক অনেক ভালোবাসে। এমন কি বলা যায় পাগলের মত ভালোবােসে।
ও তোমাকে কখনোই হারাতে চায় না।
ওর দেখা প্রতিটি স্বপ্ন তোমাকে নিয়ে।
ও তোমাকে ছাড়া কিছু ভাবতেও পারেনা।
সিনহাঃ সেই বাক্তিটা কে আমি জানতে চায়। যে আমাকে এতোটা ভালোবাসে তার নামটা বল।
......আমি তোমায় নাম এত সহজে বলবনা, কিন্তু তোমায় চেনার জন্য কিছুটা সহজ করে দিতে পারি।
ওকে তুমি Baby বলে ডাকো।
#( এখানে সিনহা বুঝতে পারছিল সেটা আমি বুঝতে পারছিলাম। তার পরেও সিনহা জানার জন্য উঠে পরে লাগছিলো )
সিনহাঃ না চিনতেছি না।
কাকে baby বলে ডাকি?
বল না বল নামটা।
না হলে জেতে দিব না কথাও।
......মানুষ টা তোমার পরিচিত।
নাম টা হল "নান্নু"।
সিনহাঃ ও ও ও.... একটা কথা জান সানু? আমি না তোমাদের মানে আমার বন্ধু গুলার মাঝে এমন কারো উপর সে রকম কোন feelings নাই।
আমি এমন কিছু কখন ভাবিই না।
নান্নু কে আমার হয়ে sorry বল।
তোমরা যে কি ভাবে আমার জীবনে আসছ জানি না।
আমি জানি আমি তোমাদের অনেক বেশি ভালবাসি।
আর সেখান থেকে যেকোন একজনকে বেছে নেওয়ার কথা কখনই ভাবিনায়।
আমি পারবনা।
আমি আমি পারবনা সানু।
......একবার ভেবে দেখলে হয় না কি?
সিনহাঃ আমি ভেবেই বলছি।
এর চেয়ে বেশি ভাবলে আমি পাগল হয়ে যাব।
......ok ok, কিন্তু ও যে ভয় টা পায়ছিল সেইটাই ঠিক হল।
সিনহাঃ কি ভয়?
.....তুমি না বলে দেওয়ার ভয়, তোমাকে হারানোর ভয়।
কিন্তু ওকে তুমি কখনো বুঝতে দিওনা যে তুমি ওকে ফিরিয়ে দিয়েছ।
তবে যে ও পাগল হয়ে যাবে।
তোমার কাছে ১টা Request আগে যেমন তুমি ওর বন্ধু ছিলা তেমনি থেকো,,,, please! মনে রেখো ও তোমাকে ওর চায়তেও বেশি ভালোবাসে।
সিনহাঃ ok!
>ঠিক ঠাক কথা শেষ হওয়ার কয়েক মূহর্ত পরেই কোথা থেকে যেন অাসল নান্নু।
সিনহাকে দেখে দাড়াল। তার সাথে কথা বলল। সিনহা তো বুঝতেই দিলনা কিছু।
পরের দিন নান্নু অামার থেকে সব শুনল।
তার পর মুখে হাসি কিন্তু হৃদয় পড়ানোর গন্ধ বের হয়ছে, তা ঠিক ঠাক বুঝতে পারলাম।
দহিত হৃদয় নিয়ে নান্নু বাড়িতে গেল।
বাড়িতে গিয়ে হয়ত কান্না শুরু করে দিয়েছে।
অামার ধারনা টা ঠিক,পরের দিন শুনলাম বাড়িতে গিয়ে নান্নু খুব কেদেছে।
>খুব বেশি ভালববাসত নান্নু সিনহাকে।
আমিই বা আর কি করব?
কষ্টিই যদি সোনা না চেনে, তাহলে আমারই বা কি করার?
তবে নান্নুর মুখে সুনছি,
এই ব্যাথা টাও কম।
যদি সিনহা আমার পাশে থাকে তবে এর চেয়েও অনেক বেশি ব্যাথা সহ্য করতে আমার একটুও কষ্ট হবেনা।
তবে আমার মনে হয় আমরা দুজন ঠিক একদিন এক হয়ে যাব।
দুজন দুজনকে বুঝবো।
দুজন দুজনকে অনেক ভালবাসবো।
দুজন মিলে সারা জীবন থাকব।
আমার মনের দুয়ার ওর জন্য খোলা রইল।
আমার হৃদয়ে ওর জায়গাটা অন্য কেউ পূরন করতে পারবে না।
আমি যে ওকে বড্ড বেশি ভালবাসি।
>এখনো নান্নু সিনহার অপেক্ষায়............
সিনহার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য এখনো আগের মতই আছে নান্নু, শুধু দুষ্টুমিটাই বেরে গেছে।
শাওন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
¤-ইশিকা-¤
User ৫ বছর, ৪ মাস পুর্বে