বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন
বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

জীবনটা অতিথি পাখির মতো-০১

"উপন্যাস" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান নাফিজ আহমেদ (০ পয়েন্ট)

X জীবনটা অতিথি পাখির মতো — ০১ লেখকঃ নাফিজ আহমেদ সময়টা ২০২৪ সালের আগস্ট মাস। দেশ যেন নতুন করে আপন রঙে সেজে উঠেছে। দীর্ঘদিন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা বন্ধ থাকার পর আবারও খুলে গেছে। সেই উপলক্ষে আর বাড়িতে সময় না কাটিয়ে চলে এলাম নতুন এক ঠিকানায়— তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা, টঙ্গী, গাজীপুর। এর আগে কখনোই বাড়ি থেকে বাইরে থেকে পড়ার অভিজ্ঞতা হয়নি। এটাই প্রথম, অনেক দূরে বাসা থেকে। চারপাশের মানুষজনও একেবারে নতুন। একেকজন এসেছে একেক জেলা থেকে— হৃদয়ের গভীরে নিজের স্বপ্ন লালন করে। যেহেতু মাদ্রাসাটি বাড়ি থেকে অনেক দূরে, তাই এখানে অনেক শিক্ষার্থী থেকেই পড়ে। তবে কেউ কেউ আবার নিয়মিত বাড়ি চলে যায়। আমিও শুরুতে ঠিক মানিয়ে নিতে পারছিলাম না। কেমন যেন একাকীত্ব ঘিরে ধরেছিল। বারবার মনে হতো, ফিরে যাই নিজের পরিচিত সেই আপন ভুবনে। এমনকি এক সময় পুরোপুরি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম— আর না, এবার ফিরে যাবো। এখানে আর থাকা হবে না। এই অভিজ্ঞতাগুলো মিল্লাতে আসার প্রথম দশ-বারো দিনের মধ্যেই ঘটে। হঠাৎ জানতে পারি, আমাদের ম্যাচে যশোর জেলার এক ভাই আছেন। নিজের জেলার কেউ থাকলে স্বাভাবিকভাবেই একটা হৃদ্যতা জন্ম নেয়। শুনলাম, ভাই কিছুদিন বাড়িতে ছিলেন, তাই এখনো তার সঙ্গে দেখা হয়নি। একদিন গেলাম ভাইয়ের রুমে। ভাই থাকেন ৫০৪ নম্বর কক্ষে, আর আমি থাকতাম ৫০১ নম্বরে। ভদ্রভাবে দরজায় নক করে বললাম, — আসসালামু আলাইকুম ভাই, কেমন আছেন? আমি নাফিজ আহমেদ। ভাই হাসিমুখে উত্তর দিলেন, — ওয়ালাইকুমুস সালাম। আমি মুশফিকুর রহমান। কেমন আছেন আপনি? — আলহামদুলিল্লাহ। আপনি কেমন আছেন ভাই? — আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালোই আছি। ভাইয়ের সঙ্গে আলাপ করে খুব ভালো লাগল। মুশফিক ভাই ছিলেন অত্যন্ত ভদ্র ও কোমল হৃদয়ের মানুষ। কিছুক্ষণ গল্প করে জানতে পারলাম, ভাইয়ের বাড়ি আমাদের পাশের থানায়— আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে। বিষয়টা জেনে মনে কিছুটা সাহস পেলাম। ভাইয়ের কক্ষ থেকে নিজের রুমে ফিরে এলাম, তবে মনে হচ্ছিল, ভাই যদি আমার রুমে থাকতেন, তাহলে হয়তো আরও একটু ভালো লাগত। তাই আমার এক রুমমেট সাদিককে পাঠালাম ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য। সাদিকের বাড়ি গাইবান্ধা। আর ৫০৪ নম্বর কক্ষে থাকা বাকি দুইজনের বাড়িও একই জেলায় হওয়ায় সাদিক সহজেই তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারল। সব বুঝিয়ে বলায় সাদিক রাজি হয়ে গেল, এবং কিছুক্ষণের মধ্যে মুশফিক ভাইকে আমাদের রুমে নিয়ে এলাম। এবার সত্যিই মনে হচ্ছিল, হৃদয়ের অতল গভীরতায় একরকম প্রশান্তি নেমে এসেছে। ধীরে ধীরে ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্কটা আরও গভীর হয়ে উঠল। এভাবে বেশ কিছুদিন কেটে গেল। ম্যাচ জীবনের প্রায় বাইশ দিন পেরিয়ে গেছে। বাড়ির প্রতি এক অদ্ভুত টান অনুভব করছিলাম। ভাবলাম, এবার আর দেরি নয়— ফিরেই যাই নিজের ঘরে। যেহেতু মুশফিক ভাইয়ের বাড়িও যশোরে, তাই তার কাছ থেকে পরামর্শ নিলাম— কীভাবে গেলে সহজ হবে। ভাই বললেন, — আপনি যেহেতু নতুন, তাই বেশি ঘোরাঘুরি না করে বলাকা বাসে করে সরাসরি যাত্রাবাড়ি চলে যান। সেখান থেকে যশোরের বাস পাবেন। ভাড়া নিবে পাঁচশ টাকা। বাসটা সরাসরি যশোরের মনিহার মোড়ে নামিয়ে দেবে। আমি ভাইয়ের পরামর্শমতোই রওনা দিলাম আপন গন্তব্যের পথে... চলবে...


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১২ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now