বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আমাকে জড়িয়ে ধরবে?-০২
লেখকঃ নাফিজ আহমেদ
আমি মনে মনে ভাবছি সাহস করে তাকে নিজের ভিতর নিমজ্জিত থাকা সকল কথা খুলে বলব। অর্থাৎ আমি তাকে প্রপোজ করব। কিভাবে কি করব কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। ও জানতে পারলে কি করবে কে জানে? এই সব ভাবতে ভাবতে কেটে গেলে কয়েকটা দিন। অবশেষে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যাই হয় হোক আজই আমি তাকে আমার না বলা কথা গুলো বলে দিব। সেইদিন ভয়তে ভয়তে ক্লাসে গেলাম কোন পড়াতেই আমার মন বসছিল না কেননা আমার মনে ছিল অন্য ভাবনা। কি ভাবে বলব কি করব এসবই ভাবছিলাম। অবশেষে টিফিন টাইমে ও যখন একাকী ক্লাসরুমে বসে ছিল আমি ওদের রুমে গেলাম। আগেই বলে রাখি ও আমার এক ক্লাসের সিনিয়র ছিল। অর্থাৎ সে এবার দশম শ্রেণীতে আর আমি নবম শ্রেণিতে। আবার অপমান করবে না তো নানান ভয়ে আমি ভীত হয়ে পড়ছিলাম বারংবার। তারপরও তার সামনে গেলাম। কি বলে সম্বোধন করব বুঝতে পারছিলাম না। আপু বলবো নাকি? আরে না তাকে আমি প্রোপোজ করতে আসছি। ভাই বোনের সম্পর্ক তৈরী করতে আসছি নাকি যে আপু বলবো। সুতরাং সরাসরি নাম ধরেই ডাকব। তো আমি ধীরগতিতে তার সম্মুখে গেলাম এবং বললাম রুবা তোমার সাথে আমার একটু কথা আছে। ও একটু হতভম্ব হয়ে গেল। ও হয়তো মনে মনে ভাবছে এর আগে যতবার কথা হয়েছে আপনা আপনি সম্বোধন করে কথা বলেছি আজ হঠাৎ তুমি করে কি বলবে জানি! তার মুখের চাওনি দেখে আমি কিছুটা অনুধাবন করলাম রুবা আজ পুরো অপ্রস্তুত হয়ে আছে। কি বলবি বল (রুবা বলল)। (রবি বলল) আমি ঘুরিয়ে কথা বলতে পারিনা এজন্য সোজাসুজি বলে দিচ্ছি আমি তোমাকে ভালোবাসি, ভালো লাগে তোমাকে, I love you. You believe me Really I love you. একসাথে অনেকগুলো বাক্য শুনে রুবা সত্যিই হতভম্ব হয়ে গেল। বুঝতে পারছে না কি করবে। এদিকে অনেকটা সময় কেটে গেছে টিফিনের সময়ও শেষ হয়ে এলো। সকলে ধীরে ধীরে ক্লাসে প্রবেশ করছে। যেহেতু এটা দশম শ্রেণির ক্লাস তাই এখানে থাকাটাও আমার জন্য ঠিক হবে না তারপর আবার একটা মেয়ে ও একটা ছেলে। অন্য পাশে তাকানোর সময় হঠাৎ কে যেন আমাকে চর (থাপ্পড়) মেরে উঠলো। আমি বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে লক্ষ করলাম রুবা আমাকে থাপ্পড় মেরেছে। সে নিজে নিজেই বলে যাচ্ছে তোর সাহস হয় কি করে আমার দিকে দেখার? জানিস আমি কে? আমি ইচ্ছা করলে এখনি তোর এই স্কুল থেকে বাহির করে দিতে পারি। এদিকে ততক্ষণে ক্লাসে সবাই চলে এসেছে। রুবাও তার মতো বকাবকি শুরু করে দিয়েছে৷ আমি এবার সত্যিই খুব ভয় পেলাম। ঐদিকে দশম শ্রেণির সবাই আমাকে মারার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেল। সবাই আমার দিকে এগিয়ে আসছে। রুবা ওদের সবাইকে নিষেধ করল সাথে আমাকে চলে যেতে বলল। আমি এতক্ষণে একটা কথাও না বলে চুপ করে ছিলাম। শেষে শুধু রুবাকে বললাম তুমি আমাকে যে শাস্তি দিবে আমি মাথা পেতে নিবো তবে একটা ইচ্ছা পূরণ করবে? আমাকে একটু জড়িয়ে ধরবে? আমার এই কথা শুনে দশম শ্রেণির সকলে এবার সত্যিই আমাকে মারল। আর রুবা সেটা দেখছে। একবারের জন্যও বাধা দিল না। আমি সত্যিই বুঝতে পারলাম ওর মনে আমার জন্য একটু ও জায়গা নেই। সেদিনের পর থেকে আমি ঐ-স্কুল ছেড়ে দিই। আমি চিরদিনের জন্য রুবার থেকে দূরে চলে যায়। আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। আবার নতুন করে আমার লেখা পড়া শুরু করি। আর দিনশেষে আমি সফলতা লাভ করি। আমি সেদিন মদের আড্ডায় নিজেকে নষ্ট করিনি। সিগারেটের পিছনে নিজের মূল্যবান সময় অতিবাহিত করিনি। আমি আমার জীবনকে গড়ে তুলেছি। আমার আল্লাহকে আমি চিনেছি। এভাবেই আলহামদুলিল্লাহ আজ আমি সফল মানুষদের একজন। কথাগুলো শুনতে শুনতে অনেকেই দেখলাম একটু একটু কেঁদে দিয়েছে। আর নিজেরাও প্রতিজ্ঞা করছে কোন হারাম সম্পর্কের জন্য নিজেদের জীবনকে নষ্ট করবো না বরং জীবনটা আল্লাহর বিধান মোতাবেক পরিচালনা করার চেষ্টা করবো। তাদের কথাগুলো শুনে সত্যিই আজ আমার অনেক ভালো লাগলো। শুকরিয়া ইয়া রব্বাল আলামিন।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now