বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন
বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

সন্তানের প্রতি

"স্মৃতির পাতা" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান সাদিয়া(guest) (০ পয়েন্ট)

X সাদিয়া, একটা সময় আমি শুধুই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তারপর ssc পরীক্ষার পর বিয়ে হয় সম্পূর্ণ অপরিচিত একজন মানুষ এর সাথে।তখন আমি অন্যকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরি।তার কখন কোন জিনিসটা প্রয়োজন সেই দিক খেয়াল রাখতে রাখতে নিজের প্রতি আর খেয়াল রাখা হলোনা। বিয়ের পাঁচ মাসের মাথায় টের পাই অদ্ভুত একটা আত্মার অস্তিত্ব।আমার অংশ। যে কিনা আমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে আমার আমারই আর একটি আত্মা। দিন যায়, রাত যায়,সবসময় আমার কল্পনায় সে বিরাজ করে।। এমন কত রাত আছে, সবার অজানা,নির্ঘুম রাত জেগেছি, খেয়েছি একবেলা। তারপর ৩ মাস এর মাথায় তার উপস্থিতি টের পাওয়া শুরু করলাম। শুধু মনে হইতো যে, পেটে কিছু একটা ঘুরতেছে। মনে অনেক শান্তি লাগতো।। ঐই ভাবে আরো কিছু সময় যায়।তখন আমি অনুভব করতে পেছি তার ছোট্ট ছোট্ট পা। এই পা দিয়ে সে আমায় ডাকতো। প্রেগনেন্সির সময় গুলো যেমন ছিল বেদনাদায়ক, তপমনি ছিল মায়া জরানো ভালোবাসা। আমার প্রথম সন্তান।প্রথম যখন তাকে দেখেছি আমার চোখে অশ্রু নেমেছিল।এইটা ছিল বহুদিন ধরে নিজের মধ্যে আগলে রাখা ছোট্ট একটা আত্মার দুনিয়ায় আগমনের খুশির অশ্রু। তাকে পেয়ে আমি ভুলে গিয়েছিলাম আমার মেজর সার্জারি কষ্ট। সেই সন্তান এখন বড়ো হচ্ছে একটু একটু করে।এখনো অনেক নির্ঘুম রাত কাটে তা কেউ জানে না। একদি এমন সময় আসবে, যে দিন আমার সোনা পা টিপে টিপে হাটা শিখবে যাতে মা-র ঘুম না ভাঙে। তারপর একদিন অনেক বড়ো হয়ে যাবে। তখন চাইলেও এই দিন গুলো ফিরে পাব না।আমার৷ সোনা একাই সব শিখে যাবে। তুমিই সে যে আমার পেটে থেকেও ছিল বুকে। তুমিই সে যার শরীরের মোচড় আমার আত্মাকে মুচড়ে দিতো। তুমিই সে যে আমার ভিতরে বড়ো হচ্ছিলো একইসাথে বড়ো করছিলো আমাকেও। তুমিই সে যে ছিল আমার সবচেয়ে অচেনা কিন্তু যে ছিল আমার সবচেয়ে চেনা। তুমিই সে যে আমাকে চিনিয়েছিলো আমার শরীরের অলৌকিক-ক্ষমতা। তুমিই সে যে আমার হৃৎস্পন্দন বাড়িয়ে দিতো নিজেই হৃৎস্পন্দন হয়ে। তুমিই সে যার প্রত্যেক কান্নায় আমার মৃত্যু হতো। তুমিই সে যে আমাকে বুঝতে শিখিয়েছে রূপ শারীরিক নয়। তুমিই সে যে আমাকে শিখিয়েছিলো ভালোবাসা। তুমিই সে যে প্রথম আমার চোখে চোখ রেখে ডেকেছিলো— "মা"... এবং আমার পুনর্জন্ম হয়েছিলো। তুমিই সে যে আমাকে পাল্টে দিয়েছে চিরতরে। আমার প্রথম সন্তান।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৩৪ জন


এ জাতীয় গল্প

→ পিতার প্রতি সন্তানের ঘৃণা
→ সন্তানের প্রতি মায়ের ভালবাসা
→ বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানের দায়িত্ত
→ সন্তানের প্রতি কর্তব্য
→ সন্তানের প্রতি ভালবাসা

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now