বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
লেখকের নাম: আফরোজ মেহরুবা
"বিশাল মাঠ পেরিয়ে ছোট যে বাসাটা দেখা যায় ওইটা আমাদের বাসা।"
"বিশাল মাঠের পাশে তো অনেক বাসাই থাকে। কোনটা আপনাদের বাসা?"
"আমি চিনিয়ে দিতে পারব না।" এটুকু বলেই কলটা কেটে দেয় তিনা।
হঠাৎ একদিন একটা রং নাম্বার তাকে ফোন দেয়।
"জ্বি আমি ভুল করে আপনার নাম্বারে রিচার্জ করে ফেলেছি। আমার নাম্বারের আগের নাম্বারটা। দোকানদার অন্তত তাই লিখে রেখেছে। দেখেন দুশো টাকা এমন কিছুও না। কিন্তু আমার আবার আর্জেন্ট কিছু কাজ আছে। এখন বাড়ি থেকে টাকা চাইলে হয়তো বলবে যে এত টাকা কি করলি? ইত্যাদি, ইত্যাদি। জ্বি, মিনিট কিনে কথা বলছিলাম। যদি আপনার অসুবিধা না থাকে, আমাকে আবার দুশো টাকা রিচার্জ করে দিতে পারবেন?"
"ও হ্যাঁ হ্যাঁ, আমিও অবাক হলাম। কে এমন শুভাকাঙ্ক্ষী আছে যে আমাকে দুশো টাকা এমনিতেই রিচার্জ করে দিবে? তবে এজন্য আপনাকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। আমি বাইরেই, একটু ব্যাস্ত আছি। ধন্যবাদ জানানোর জন্য।"
"দেখেন আমি ভেবেছিলাম আপনি একজন সিনসেয়ার মানুষ। কিন্তু আপনি তো তা না। পুরো একঘন্টা হয়ে গেল কই আপনি তো টাকাটা ব্যাক করলেনই না উল্টো আমার নাম্বারটা ব্লক করে দিয়েছেন। এটা আমার বাবার ফোন নাম্বার। আমি কি এতই বেয়াদব না-কি যে কোনো কারণ ছাড়াই আপনাকে এসব জানাব?"
ফিক করে হেসে ফেলে তিনা, "আপনার নাম? আচ্ছা নাম বলা লাগবে না। আমি তো একেবারে ভুলেই গিয়েছিলাম এই ব্যাপারটা। আমার ফোনে চার্জ ছিল না তো। ব্লক দিব কেন? বাড়ি ফিরে চার্জ দিলাম এরপর, কথা বলতেছি, এই আর কি!"
"আপনি মনে হয় বুড়ি একটা মহিলা এজন্য কিছু একটা বারবার ভুলে যাচ্ছেন। আমি কৈফিয়ত চাচ্ছি না। আমার মিনিট ফুরিয়ে যাচ্ছে। তাড়াতাড়ি দুশো টাকা ব্যাক করেন। বুঝেছেন?"
তাড়াতাড়ি রিচার্জ করতে বাইরে যাওয়ার সময় তার মা তাকে জিজ্ঞেস করে যে সে কেন আবার বাইরে যাচ্ছে এইমাত্র বাসায় ফিরল আবার বাইরে যেতে হবে কেন? উত্তর দিতে পারে না তিনা। এই অচেনা মানুষের কাছে কি যে দায়বদ্ধতা। সত্যি সত্যিই দুশো টাকা রিচার্জ হয়ে এসেছে তার ফোনে। ভালোই ফ্যাসাদে পড়া গেল। যাহোক তার কেনা এক পলিথিন টমেটো ফেলে এসেছে বলে বের হয় তিনা।
"অনেক ধন্যবাদ আপনাকে" আবার সেই ফোনকল। "অনেক জ্বালালাম।"
"এরকম ভাবে কথা বললে তো মানুষ মানুষকে বিশ্বাসই করবে না। ভাববে যে ইচ্ছে করেই মজা করছে। সময়েরও তো একটা দাম আছে বৈকি!"
"ও আপনি তাই মনে করেন। ভালো কথা আমি রবিন। আপনি?"
কোনো উত্তর দেয় না তিনা। রং নাম্বারের মানুষটাকে নিয়ে তার কৌতূহল বেড়ে যায়।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now