বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

নাইটমেয়ার হাউস

"ভৌতিক গল্প " বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Rumman L(guest) (০ পয়েন্ট)

X শহরের ঠিক বাইরে এক পুরনো বাড়ি ছিল, যার নাম ছিল "নাইটমেয়ার হাউস"। অনেক বছর আগে এটি ছিল একটি বিশাল হোস্টেল, যেখানে নানা ধরনের মানুষ আসত। কিন্তু এক রাতে সেখানে ঘটে গিয়েছিল ভয়ঙ্কর এক ঘটনা, যার পর থেকেই বাড়িটি পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। বলা হয়ে থাকে, ঐ রাতে যারা ছিল, তাদের কারোই আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। কিন্তু গল্পটা এমনই যে, কিছু মানুষ একসময় মনে করেছিল—এই বাড়ির ভেতর কিছু অদৃশ্য প্রাণী বাস করে। রাতের বেলায় তারা ওই বাড়ির এক এক কোণায় ঘুরে বেড়াত। একদিন, নিহাল নামের এক যুবক, যে সবসময় ভূতের গল্পের শখ পোষণ করত, ঠিক করল যে সে ওই বাড়িতে এক রাত কাটাবে। সে বিশ্বাস করত—এগুলো সবটাই কুসংস্কার এবং ঐ বাড়ির মধ্যে সত্যি কিছু নেই। ভয়ের শুরু রাত ১২টার দিকে, নিহাল বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করল। দরজাগুলো এতটা জং ধরে ছিল যে, প্রবেশ করতে গিয়ে তাকে বেশ কিছু কষ্ট করতে হয়েছিল। ভেতরে ঢোকার পর, সে অনুভব করল, এক অদ্ভুত ঠান্ডা বাতাস তার গায়ে লাগছে, যা যেন হাড় কাঁপিয়ে দেয়। পুরো বাড়ি ছিল শূন্য, কিন্তু একটা অনুভূতি ছিল—যেন কিছু যেন তাকে চোখের পলকে অনুসরণ করছে। নিহাল তার ক্যামেরা চালু করে এবং বাড়ির প্রতিটি ঘর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরখ করতে লাগল। কিছুক্ষণ পর, সে একটি পুরনো আয়না দেখল, যা প্রায় ভাঙা হয়ে গেছে। আয়নাতে তার প্রতিবিম্ব ছিল, কিন্তু কী অদ্ভুত ব্যাপার—তার প্রতিবিম্বটিতে একটি অন্যরকম হাসি ফুটে উঠছিল। অদৃশ্য সত্তা সে যখন আয়নাটি ভালো করে দেখল, হঠাৎ করে সে কানে একটা গম্ভীর গলা শুনতে পেল, "তুমি এখানে কী করতে এসেছো?" নিহাল তীব্র ভয়ে সিটকে উঠল, কিন্তু আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখতে পেল—সে একা নয়! তার পেছনে দাড়িয়ে ছিল একটি অন্ধকার সিলুয়েট। ছায়ার মধ্যে খুব আস্তে আস্তে কিছু একটা ক্রমশ এগিয়ে আসছিল। তা দেখে, নিহাল বুঝতে পারল—এটা কোনো মানুষ নয়। সিলুয়েটটা কেমন যেন বিকৃত হয়ে উঠছিল। গাঢ় কালো এবং চোখ দুটি পুড়তে থাকা আগুনের মতো! নিহাল চিৎকার করে উঠে দৌড়াতে চেষ্টা করল, কিন্তু ঘরের প্রতিটি দেয়াল যেন ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল। সে বুঝতে পারছিল না—হয়তো, সে কোথাও যেতে পারবে না। এক মুহূর্তে, সে অনুভব করল যে কিছু একটা তার পায়ের নিচে দাঁড়িয়ে আছে, যেন তাকে আটকে রেখেছে। তখন, হঠাৎ করে সে জানালায় কিছু দেখতে পেল। জানালার ভেতর—একটি কনক্রিটের হাত তার দিকে এগিয়ে আসছিল। অন্ধকারের মধ্যে চিত্রকল্প নিহাল বুঝতে পারল, এসব কিছুই আসল। যা সে ভাবত, তা ভুল ছিল। ওখানে কিছু কিছু পিশাচেরা ঘুরে বেড়াচ্ছিল, যাদের আত্মা এখনো সেখানে অযুতকাল ধরে আটকে আছে। তাদের প্রত্যেকের এক-একটি গল্প ছিল—কিন্তু কেউ জীবিত অবস্থায় তা জানতো না। এদিকে, সেই জানালার দিকে তাকিয়ে নিহাল দেখল—একটি অদ্ভুত আকারের মুখ তার দিকে এগিয়ে আসছে, তার চোখে আগুন, আর ঠোঁট দিয়ে বের হচ্ছে ঝাপসা গলায় একটা গুম গুম আওয়াজ। "তুমি একা নও... আমরা এখানে আছি..." শেষ কথার হাহাকার পরদিন, এলাকার লোকজন এসে বাড়িটা খুঁজে পায়, কিন্তু নিহালের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বাড়ির এক এক কোণায়, তার ক্যামেরায় একটি ফুটেজ পাওয়া যায়, যেখানে নিহাল প্রায় হুমড়ি খেয়ে পড়ছে, আর তার চোখের সামনে যেন অজস্র হাত, মুখ এবং অদৃশ্য সত্তা উঠে আসছে। তারপরে কেউ সেই বাড়িতে আর যায়নি। কিন্তু লোকজন বলে—তারা যদি একদিন ওই বাড়ির আশপাশে রাত ১২টার দিকে যেত, তাহলে তাদের কানে একটা অদ্ভুত হাসির আওয়াজ শোনা যেত। "তুমি একা নও... আমরা এখানে আছি..."


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২০৯৭৯ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now