বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
পুরোনো আসবাবপত্রের দোকান
রাত তখন প্রায় সাড়ে দশটা। রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের হলুদ আলোয় হালকা ঝিম ধরা পরিবেশ। শহরের এক কোণে পুরোনো আসবাবপত্রের ছোট্ট দোকানটি দাঁড়িয়ে আছে বহু বছর ধরে। দোকানটির মালিক, হাশেম চাচা, একা থাকেন পেছনের ছোট্ট ঘরটিতে। আশপাশের মানুষজন বলেন, দোকানটি অভিশপ্ত। তবে হাশেম চাচা এসব কথায় কান দেন না।
সেদিন হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ চলে গেল। অন্ধকার ঘিরে ধরতেই আশ্চর্য এক অনুভূতি হলো হাশেম চাচার—মনে হলো, দোকানের আসবাবপত্রগুলো নড়াচড়া করছে। তিনি এক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে থাকলেন, তারপর মোমবাতি জ্বালানোর জন্য তাকের দিকে হাত বাড়ালেন। ঠিক তখনই, পেছনের কাঠের আলমারির ভেতর থেকে যেন একটা চাপা গোঙানির শব্দ এল।
হাশেম চাচার গা শিউরে উঠল। দোকানে তিনি একা, কিন্তু এই শব্দ এল কোত্থেকে? ভয়ার্ত কণ্ঠে তিনি বললেন, "কে? কেউ আছো?"
কোনো উত্তর এল না। কিন্তু আলমারির দরজাটা আপনাআপনি একটু ফাঁক হয়ে গেল, আর তার ভেতর থেকে এক ঝলক শীতল বাতাস বেরিয়ে এলো। আলো ফেলতেই দেখা গেল, ভেতরে কিছুই নেই—শুধু পুরোনো কাপড়ের গন্ধ আর ধুলো জমা তাক।
হাশেম চাচা দ্রুত দরজাটা বন্ধ করে দিতে চাইলেন, কিন্তু দরজাটা যেন কারও অদৃশ্য হাত শক্ত করে ধরে রেখেছে! আতঙ্কিত হয়ে তিনি দরজাটা ছাড়তে গিয়েই দেখতে পেলেন, আলমারির আয়নাতে এক ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে আছে—একজন বৃদ্ধা নারী, যার গলাটা গভীর ক্ষতচিহ্নে ঢাকা!
হাশেম চাচা হাঁপাতে হাঁপাতে পেছনে সরে গেলেন। বৃদ্ধার ফ্যাকাসে ঠোঁট নড়ে উঠল, "তুমি আমাকে কেন আটকে রেখেছো?"
হাশেম চাচা দৌড়ে দোকানের বাইরে বেরিয়ে এলেন। বাইরে দাঁড়িয়ে দেখলেন, বিদ্যুৎ চলে এসেছে, লাইট জ্বলছে, কিন্তু দোকানের ভেতরে কোনো শব্দ নেই। তিনি কি আসলেই কিছু দেখেছিলেন, নাকি সবই তার মনের ভুল?
পরদিন সকালে এক বৃদ্ধ লোক এসে দোকানে ঢুকলেন। তিনি আলমারিটার দিকে তাকিয়ে বললেন, "এই আলমারিটা বিক্রি করবেন? বহু বছর আগে আমার দাদির ছিল। উনি এই আলমারির ভেতরেই মারা গিয়েছিলেন।"
হাশেম চাচার শিরদাঁড়া বেয়ে ঠান্ডা স্রোত নেমে গেল। তিনি আর এক মুহূর্ত দেরি না করে আলমারিটা দোকানের বাইরে ছুড়ে ফেলে দিলেন। কিন্তু তখনও তার কানে বাজছিল সেই গলাটির ফিসফিসানি—
"আমি এখানেই থাকব... চিরকাল
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now