বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
।।মেহেরাব।।
সকাল ৫ টা বাজে অ্যালামের শব্দে সারা শরীর যেন হঠাৎ লাফিয়ে উঠলো। প্রতিদিনের মতো ছিলো না দিনটি।ছুটির দিন শুক্রবার হওয়ায় পরিকল্পনা কিছুটা ভিন্ন ছিল। ভ্রমন প্রমিক হওয়ায় ছুটির দিনগুলোতে ঘুরতে যাওয়া মিস হতো না। চিন্তা ভাবনা করতে করতে ৬টা বেজে যায়।ভাবছেন কিসের এতো চিন্তা করছি.......? চিন্তাটা হলো আজ কি কি কাজ আমি করবো। বাসায় টকা থাকি বলে এসব চিন্তা বৌ এর বদলে আমাকে করতে হয়।তাই বলে এই না যে আমার বৌ আাছে। আবার এটাও ধরে নেওয়া ভুল হবে বিয়ে করার কোনো ইচ্ছে আমার নেই শুধু বয়সের খাতিরে পারি না। যাই হোক সকাল বেলা ফ্রেস হয়ে নিয়ে দিনের কাজকর্ম আমাকেই করতে হয়। দুপুর ১২ টা বেজে গেছে। করার কিছুই নেই অবসর সময় কাটাচ্ছি হয় ফোনে ভিতর মাথা গুঁজে আর নয়তো ডিম এ তা দেওয়া মুরগির মতো থমকে এক জায়গায় বসপ থেকে। শুক্রবার নতুন কিছু করার মতো আছে শুধু দুপুরের জামাত মসজিদ এ গিয়ে আদায় করা। গোসল সেরে নিলাম কিন্তু হঠাৎ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি জামাতের আর মাত্র ১০ মিনিট আাছে। কপাল গুনে মসজিদ কাছেই থাকায় তারাতাড়ি রেডি হয়ে দৌড় দিলাম। নামাজ শেষ কিন্তু বাসায় ফেরার পথে মনে হচ্ছিল সূর্যের সাথে আমার জন্ম- জন্মান্তরের শত্রুতা। মাথার উপর যেন আলতো করে গরম হাত দিয়ে আদর করচ্ছিল আর তাট ভালোবাসায় আমার মাথা ঘুরিতেছিল। অবস্য তা নতুন কিছু না এই দুপুর বেলা এমনটা হবে তা এদেশে স্বাভাবিক। বাসায় এসে লান্ঞ টা করপ নিয়ে বিছানায় মাথা ঠেকাতেই ঘুম। হয়তো না ঘুমানোর কুফল। ঘুম থেকে উঠে দেখি প্রায় ৪ টা বাজে। ঘুরতে যাব কিন্তু কোথায় যাওয়া যায় তা বলা মুসকিলই নয় বলতে গেলে অসম্ভব। বরিশাল শহরে ঘোরার জায়গা নেই বলেলই চলে আর যে কয়টা আাছে তার সব-কয়টা আামার ১০০০ বার দর্শন দেওয়া হয়ে গেছে। কি করবো ভেবে না পেয়ে একের পর এক সকল বন্ধুগুলোকে জ্বিগেস করতে লাগলাম তাদের অফুরন্ত সময় থেকে আামাকে কিছুটা ধার দেওয়া যাবে কিনা। বলতে দিধা নেই একটা হালারপুঁতের ও টাইম নেই আামার জন্য। কেউ ঘুমাবে, কেউ খেলবে, কেউ তো শুনি এক্স এর সাথে বের হবে।বুঝিনা কেমনে কি? মনে হচ্ছিল বিচ্ছিন্নতার দ্বীপে আামি একলা। কনো সমস্যা নাই, একটা গান আাছে না "যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আাসে তবে একলা ঘুরো রে ওহহ দুঃখিত একলা চলো রে। আামিও তাই করলাম রেডি হয়ে ওই গান ধরে আপন মনে হাঁটতে লাগলাম। ঠিক করি নদীর পাড়ে যাব যদিও ওখানের প্রতিটি স্থান আামার সু-পরিচিত তার পরেও মানুষের ভীর তুলনামূলক কম হয় বলে ঐটাই আামার আজকের গন্তব্যস্থল।রাস্তা দিয়ে হটাচ্ছি আার কৌতূহল মনে মানুষের ব্যস্ততা নিয়ে চিন্তা করছি। কতো মানুষ ব্যস্ত কেউ কাউকে চিনে না আাবার চিনেও না চিনার ভাব করতেছে। বিচিত্রময়! হঠাৎ মাথায় এলো এই মানুষের মধ্যে কেউ হয়তো আমার ভবিষ্যতে পরিচিত হবে আাবার বা হতে পারে অনেক কাছের কেউ। এসব ভাবতে ভাবতে নদীর পারে চলে এসেছি। কিছুটা জনশূন্য স্থান খুঁজে নিয়ে বসে গেলাম। বেচেলর লাইফ অফুরন্ত টাকা না থাকায় কিছু বাদাম দিয়ে বিকেল এর সময়টা হাসিমুখে পার করে দিতে অসুবিধা হয় না। বসপ আাছি আার কল্পনায় অনেকিছু। ভাবতে ভাবতে মনে হচ্ছিল জীবনটা একটা গানের ক্যাসেডের মতো যা প্রতিদিন একই ধারাবাহিকতায় বেজে চলেছে। ভেবেই কেমন জানি ক্লান্তি ভাব চলে এসেছে। ক্লান্ত চোখে তাকিয়ে আাছি নদীর দিকে।হালকা ঠান্ডা বাতাস যেন ক্লান্ত সময়টা কেও যেন উপভোগ করাচ্ছে। হঠাৎ কারো গলার শব্দে মন ও চোখ দুটোই অন্যদিকে চলে গেল। চোখ পরতে না পরতেই কিছুটা অস্বাভাবিক মনে হলো।মনে হচ্ছিল সৌন্দর্যে মোড়ানো কোনো একটা বস্তু। নীল শাড়ি পরা একটা মেয়ে। চোখ দুটি আপনার নজর কাঁড়তে বাধ্য।মুখে একটা মলিন সৌন্দর্যতার ভাব রয়েছে। কিছুক্ষণের জন্য পরী লাগলেও পরে আর লাগে নি। যেই বন্ধুর সাথে সে এসেছিল কোনো কারনে হয়তো তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। যার ফলে তার রাগ এখন তুঙ্গে। আার তার কথাই হয়ত আামার মনোযোগ নিজের জীবন কাহিনির উপর থেকে তার দিকে আকৃষ্ট করেছে। আামি তো আানমনে তার সৌন্দর্যের দিকে একাধারে তাকিয়ে আাছি। তার মিষ্টি গলার ওই রাগান্বিত কথাও আামার কানেই আসছে না। হঠাৎ তার চোখের দিকে আামার চোখ পরায় আমি অভিনয়ে অন্যদিকে চোখ ফেরাই। খানিকটা ভয়ে ছিলাম খেয়াল করেছে কিনা। যদি করে তাহলে আজকে আামার কপালে দুঃখ আাছে। কিছুক্ষণ পর খেয়াল করলাম সেই মেয়েটি তার ঐ বন্ধুর সাথে ঠাট্টা করে কথা বলছে আামি হতবাক না হয়ে পারলাম না। আসলেই মেয়েদের মন যে আল্লাহ ছাড়া আার কেউ বুঝবেন না তাও আাজ নিশ্চিত হয়ে গেলাম। আামি আবার একাধারে তার দিকে তাকিয়ে আাছি। আরও তার নতুন নতুন সৌন্দর্য আবিষ্কার করছি।বলা যায় এরকম সুন্দর মানুষ সচারাচর দেখা যায় না। তার চুলের খোপায় একটি গোলাপ ফুল দেখতে পাওয়ার মনে হচ্ছিল গোলাপ তার অনেক পছন্দের। অনেক্ক্ষণ তার দিকে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আাছি। মন বলছে এত তাকিয়ে না থেকে কথা বলার চেষ্টা কর আবার এদিকে ব্রেইন বলচ্ছে একটু আগের রাগ দেখোছ নাই। জুতার দিকে একবার তাঁকা। জুতার দিকে তাকাতেই মন যেন চুপ হয়ে গেল।কিন্তু যাই বলি না কেন মিষ্টি মুখে ওই রাগটাও যেন কেমন মিষ্টি লাগে।অনেক্ক্ষণ চিন্তা করে হাসফাঁস করে মনের কথায় সিদ্ধান্ত নিয়েই নিলাম যে কথা আমি বলবো।আার যদি দেখি হাত জুতার কাছে যাচ্ছে তাহলেই প্রানপনে দৌড়! কথা বলতে যাব তখনি দেখি হঠাৎ মেয়েটি উঠে দাড়িয়েছে। আমি ভয়ে কিছুটা পিছনে সরে দাড়াই।দেখলাম বন্ধুকে কিছু একটা বলে সে কোথায় জানি চলে গেল। আমি অপেক্ষায় থাকলাম সে আসবে, কিছু একটা বলবো কিন্তু কিছুক্ষণ পর দেখলাম তার বন্ধুও উঠে কোথাও চলে যাচ্ছে। ভাবলাম হয়তো একসাথে আবার আসবে হয়তো তাকে খুজতে গেছে।কিন্তু অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও তাদের দেখা না পাওয়ার হতাশ মনে আশা ছেড়ে দিলাম। এদিকে বিকেলের সময়ও শেষ আর আমার বাদাম ও শেষ। সূর্য যেন মনে হচ্ছিল আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছে। আমিও বাসার দিকে হাঁটা দিলাম। সন্ধার আকাশ কেন জানি কৌতুহলী লাগছিলো আজকে। মেয়েটি যেন তার ভাবনায় আমাকে ভাবিয়ে তুলছিল। বাসায় ফিরেও যেন সে আমার ভাবনায় আনাগোনা দিচ্ছে। কিছুক্ষণ পর দৈনন্দিন ব্যস্ততা তাকে ভুলিয়ে দেয়। আবার সেই পুরাতন রেডিও বক্সের নষ্ট বোতাম এ চাপ দিয়ে আবার সেই ক্যাসেড চালু করে দেই। কিন্তু সময় অতিবাহিত হতে থাকলেও হঠাৎ সেই দিনটির কথা মনে পরে। মনে পরে সেই চেহারার কথা এবং দুঃখের ভাবনার মধ্যেও যেন সেই হাসি মুখ যেন আমাকে নতুনভাবে হাসতে শিখায়। ইতি।।।।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now