বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

হয়তো আপসোসটা রয়েই যাবে

"সত্য ঘটনা" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান নাফিজ আহমেদ (০ পয়েন্ট)

X হয়তো আপসোসটা রয়েই যাবে লেখকঃ নাফিজ আহমেদ,, বাবা মায়ের কলিজার টুকরা আজমী। ছোট বেলা থেকেই তাদের চোখের মনি ছিল আজমী। আজমী ছিল খুবই প্রখর মেধার অধিকারী। নিজেকে সবসময় একা রাখতেই পছন্দ করত আজমী। ধর্মের দিক থেকে সে খুবই ওয়াকিবহাল ছিল। মাঝে মধ্যেই নিশুতিরাতে একাকী বসে আপন মনেই নিছক ভাবনার দেশে বিভোর হয়ে যেত। তাঁর চিন্তা-চেতনা ছিল অফুরন্ত। নিজেকে সর্বাবস্থায় ইসলামের জন্য বিলিয়ে দিত। অবসর সময়ে বাড়ির পাশে থাকা বিশাল গাছের নিচে উপবিষ্ট হয়ে উপভোগ করত পড়ন্ত বিকাল। অবলোকন করত ডুবন্ত সূর্যটাকে। এইসমস্ত দেখেই নিজের ভিতর যোগান দিত চিন্তার খোরাক। ভাবতে ভাবতে কত প্রহর যে অতিবাহিত করেছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। পরিবারের প্রতি বেশ খেয়ালী ছিল আজমী। এইভাবেই পাড় হয়ে যেত তাঁর প্রতিটা সময়। হঠাৎ কোন এক অলস দুপুরের বাড়ি ফিরেনি আজমী। পরিবারের সকলেই চিন্তা করতে শুরু করল তাঁকে নিয়ে। এর আগে কখনো এমনটা হয়নি সে তাঁর সমস্ত ব্যস্ততাকে উপেক্ষা করে প্রতিদিন যথা সময়ে উপস্থিত হয় বাড়িতে। কিন্তু আজ তাঁর বিপরীতে হলো। সবাই মনে করল হয়তো অন্য কোন কাজে আটকে গেছে পরে আসবেনে। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে রাত হয়ে গেল তবুও বাসায় ফিরল না। এবার সকলেই উত্তেজিত হয়ে গেল। খোঁজা খুঁজি শুরু করল আজমীকে তবুও কোথাও পেল না। পুলিশের কাছে গেল পুলিশও তাঁকে খুৃঁজতে শুরু করল তাও পেল না। পরিবারের সকলে খুব পেরেশানির ভিতর পরে গেল। একএক করে প্রতিটা দিনে অতিবাহিত হয়ে গেল। তখনো আজমী কে পাওয়া গেল। সে যেন হঠাৎই গুম হয়ে গেল। হ্যাঁ সত্যিই আজমী গুম হয়ে গিয়েছে। দিন গড়িয়ে মাস আবার মাস গড়িয়ে বছরে রুপায়িত হচ্ছে কিন্তু কোথাও আজমী কে পাওয়া যাচ্ছে না। এক পর্যায়ে পরিবারের লোকজন তাঁকে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছে। তাঁর গুম হওয়ার প্রায় পাঁচ বছর পর তাঁর বাবা এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। প্রায় দশ বছর পর আজমী ফিরে আসে। তাঁর পরিবারে লোকজন তাঁকে দেখে খুবই অবাক হয়ে যায়। সে তাঁর পরিবারকে বলতে থাকে দশ বছর আগে তাঁকে গাড়ি থেকে তুলে নিয়ে চোখ বেধে এক গোপন ঘরে নিয়ে যায়। সে বুঝতেও পারিনি যা তাকে ঐ জায়গায় রাখা হবে। খুব ভয়ংকর ছিল ঐঘরটা। অনেক কথা বলার পরে সে দেখতে থাকে সকলেই কমবেশ আছে কিন্তু বাবা এবং স্ত্রীকে তো দেখছি না। তাঁর পরিবার তাঁকে অবহিত করে তুই চলে যাওয়ার পাঁচ বছর পর তোর বাবা শহিদ হয়েছে। আর তোর বউ তুই আসার এক বছর আগে অন্য জায়গায় বিবাহ করে। হ্যাঁ তোর বউ তোর জন্য নয়টা বছর অপেক্ষা করেছিল কিন্তু তুই আসিসনি এই জন্য তোর বউ গতবছর বিবাহ করল। আজমী অনেক কষ্টে ব্যাতিত হলো। এখন তাঁকে হয়তো একাই থাকতে হবে। তাঁর জীবনের এই আপসোস টা হয়তো রয়েই যাবে। দোয়া করি আজমীর সম্মুখের দিনগুলো ভালোই কাটুক। একজন ব্যাক্তির সত্য জীবনী। (গল্পের ভিতর কিছু কাল্পনিকও আছে তবে মূল ঘটনাটা সত্য)


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৫৯ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now