বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

এই শহরে ভালোবাসা নেই

"স্মৃতির পাতা" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান নাফিজ আহমেদ (০ পয়েন্ট)

X এই শহরে ভালোবাসা নেই লেখকঃ নাফিজ আহমেদ,, তখন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তাম। খুব বেশি স্মরণ করি কাটিয়ে আশা সেই সব দিনগুলো। লেখাপড়ায় ভালোই ছিলাম আমি। আমাকে নিয়ে মা একটা ছোট স্বপ্নের জতৎ এঁকেছিল। আমি পড়তাম গ্রামের ছোট্ট স্কুলটাতে। হঠাৎ একদিন স্কুলে আগমন ঘটায় আমার স্বপ্নের রাজকন্যা। তাকে দেখে আমি মুগ্ধ। আমি তাকে আমার অন্তরের অন্তর স্থলে লুকিয়ে রাখা কথাগুলো প্রকাশ করলাম। সে আমার উক্তি গুলো শ্রবণ করা মাত্রই অবাক হয়ে এক অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল আমার দিকে। সে নিজেকে একটু লজ্জার চাদরে মুড়িয়ে স্থান ত্যাগ করল। আমি তখনো নিজের ব্যাক্ত করা প্রশ্নের জবাব পায়নি। তবে আমি আশাবাদী ছিলাম যে সে আমাকে নৈরাশ করবে না। কোন এক পড়ন্ত বিকালে স্কুলের পশ্চাৎ দিকের ধানের ক্ষেতে আমি একাকী অবস্থায় বসে আছি, হঠাৎ সে বসন্তের ন্যায় বিচরণ করল আমার এই ছোট্ট শহরে। আমি তাকে সাদরে গ্রহণ করে নিলাম আমার পৃথিবীতে। তার সাথে বিভিন্ন গল্পে মশগুল হয়ে অতিবাহিত করলাম সুন্দর বিকালটা। বসন্ত যেমন তার আগমন ঘটিয়ে গোটা ধরণীকে তার নিজ রঙে রাঙিয়ে দেয়। চারিদিকের পরিবেশকে শীতল ও মনোমুগ্ধকর করে তোলে। ঠিক তদ্রূপ সেই যেন আমার শহরে এসে রাঙিয়ে দিল গোটা শহর। আমার জীবনটাকেও সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর করে তুলল। তার সাথে কাটতে থাকে আমার জীবনের সেরা সময়গুলো। সেই সময়গুলোর কথা যদি আজকের গল্পে উপস্থাপন করতে পারতাম, তবে না হলেও আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সৃতিচারিত লেখা হয়ে থাকত। আমি তাকে নিয়ে নিজের স্বপ্ন জগতে এক অন্য রকম ধরা ভেবে রেখেছি। যেখানে শুধু আমি এবং সে। কিন্তু বসন্ত যেমন এই ভূবনে সবসময় স্থির থাকে না। পরিবেশকে কাঁদিয়ে চলে যায় কোন এক অজানা অচেনা দেশে। তেমনই সেই একদিন শিষে ভেজা ভোরে আমি অবগত হলাম যে তার পরিবার তাকে অন্যত্রে বিবাহ দিয়েছে। সেই আমাকে বসন্তের ন্যায় কাঁদিয়ে চলে গেল এক নতুন শহরে। আমি রইলাম আমার এই ছোট্ট শহরটা নিয়ে। মনে মনে কল্পণা করে রেখেছি আর কাউকে এই শহরের বাসিন্দা হিসাবে গ্রহণ করব না। প্রায় এক বছর তাকে দেখিনি। এখনও মাঝে মাঝে পরানো অতীত গুলো তীব্র বেদনার সাগরে ভাসিয়ে দেয়। যাকে নিয়ে অতিবাহিত করেছি প্রতিটা বিকাল। এক সাথে কাটিয়ে দিয়েছি মূহুর্তের পর মূহুর্ত। আজও সমাজের প্রতিটা রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে আছে সেই সমস্ত সৃতিগুলো। তাকে আজ ইচ্ছা করলেও অবলোকন করতে পারিনা। কিছুদিন আগে জানতে পারলাম সে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কেন তা জানিনা। খবরটা শোনা মাত্রই নিজের ভিতর কেমন যেন খারাপ লাগা কাজ করল। মনে মনে ভেবে যেমন করেই হোক তার সাথে দেখা করতেই হবে। আমি আর অতকিছু না ভেবে চলে গেলাম হাসপাতালে। আমি তাকে ঐ অবস্থায় দেখার জন্য কোনদিনই প্রস্তুথ ছিলাম না। সে মেঝেতে শায়িত অবস্থায় রয়েছে। তার চারিদিকে তার পরিবারের লোকজন। আমি কৌশল করে তাদেরকে অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দিলাম। এবং তার সাথে কিছুক্ষণ নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখা কথাগুলো ব্যাক্ত করলাম। সে এখন বিবাহিত। এজন্য নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রেখেই কথাগুলো বলে গেলাম। অবশেষে বাড়িতে আসার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করলাম। এমনত অবস্থায় আমি অবলোকন করলাম যে সে এক নাগারে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি তার মায়া খানা মুখটা ছেড়ে কখনো আসতাম না যদি সেখানে দাঁড়ানোর আমার কোন অধিকরা থাকত। সে যেন আপন ভাষায় আমাকে জানিয়ে দিচ্ছে আর কিছুটা সময় আমার সাথে থেকে যা না। অনেকদিন তোকে দেখিনি। আজ কেন তুই আসলি। আর আসবিই তাহলে এখনই কেন চলে যাচ্ছিস। আমিও তার দিকে তাকাতে তাকাতে প্রতিটা কদম এগিয়ে চলছি। আর নিজের ভাষায় জগতের মানুষদেরকে জানিয়ে দিচ্ছি সত্যিই এই শহরে ভালোবাসা নেই।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৬৫ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now