বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
হাঁটতে হাঁটতে ওরা গ্রামের রাস্তায় এসে পড়ে। কী চমৎকার উঁচু সড়ক। দু’পাশে জিওল গাছ। সড়কের দুধারে ধানখেত, কী সুন্দর সোনালি রং। বাতাসে নড়ছে তিরতির করে। বাতাসে কী সুন্দর একটা গন্ধ। অনেক দূরে রেললাইনের উপর দিয়ে ঝিকঝিক ঝিকঝিক করে একটা মালগাড়ি যাচ্ছে আস্তে আস্তে। দীপু আগে কখনও এ রাস্তায় আসেনি। ওর এত ভাল লাগছিল যে বলার নয়। তারিককে জিজ্ঞেস করল, তারিক, তোর কালাচিতা কতদূর?
কেন? কাহিল হয়ে গেছিস?
মোটেই না। খুব ভাল লাগছে হাঁটতে, দুপায়ে নরম ধুলা ওড়াতে ওড়াতে বলল, মনে হচ্ছে যত দূর তত ভাল।
ভাল লাগলেই ভাল। এখনও অনেক দূর। আর শোন, লোকজন কই যাচ্ছি কিছু জিজ্ঞেস করলে তুই চুপ করে থাকবি।
কেন?
কালাচিতায় শুধু সাপের আড্ডা তো, লোকজন আমাদের মতো চ্যাংড়া পোলাদের যেতে দিতে চায় না। আমি গুল মারব।
কীরকম জায়গা এটা দেখার খুব আগ্রহ হচ্ছিল দীপুর। তারিক বলল, দীপুকে ও প্রথম নিয়ে যাচ্ছে এই জায়গায়। খুব সাপের উপদ্রব বলে কেউ যায় না। যেখানে সাপ থাকে সেখানে সাপের মণি থাকতে পারে ভেবে তারিক প্রথম গিয়েছিল। একটা সাপের মণি হচ্ছে সাত রাজার ধন। একা কোনোভাবে পেয়ে গেলে একেবারে বড়লোক হয়ে যেত। খুঁজে খুঁজে ও সাপের মণি পায়নি ঠিকই, কিন্তু অনেক মজার মজার জিনিস পেয়েছে। এই কালাচিতার মূর্তিটি ওখানে পেয়েছিল বলে নাম দিয়েছে কালাচিতা।
জায়গাটা টিলার মতো উঁচু, চারদিকে জঙ্গলে ভরা, আশেপাশে তিন চার মাইলের ভেতর কোনো বসতি নেই। এমন নির্জন যে ভয় লেগে যায়। মনে হয়। গাছে একটা পাখি পর্যন্ত নেই। তারিকের হাঁটার ধরন দেখে বোঝা যায় জায়গাটা ও হাতের তালুর মতো চেনে। ওরা একটু ফাঁকামত জায়গায় এসে হাজির হল। তারিক গম্ভীর হয়ে বলল, এই সে জায়গা।
দীপু অবাক হয়ে চারদিকে তাকাল, বলল, কোথায়?
হুঁ বাবা, সময় হলেই দেখবি। পকেট থেকে মোমবাতি বের করে দুপুর রোদের মাঝেই সে জ্বালিয়ে নিল। গম্ভীর হয়ে দীপুকে বলল, আমি আগে যাই—আমি নেমে গেলে তুই নামিস।
দীপুকে অবাক করে দিয়ে সে সামনের ঝোঁপটা সরিয়ে সাবধানে নেমে যেতে লাগল। দীপু অবাক হয়ে দেখল ছোট একটা গর্তের মতন নিচে নেমে গেছে—নিচে ঘুটঘুঁটে অন্ধকার। ঝোঁপ দিয়ে ঢাকা বলে বোঝার উপায় নেই।
নিচে নেমে গিয়ে তারিক দীপুকে ডাক দিল। দীপু জিজ্ঞেস করল, কীভাবে নামব?
সাবধানে ইট ধরে ধরে–পা দিয়ে খুঁজে দেখিস ছোট ছোট গর্ত আছে!
দীপুর দেয়াল বেয়ে উঠতে নামতে কখনও কোনো অসুবিধে হয় না, কিন্তু অন্ধকারে এভাবে নামতে একেবারে হিমশিম খেয়ে গেল। তারিক অবশ্যি ওকে বলে দিচ্ছিল কোথায় পা রাখতে হবে।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now