বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

স্কুলের নাম পথচারী (১৪)

"ছোটদের গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান TARiN (০ পয়েন্ট)

X মির্জা মাস্টার চি চি করে বললেন, “ছাত্রছাত্রীরা, আমি এখন তোমাদের খেলাধুলা করাব।” সব ছাত্রছাত্রী নিঃশ্বাস বন্ধ করে অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। বড় বড় চোখের ফুটফুটে একটা মেয়ে বলল, “আপনি?” |”হ্যাঁ। প্রথমে শরীরটা একটু গরম করে নেয়া দরকার। শরীর গরম না করে খেলাধুলা শুরু করা ঠিক নয়।” সব ছেলেমেয়ে মাথা নাড়াল, “না, ঠিক না।” “কাজেই শরীর গরম করার জন্যে আমরা সবাই এখন স্কুলের মাঠের এক মাথা থেকে অন্য মাথায় ছুটে যাব।” “আ-আ-আপনিও?” “আমিও।” দিকে তাকিয়ে রইল।লন। তাঁর পিছুপিছু মাটিতে লম্বা হয়ে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের মাঝে হঠাৎ আশ্চর্য এক ধরনের নীরবতা নেমে এল। মির্জা মাস্টার যতদূর সম্ভব গলা উঁচিয়ে বললেন, রেডি ওয়ান টু থ্রি–” ছাত্ররা তবু কেউ দৌড়ানো শুরু করল না, বিস্ফারিত চোখে মির্জা মাস্টারের দিকে তাকিয়ে রইল। মির্জা মাস্টার তখন নিজেই থপথপ করে তাঁর বিশাল দেহ নিয়ে দৌড়াতে শুরু করলেন। তাঁর পিছুপিছু ক্লাসের সব ছেলেমেয়েরা। খানিকক্ষণ পর দেখা গেল মির্জা মাস্টার মাটিতে লম্বা হয়ে শুয়ে আছেন এবং তাঁর ছাত্রছাত্রীরা তার হাত-পা ধরে তাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। ফারুখ বখত বারবার নিজের ঘড়ি দেখছিলেন। এতক্ষণে ফরাসত আলির পৌঁছে যাওয়া উচিত ছিল, কিন্তু তার কোনো দেখা নেই। কিছুক্ষণের মাঝেই মির্জা মাস্টারের একটা বাংলা ক্লাস নেবার কথা, কিন্তু তাঁকে পাঠিয়েছেন খেলাধুলার ক্লাস নেয়ার জন্যে, কাউকে এখনই দরকার। হঠাৎ তার রাণুদিদির কথা মনে পড়ল, বাংলা পড়াতে রাণুদিদির কোনো সমস্যা হবার কথা নয়। রাণুদিদির বিজ্ঞান ক্লাস উপরের তলায়। মই বেয়ে উপরে উঠে গেলেন ফারুখ বখত। কোমরে আঁচল পেঁচিয়ে একটা ছোট যন্ত্র দাঁড় করাচ্ছিলেন রাণুদিদি। ফারুখ বখতকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, “কী ব্যাপার ফারুখ সাহেব?” “মহাসমস্যা রাণুদিদি।” “কী সমস্যা?” “এক্ষুনি ক্লাস টু সেকশান এর বাংলা ক্লাস শুরু হবে।” “সেটা সমস্যা?” “না। সেটা সমস্যা নয়। কিন্তু কোনো শিক্ষক নেই, সেটা হচ্ছে সমস্যা। আপনাকে ক্লাসটা নিতে হবে।” “আমাকে?” “হ্যাঁ।” “কিন্তু একটু পরে আমার বিজ্ঞান ক্লাস। আমি এই ভ্যান ডি গ্রাফ জেনারেটরটা দাঁড় করাচ্ছি, স্থির বিদ্যুতের উপর একটা লেকচার দেব।” “সেটা যখন সময় হবে কিছু-একটা ব্যবস্থা হবে। এখন আপনি তাড়াতাড়ি আসুন।” রাণুদিদি ইতস্তত করে বললেন, “আমি পুরোটা প্রায় দাঁড় করিয়ে ফেলেছি, এই সুইচটা টিপে একটু দেখতাম–” “সময় নেই রাণুদিদি, ফারুখ বখত মাথা নাড়লেন। ”ঠিক আছে, তা হলে চলেন যাই। একটু পরে দেখা গেল রাণুদিদি ক্লাসের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি চোখে চশমাটা ঠিক করে বসিয়ে বললেন, “খোকাখুকুরা আজকে আমি তোমাদের বাংলা পড়াব।” “বাংলা?” “হ্যাঁ, বাংলা। বাংলা সাহিত্য। বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে বড় দিকপালের নাম কী বলল দেখি?” বাচ্চারা সমস্বরে চিৎকার করে ওঠে, “কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।” “ভেরি গুড। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের সাথে বিশেষ বন্ধুত্ব ছিল আরও একজন মানুষের, তাঁর নাম আলবার্ট আইনস্টাইন। তোমরা আলবার্ট আইনস্টাইনের নাম শুনেছ?” ছেলেমেয়েরা অনিশ্চিত ভঙ্গিতে মাথা নাড়ল। রাণুদিদি উৎসাহ নিয়ে বললেন, “আইনস্টাইন ছিলেন মস্ত বড় বিজ্ঞানী। তাঁর একটা খুব বড় আবিষ্কারের নাম স্পেশাল থিওরি অফ রিলেটিভিটি। সেই জিনিসটা কী কে বলতে পারবে?” বাচ্চারা কোনো কথা না বলে চোখ বড় বড় করে রাণুদিদির দিকে তাকিয়ে রইল। রাণুদিদি হাসিমুখে বললেন, “স্পেশাল থিওরি অফ রিলেটিভিটি খুব মজার জিনিস। মনে করো তোমরা একটা রকেটে উঠেছ, রকেটের গতিবেগ আলোর গতিবেগের কাছাকাছি। সেই রকেটটা–” রাণুদিদি বাংলা ক্লাস পড়াতে লাগলেন খুব উৎসাহ নিয়ে।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৫৬ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now