বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

গুড্ডুবুড়া পিঁপড়া পোষে [ পর্ব ৩]

"মজার গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান তুষার কবির (০ পয়েন্ট)

X শুধু উমাইয়া মেয়েটা খুব ভালো। সে বলল, গুড্ডু, তোমার পেট আমার পছন্দ হয়েছে। তুমি ওদের সঙ্গে কী কী করো? আমি? আমি ওদের গান শোনাই। ওদের সঙ্গে গল্প করি। কী গল্প করো? আমি করি না। ওরাই করে। ওই যে দেখছ, ওই ছোটটা, ওর নাম আমি দিয়েছি পিচ্চি। পিচ্চি কাল বলল, গুড্ডু সাহেব, মনটা ভালো না। আমি বললাম, মনটা ভালো না কেন? পিচ্চি বলল, মনটা ভালো না। কারণ, দিনকাল খারাপ। আমি বললাম, কী হয়েছে পিচ্চি? সে বলল, দেশে চিনির প্রডাকশন কমে যাচ্ছে। চিনির বদলে সবাই জিরো ক্যাল খাচ্ছে। এই রকম চলতে থাকলে পিঁপড়া জাতির ভবিষ্যৎ খারাপ। আমি বললাম, পিঁপড়া জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে তুমি কেন ভাবছ? তোমাকে তো যথেষ্ট পরিমাণ চিনি দেওয়া হয়েছে। পিচ্চি বলল, আমি হলাম ফিলোসফার। আমাকে সবার কথা ভাবতে হয়। শুধু নিজের ভাবনা ভাবলে কি আমার চলে? উমাইয়া খুশিতে হাততালি দিয়ে উঠল। তাই নাকি? এই পিচ্চি এসব কথা বলল? হ্যাঁ। আর ওইটা যে দেখছ, একটা পা ভাঙা। ওর নাম পাঁচপা। পাঁচপা আমাকে গান শোনায়। তার গানটা কি শুনবে? উমাইয়া বলল, অবশ্যই শুনব। গুড্ডুবুড়া গাইতে লাগল, ‘পিঁপড়া পিঁপড়ার জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি পিঁপড়া পেতে পারে না? ও বন্ধু...’ উমাইয়া খুব খুশি। বলল, এটা কি পিঁপড়াদের জাতীয় সংগীত? গুড্ডুবুড়া বলল, জাতীয় সংগীত না। এটা হলো থিম সং। উমাইয়া বলল, পিঁপড়াদের রণসংগীত আছে? মানে যুদ্ধের গান? গুড্ডুবুড়া বলল, না। ঠিক যুদ্ধের গান নেই। তবে আছে একটা, ‘উই শ্যাল ওভারকাম সামডে’। এর মধ্যে জামিল এসে বলল, গুড্ডু, আমার দুইটা পেট আছে। তেলাপোকা। ককরোচ। তুই নিবি? তোকে কাল এনে দেব? গুড্ডুবুড়া বলল, না। নেব না। মাইশা বলল, আমার একটা টিকটিকি আছে। আমাকে রোজ গান শোনায়। টিক টিক টিক, ফিক ফিক ফিক...  দিনকাল ভালোই যাচ্ছিল। কিন্তু গুড্ডুর পিঠের চাপে তার ব্যাগে চিনির বয়াম কখন ভেঙে গেছে, গুড্ডু খেয়াল করেনি। চিনি পড়ে পুরো ব্যাগের মধ্যে ছড়িয়ে গেল। সারা রাত পিঁপড়া এসে পুরো ব্যাগ ভরে ফেলল। সকালবেলা ব্যাগ থেকে বই বের করতে যেই না গুড্ডু হাত ঢুকিয়েছে, অমনি শত শত পিঁপড়া তার হাতে উঠে এল। এই পিঁপড়াগুলো তার পোষা পিঁপড়া না। তারা তাকে ছেড়ে কথা বলল না। তাকে কামড় দিতে লাগল। গুড্ডু কেঁদে উঠল। চিৎকার করতে লাগল, ওরে বাবা রে, ওরে মা রে, মারা গেলাম রে... মা এলেন। কী হয়েছে? এত পিঁপড়া কোত্থেকে এল? ঘটনা তদন্ত করে দেখা গেল, সর্বনাশ। স্কুলের ব্যাগে বয়াম ভাঙা কাচ। চিনি। আর পিঁপড়া। আর বয়ামের খাপ। মা বললেন, চিনির বয়াম কীভাবে গেল ব্যাগে? এদিকে বহিরাগত পিঁপড়ার আক্রমণে গুড্ডুর অবস্থা কাহিল। গুড্ডুকে ডাক্তারের কাছে নিতে হলো। ডাক্তার বললেন, আপনার ছেলের সমস্যা তো মনে হচ্ছে পিঁপড়ার কামড় নয়। আপনার ছেলের সমস্যা হলো ওর ব্রেইন ঠিকভাবে কাজ করছে না। তবে তারও কারণ আছে। কারণ, ও ঠিকভাবে খাওয়াদাওয়া করে না। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হাসিবুল হক বলেছেন, যেভাবেই হোক, তাদের উদ্ধার করা হবে। এদিকে অনলাইন নিউজ পোর্টালে খবর বেরোল, মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছে তিনটা গোয়েন্দা সংস্থা। মা বললেন, আপনি ঠিক বলেছেন। একদম ঠিকভাবে খাওয়াদাওয়া করে না। ডাক্তার বললেন, গুড্ডু তুমি ঠিকভাবে খাবে। ভাত খাবে, রুটি খাবে, মাছ খাবে, ডিম খাবে, দুধ খাবে, শাকসবজি খাবে, ফল খাবে। প্রচুর পানি খাবে। আর প্রচুর খেলাধুলা করবে। গুড্ডু বলল, আচ্ছা আংকেল। আমি আপনার সব কথা শুনব। তারপর আপনাকে একটা কথা বলব। সেটা কিন্তু আপনাকে শুনতে হবে। ডাক্তার বললেন, অবশ্যই। তুমি আমার কথা শুনবে। আমিও তোমার কথা শুনব। গুড্ডুবুড়া এখন ঠিকভাবে খাওয়াদাওয়া করে। না, সে ফাস্টফুডের ভক্ত নয়। সে সফট ড্রিংকসের ভক্ত নয়। সে খায় বাসায় রান্না করা খাবার। ভাত, রুটি, মাছ, মাংস, ডাল, সবজি, ডিম, দুধ। সে খায় ফলমূল, বাদাম, দই। আর প্রচুর খেলাধুলা সে করে। আস্তে আস্তে তার স্বাস্থ্য ভালো হতে লাগল। তার বুদ্ধিও গেল খুলে। এখন সবাই গুড্ডুবুড়াকে নিয়ে কত খুশি। সবাই শুধু গুড্ডুবুড়ার প্রশংসা করে। একদিন বৃহস্পতিবার। গুড্ডুবুড়া আর তিনজন বন্ধু, আর পরিবেশ পরিচিতির শিক্ষিকা চশমা মিস ছুটির শেষে ক্লাসরুমে বসে দেয়াল পত্রিকার কাজ করছে। খুব মন দিয়ে তারা ছবি আঁকছে। রঙিন কাগজ কাটছে। কিন্তু ক্লাসে খুব মশা। মিস বললেন, দাঁড়াও। মশার কয়েল জ্বালাই। তিনি একটা দেশলাইয়ের বাক্স আর মশা তাড়ানোর কয়েল এনে জ্বালিয়ে দিলেন। মশার অত্যাচার একটু কমল। মিস বললেন, দাঁড়াও। আমি একটা সম্পাদকীয় লিখি। তোমরা একেকজন একেক টুকরা কাগজে কাজ সারো। গুড্ডু, তুমি এই ছড়াটা কপি করে ফেলো। জামিল, তুমি এখানে একটা বিড়ালের ছবি আঁকো। রাশেদ, তুমি এই ড্রয়িংটায় রং করো। [চলবে ]


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৩২১ জন


এ জাতীয় গল্প

→ গুড্ডুবুড়া পিঁপড়া পোষে [পর্ব ৪]
→ গুড্ডুবুড়া পিঁপড়া পোষে [পর্ব ২]
→ গুড্ডুবুড়া পিঁপড়া পোষে [পর্ব ১]

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now