বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
লেখকঃ ইমাম আয-যাহাবী
২:- মানুষ হত্যা করা
আল্লাহ বলেন যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন ঈমানদার কে হত্যা করবে তার পরিণাম জাহান্নাম তাতেই সে চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তার ওপর ক্ষুব্ধ হন তাকে অভিশাপ করেন এবং তার জন্য ভয়ঙ্কর আজব তৈরি করে রেখেছেন। (সূরা নিসা ৯৩)
আর যারা বৈধ কারণ ছাড়া আল্লাহ কর্তৃক নিষিদ্ধ প্রাণীকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না তারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা।
আর যারা এসব অপকর্ম করে তারা মহাপাপী। তার জন্য আল্লাহর আযাব দ্বিগুণ করা হবে এবং সে অপমানিত হয়ে সেখানে চিরদিন অবস্থান করবে। অবশ্য যে ব্যক্তি তওবা করে ঈমান অনে ও নেক কাজ করে তার কথা ভিন্ন।
সূরা মায়েদা একটি হত্যাকাণ্ডকে গোটা মানবজাতির হত্যার শামিল বলা হয়েছে। আল্লাহ বলেনঃ এ কারণে আমি বনী-ইসরাঈলকে জানিয়ে দিয়েছি যে যে ব্যক্তি কোন হত্যার বিনিময় ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সমগ্র মানবজাতিকে হত্যা করল। আর যে একটা প্রাণী রক্ষা করল সে যেন গোটা মানবজাতিকে রক্ষা করল।
হাদিসে হত্যা ও হত্যার ইচ্ছাকে সমান অপরাধ গণ্য করা হয়েছে। রাসূল (সা) বলেন যখন দুজন মুসলমান তরবারি নিয়ে একে অপরকে আক্রমণ করে তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি উভয়ই জাহান্নামি হয়।তাকে জিজ্ঞাসা করা হল যে হত্যাকারীর কথা তো বুঝলাম কিন্তু নিহত ব্যক্তির ব্যাপারে তো বুঝলাম না? রাসূল (সা) বলেন সে তার প্রতিপক্ষকে খুন করতে এসেছিল (বুখারী, মুসলিম, আহমেদ)
ইমাম ও মুহাদ্দিসগণ এ হাদিস এর তাৎপর্য প্রসঙ্গে বলেছেন যে কোনো অবৈধ সার্থ ও শত্রুতা বা বিদ্বেষবশতঃ একে অপরের মধ্যে সংকট হলে এ হাদিস প্রযোজ্য। আত্মরক্ষা অবৈধ ধন-সম্পদের হেফাজতের উদ্দেশ্যে অস্ত্র ধারণ করলে হাদিস গ্রহণযোগ্য হবে না। কেননা আত্মরক্ষাকারী উদ্দেশ্য পূরণ করা নয় আক্রমণ প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। আক্রমণকারীকে হত্যা না করে যদি আত্মরক্ষা করা সম্ভব হয় তবে সেটাই শ্রেয়।
রসূল (সা) বলেছেন আমার পরে তোমরা একে অপরেৱ হত্যাকারী কাফেরদের মত হয় না। তিনি আবার বলেছেন অবৈধ হত্যাকাণ্ড না ঘটানো পর্যন্ত মানুষের সকল গুনাহ মাফ হওয়ার অবকাশ থাকে। তিনি আরো বলেছেন আমার নিকট কোন ঈমানদার এর হত্যাকান্ড সমগ্র পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার চেয়েও মারাত্মক ঘটনা।
এক হাদীসে আল্লাহর সাথে শিরক করা, নরহত্যা ও মিথ্যা শপথ করাকে সবচেয়ে বড় কবিরা গুনা বলা হয়েছে। রাসূল (সা) বলেছেন পৃথিবীতে যত রকম অন্যায় হত্যাকান্ড সংঘটিত হবে আদম (আ) এর প্রথম পুত্র তার অংশীদার হবে। কারণ সেই সর্বপ্রথম এই হত্যাকাণ্ডের প্রচলন করেছেন। আরও বলেন কোনো অমুসলিমকে হত্যাকারী জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ জান্নাতের ঘ্রাণ ৪০ বছরের দূরত্ব থেকে পাওয়া যায়।
৩ঃঃ- যাদু-টোনা করা
আল্লাহ তায়ালা বলেন শয়তানরা কুফরীতে লিপ্ত হয়ে মানুষকে জাদু শিক্ষা দিত( সূরা বাকারা ১০২)
বস্তুতঃ অভিশপ্ত শয়তানেরা মানুষকে জাদু শিক্ষা দিত। আল্লাহর সাথে শিরক করার জন্য হারুত ও মারুত নামক দুজন ফেরেশতাৱ কাহিনী বর্ণনা প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেনঃ
তারা উভয়ই কাউকে জাদু শেখানোর আগে এ কথা বলে দিত যে আমরা পরীক্ষাস্বরূপ কাজেই তোমরা কুফরীতে শামিল হয় না। তারপর তাদের কাছ থেকে মানুষরা এমন জাদু শিখতে যা দ্বারা স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ও সংঘাত ঘটানো যায়। অথচ তারা আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া তা দ্বারা কারো ক্ষতি করতে পারত না। তারা যে জাদু শিখতে তা তাদের শুধু ক্ষতি করত, উপকার করত না। আর একথা জানিয়ে দিত যে যে ব্যক্তি জাদু আয়ত্ত করবে কিয়ামতের দীন তার কোন অংশ পাওনা নেই (সূরা বাকারা ১০২)
এজন্য বহু পথ ভ্রষ্ট লোককে জাদুর আশ্রয় নিতে দেখা যায়। গুমরাহি লোকদের ভ্রান্ত ধারণা যে এটা নিছক হারাম কাজ। মূলত তা যে কুফরি কাজ তারা তা বুঝতে পারত না। পর পুরুষের সাথে কোন মহিলার প্রেম প্রণয়ন সৃষ্টি। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ ঘটানোর কাজে এমন সব রহস্যপূর্ণ মন্ত্র পাঠ করে জাদু করা হয় যা অধিকাংশ শিরক পরিপূর্ণ।
জাদুকরের জন্য ইসলামী বিধান মৃত্যুদণ্ড। কারণ তা আল্লাহর সাথে সরাসরি কুফরীতে সম্পর্কযুক্ত। রাসুল সাঃ বলেন যে সাতটি কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে বলেছেন তাতে জাদু সম্পর্কযুক্ত। সুতরাং আল্লাহকে ভয় করা উচিত এবং দুনিয়া ও আখেরাতের উভয়ই জায়গায় ক্ষতিকর এমন কাজের ধারে কাছে যাওয়া উচিত নয়।
হাদিসে আছে যাদুকরের শাস্তি তরবারির আঘাতে তাকে খতম করা। (তিরমিজি)
ইবনে আবদা বলেছেন হযরত ওমর (রা) ইন্তেকালের এক বছর আগে আমাদের কাছে এ মর্মে ফরমান আসে যে জাদুকর স্ত্রী বা পুরুষ হোক তাকে হত্যা কর।(বুখারী)
হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ বলেন আমি ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই যে জাদু করে, যার জন্য জাদু করা হয়, যে ভবিষ্যৎবাণী করে, যার জন্য ভবিষ্যৎবাণী করা হয়, যে শুভ অশুভ লক্ষণ বিশ্বাস করে বা কাউকে বিশ্বাস করতে উপদেশ দেয় তারা আমাৱ বান্দা নয়।
হযরত আলী (রা) বলেনঃ গণক জাদুকর উভয়েই কাফের। হযরত আবু মুসা আশ'আরী (রা)বলেন রাসূল (সা)বলেছেন তিন ধরনের লোক জান্নাতে যাবে না (১) মদ্যপায়ী(২)রক্তসম্পর্কীয় আত্মীয়তা ছিন্নকারী (৩) জাদুর ওপর আস্থা স্থাপন করি
(মুসনাদে আহমাদ)
হযরত ইবনে মাসউদ (রা) হতে বর্ণিত আছে ঝাড়ফুঁক তাবিজ ও জাদুতে বিশ্বাস করা শিরক । আল্লাহর ইচ্ছা অনুগ্রহ ছাড়া এসবের কোনো উপকারিতা নেই। এরূপ বিশ্বাস করলে তাবিজ তোমার ঝাড়ফুঁকে দোষ নেই তা অনৈসলামিক ভাষায় লিখিত না হয়।
জাহেলীরা নিজেদের এবং সন্তান গৃহপালিত পশু পাখিদের শরীরে এ নিয়তে তাবিজ ধারণ করে যে তাতে বদ নজর থেকে হেফাজতে থাকবে। এগুলো চরম মূর্খতার কাজ। এছাড়া যারা এ জাহিলী কাজে লিপ্ত হয় এবং এর ওপর ঈমান রাখে সেই শিরকে লিপ্ত হয়েছে। স্বামীৱ মন স্ত্রীর প্রতি ঘোরানোর জন্য মন্ত্রর প্রয়োগ করা জাদুর মধ্যে গণ্য এটা এজন্য শিরক যে মূর্খদের বিশ্বাস এর দ্বারা আল্লাহর নির্ধারিত তাকদীর পরিবর্তন করা যায়। ইমাম খাত্তাবি( রা) তায়ালা বলেছেন কোরআনের আয়াত অথবা আল্লাহর নামে লেখা তাবিজ বা ঝাড়ফুঁক বৈধ কেননা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম স্বয়ং হাসান ও হুসাইনকে তাবিজ লিখে দিয়েছিলেন
ভুল ত্রুটিগুলো মাফ করবেন।মানুষ বলতেই ভুল হয়।
ধন্যবাদ
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
RONI[EAGLES OF THE SEA]
Golpobuzz ৩ বছর, ৬ মাস পুর্বেরেহনুমা আহমেদ
Golpobuzz ৩ বছর, ৬ মাস পুর্বে