বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
লেখক:অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় হৃদয় [MH2]
সবই শুয়ে পরতে গেল।আমিও পাহারা দেওয়ার জন্য তৈরী হলাম।পশ্চিম দিকের তাবুগুলোর সামনে বসে আছি।হাতে রাইফেল আছে, আর সামনে আছে বিস্তির্ণ ময়দান।এই ময়দানের কিছুট দূরে বিশাল গাছে ভরা অরণ্যকে দূর থেকে দেখতে একদম ছোট দেখাচ্ছে,আর চাঁদের আলোয় খানিকটা রহস্যময় মনে হচ্ছে।চারিপাশটা কয়েকবার করে দেখে নিলাম, তাবুগুলোর পাশ দিয়ে একবার ঘুড়েও আসলাম।নাহ্, কোনো বিপদজনক জন্তুর দেখা নেই। আশা করা যায় এই খোলা মাঠে আমাদের জন্য বিপদজনক কিছু নেই। তাই নিস্তব্দ প্রকৃতিকে উপভোগ করলাম।পাশের তাবুগুলো থেকে কারও কারও নাক ডাকার শব্দ হচ্ছে।এরকম শব্দ রাতের বেলায় কারও কারও বিরক্তি ধরায়,আবার কারও কারও মাঝে ঘুমের আভাস এনে দেয়।তবে আপাতত আমার মধ্যে বিরক্তি বা ঘুম কোনোটা আসছে না। আমি এখন এই নিস্তব্দ প্রকৃতিতে একলা জেগে থাকা রাতজাগা প্রাণী,ভুল বললাম, শুধু আমি একলা জাগ্রত নই,অনেক প্রাণী আছে যারা নিশাচর,আর জিজে'সদের মধ্যে যাদের নিদ্রাহীনতা রোগ আছে যেমন মেহেদী ভাই, ঝুমুর আপু তারাও হয়তো কেউ কেউ জেগে আছে।আজ আরেকটা জিনিস খুবই আকর্ষণীয় মনে হলো আমার কাছে, তা হলো পূর্ণিমা রাত।আজকের পূর্ণিমাটা অনেক বেশি সুন্দর লাগছে কারণ এতোকাল লোকালয়ে থেকে দেখতাম,আজ একটা খোলা মাঠে বসে দেখছি,তাই হয়তো এরকম অধিক সুন্দর লাগছে। এরকম পূর্ণিমার রাতে সকলের মাঝে কবিত্ব জেগে উঠা স্বাভাবিক।আমার মাঝেও জেগে উঠল।মনে মনে কবিতা বানিয়ে ফেললাম,এবার কাজ হলো একটু শব্দ করে কবিতাটা আবৃত্তি করা, স্কুলে থাকতে একবার আবৃত্তি করায় পুরষ্কার পেয়েছিলাম।অনেক দিন আবৃত্তি করি না,আজ না হয় আবার দেখে নেয়া যাক প্রতিভাটা সত্যিই আমার মাঝে আছে কিনা।আমি কবিতা আবৃত্তি শুরু করলাম:
আজকের এই চাঁদনি রাতে,
কারও মন হয়তো ঘুমের দেশে,
আর কারও কারও বিনিদ্র রাত জাগে,
আজ আমি এই চাঁদনি রাতে বসে আছি একা এই খোলা মাঠে,
মাথার উপরে গোল চাঁদ মামা,
সেই চাঁদের মাঝে,,,
আর আবৃত্তি করতে পারলাম না।তার আগেই মাটিসহ সবকিছু হালকা কেঁপে উঠতে লাগল।আর সেই রহস্যময় শব্দ "ধপাস" হতেই লাগল।আজ অন্যদিনের চেয়ে একটু জোরেই হচ্ছে শব্দ।কিন্তু মাটিও কাপছে, সব জিজে'সরা চিৎকার দিয়ে বেরিয়ে এল তাবু থেকে।তবে তখনও কেউ কেউ জাগে নি।যেমন মফিজুল,ফারহান, সিয়াম, অন্যদিকে সারা, সুস্মিতা, শিখা,তৌমি এরা উঠে নি।বাইরে কী হতে পারে তা নিয়ে তাদের মাঝে কোনো ভাবাবেগই নেই।ওরা তো জানেও না মনে হয় যে ভূমিকম্পের মতো কিছু হচ্ছে। আমি গিয়ে ফারহানকে ডাকতে গেলাম।বেচারা আরামসে নিজের মতো করে ডান দিকে কাত হয়ে হালকা বেকে ঘুমিয়ে আছে।
আমি: এই ফারহান, ফারহান, ঘুম হতে উঠো।
ফারহান ঘুম জড়ানো কন্ঠে জবাব দিল,,,
ফারহান: কে ভাই তুমি??? ডেকো না তো,আমি ঘুমাব।ঘুমাতে দাও
আমি: ফারহান উঠো,বাইরে ভূমিকম্প হচ্ছে।
ফারহান: কী,বাইরে ভূমিকম্প হচ্ছে।
ফারহান লাফিয়ে ঘুম হতে উঠল।বাইরে এলাম। বাইরে সবাই কোলাহল করছে।ধপাস করে শব্দ হওয়াটা মনে হয় কিছুটা দূরে চলে গেছে,আর সবকিছু কাঁপতে থাকাও থেমে গেল।
মি.A: আমি স্টপ ওয়াচ দিয়ে দেখলাম পুরো পাঁচ মিনিট ধরে শব্দটা হলো আর কম্পনও হলো।
সাঈম ভাই: পাঁচ মিনিট ধরে ভূমিকম্প হবে??? তাও এটা তো খুবই হালকা মাত্রার ভূমিকম্প ছিল।
রুবি আপু: হিমু ভাই, আপনি তো শুধু ভুমিকম্প নিয়েই ভাবছেন,তার সাথে যে শব্দ হলো তাকে কী বলবেন???
সাঈম ভাই: শব্দটা অনেক কিছুর হতে পারে।
ফারহান: ফেলুদা শব্দটা কি কোনো ফাটলের??? ধর মাটি কোথাও খুব ফাটল হচ্ছে,আর এই কম্পনটার পিছনেও হয়তো ওই মাটি ধ্বসে গিয়ে ফাটল হওয়ার কারণটা দায়ী।
সাঈম ভাই: হতে পারে।তোপসে।
রুবি আপু: ফারহানের কথাটা ঠিক।তবে এটাও তো হতে পারে যে অ্যামাজনের কোনো উপজাতিরা আফ্রিকার উপজাতিদের মতো ঢাক ঢোল বাজায়।হয়তো তারা এই ভূমিকম্পের ফলে আশেপাশের উপজাতিদের সতর্ক করে।
মফিজুল: রনি ভাইয়ের সাথেই তো আকিতা ভাবী আছে, ওনিও তো এই অ্যামাজনের মেয়ে।ওনাকে জিজ্ঞেস করা যাক।রনি ভাইইই
রনি ভাই: ডাক কেন???
সারা: ভাইয়া,আকিতা ভাবীর কাছে জিজ্ঞেস করুন তো এই এলাকায় এমন কোনো উপজাতি আছে কিনা যারা ঢাক ঢোল বাজায় রাতের বেলা।
রনি ভাই: আচ্ছা আমি আকিতা আর ওর দলের লোকদের জিজ্ঞেস করে আসছি।
শিখা: রনি ভাই তো গেল জিজ্ঞেস করতে।কিন্তু এর পিছনে তো অন্য কোনো কারণ নেই তো আবার???
মেহেদী ভাই: অন্য কারণ তো মাথায় আসছে না।
তানিম ভাই: সুন্দরবনে তো সাউন্ড বক্সের শব্দে আমাদের ভয় দেখানো হতো।কিন্তু এখানে সাউন্ড বক্স বা সাউন্ড বক্স বাজানোর লোক কই???
মেহেদী ভাই: আমরা তো সঙ্গে করে এসব আনি নি।
হৃদয়: আচ্ছা আপনারা সাউন্ড বক্স বিষয়টা বাদ দিন।একটা বিষয় কিন্তু সবসময় কমন,তা হলো মাঝরাতেই শব্দ হয়।
আমি: হ্যা,মাঝরাতে এই সময়ে বারকয়েক শব্দ হয়।তারপর দূরের দিকে মিলিয়ে যেতে থাকে।
আনিকা: আচ্ছা এমন কিছু হচ্ছে না তো,যে আমরা ওই শব্দের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
সু্স্মিতা: হ্যা,হতে পারে আপু।কারণ আমরা যতো সামনে যাচ্ছি ততো শব্দটা জোরে এবং বেশি করে হচ্ছে।
সিয়াম: হ্যা,এই কথাটা তুমি ঠিক বলেছ।
আনিকা:আচ্ছা সামনে কোনো আগ্নেয়গিরি নেই তো???
নায়রা: কী জানি আপু??? সামনে আগ্নেয়গিরি থাকলে ম্যাপে বলা হতো।
ফাহাদ: নায়রা ভুলে যেও না,এই জায়গাটা অনাবিষ্কৃত। তাই ম্যাপে কিছু উল্লেখ নাই।
নায়রা: হুমম,তাই তো অসুবিধায় আছি।
ইভা: ওই দেখ রনি ভাই আসছে।দেখি ওনি কী বলেন।
রনি ভাই অ্যামাজনের উপজাতিদের সাথে কথা বলে আসলেন।কিছুটা উদ্বিগ্ন মনে হচ্ছে ওনাকে।
তৌমি: রনি ভাই,উদ্বিগ্ন কেন??? কী বলেছে ওনারা???
রনি ভাই: ওদের সবার সাথে কথা বললাম।ওদের যারাযারা এ জায়গায় এসেছে তারা বলেছিল নাকি এ এলকায় আরও গভীরে ওই কূপের আশেপাশে নাকি কোনো প্রাণী আছে,যারা চলাচল করলে করলে ঠিক এমন শব্দ হয়।আর এ জায়গায় যাওয়ার পথে নাকি মানুষখেকো উপজাতি আছে।
সুরভি: কীঈ মানুষ খেকো উপজাতি আছে???তাহলে তো জীবণে প্রথমবার মানুষখোরদের দেখব। ওরা কেমন হয় তাও দেখব,
পুষ্পিতা:অতো খুশি হয়ো না আপু, মানুষখেকো ধরতে পারলে তোমায়ও ছেড়ে দিবে না।আরেকটা কথা মানুষখেকোরা সংখ্যায় কত???
রনি ভাই: সংখ্যায় অতো বেশি না।হয়তো পঞ্চাশজন।
তুবা: উয়াক থু, মানুষকে মানুষ কী করে খায়???
তানহা: মানুষের মাংস ওদের খাবার ওরা এসবই খায়।
মাহিন: ওরা মানুষের মাংসে স্বাদ পায়।হি হি হি,,,
রেহনুমা আপু: আরে আর কতো কথা বলবে??? এখন চলো সবাই ঘুমাই।
ঝুমুর আপু: একটু ঘুমিয়েছিলাম,সব ঘুম বাদ দিয়ে দিল।
মেহেদী ভাই: আমারও এক দশা।আর ঘুম আসবে কিনা আল্লাহই জানে।
তাহিরা আপু: আর কথা নয়।সবাই চল।
সবাই ঘুমাতে গেল।আমিও ঘুমাতে গেলাম।আগুণ জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে চারপাশে।ফলে বন্য জন্তুরা আসবে না।
সকাল,,,
সকাল বলতে ফজরের নামাজ পড়ার পরই আমরা রওনা হলাম।কারণ প্রচন্ড গরম এই অঞ্চলে। দেরী করে রওনা হলে গরমের মুখে পড়তে হবে।রাতের ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলতে বলতে হাটতে লাগলাম সবাই। প্রায় দেড় ঘন্টা হাটার পর আমরা গাছে ঢাকা জায়গায় পৌছালাম।T.R. smith এই পথের কথা বলেছিল। আমরা ঠিক জায়গায় এসে পৌছে গেছি।কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম।তারপর খাবার ব্যাবস্থা করতে শুরু করলাম সবাই মিলে।সবার পেটেই প্রচন্ড খিদা পেয়েছে।টিন হতে ভাজা মাংস,আর পাউরুটি দিয়ে স্যান্ডউইচের মতো বানিয়ে সবাই খেতে লাগলাম। খাওয়া শেষে পানি খেলাম। ভালোই খাওয়া হলো।গাছে হেলান দিয়ে বিশ্রাম নিতে লাগলাম। সবাই কথা বলছি,হাসি মজাও হচ্ছে।কিন্তু একটা তীর আমাদের সেই হাসি মজা শেষ করে দিল।তীরটা উপরের দূরের একটা গাছ থেকে এসেছে, তীরটা আমার খুব কাছ দিয়ে গিয়ে মাটিতে বিধে গেল।বাঁশ বা এরকম কিছু দিয়ে অথবা কাঠ দিয়ে বানানো তীর,মাথার ফলাটাও শক্ত কাঠ দিয়ে বানানো।মনে হয় ওরা লোহার ব্যাবহার জানে না।তীরটা যখনই মাটিতে পরল সবার কোলাহল বন্ধ হয়ে গেল।তৎক্ষণাৎ সকলের নজর তীর যেদিক থেকে এসেছে সেদিকে চলে গেল। কিন্তু মি.A আমাদের ওইদিকে না তাকিয়ে উল্টোদিকে তাকাতে বলল।
আমি: কেন উল্টো দিকে তাকাব???
মি.A :এটা ওদের কৌশল,ওরা একটা তীর ওইদিক দিয়ে ছুড়েছে,যাতে আমাদের নজর ওইদিকে থাকে,আর তখন ওই মানুষখেকোগুলো আমাদের পিছন থেকে আঘাত করতে পারে। রনি তুমি ওইদিকে খেয়াল রাখ।
রনি ভাই: আচ্ছা।
আমরা অন্যদিকে তাকিয়ে দেখলাম ১৫ জনের মতো যুদ্ধা, তীর হাতে এগিয়ে আসছে।বিচিত্র রকমের সাদা , লাল,সবুজ আর হলুদ মিলিয়ে বিচিত্র উল্কি আঁকা।গাছেও কয়েকজন বানরের মতো লাফিয়ে লাফিয়ে চলে আসছে।আমরা বন্দুক নিয়ে প্রস্তুত হলাম। মেয়েদের আমাদের বেস্টনির মাঝে থাকতে বললাম।
মফিজুল: মি. A এদের তীরে কি বিষ মাখনো আছে???
মি.A : আমার তো মনে হয় না।কারণ বিষ মিশানো তীর থাকলে আমাদের রক্তে বিষ এসে যাবে।তাহলে ওরা আমাদের খেতে পারবে না।
ফারহান: যাক,একটা দিক দিয়ে নিশ্চিন্ত হওয়া গেল।
আমাদের নিশানার কাছাকাছি চলে এসেছে উপজাতিগুলো।আমাদের সঙ্গে থাকা উপজাতি যোদ্ধারাও তাদের তীর ধনুক বের করল।মি.A এর নির্দেশে তারা গাছের দিক দিয়ে যারা আঘাত করছে তাদের তীর মারবে।আমরা গুলি চালালাম।সরাসরি কারও পেটে বা বুকে বা মাথায় মারছি না।সব গুলিই ওদেড হাত এবং ধনুক লক্ষ্য করে মারছি।কারণ ওদের মেরে ফেলা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।আমাদের বন্দুক থেকে আগুনের ফুলকির মতো বেরমো বুলেট দেখো ওরা ভয় পেয়ে গেল।কারণ মনে হয় আগে এসব দেখে নি। কয়েকটা গুলি খেয়েই ওরা পালাল। তবে ঝামেলা হলো গাছের উপজাতিদের নিয়ে।ওদেরকে গুলি করলেও গাছের ডালে আটকে যায়।বানরের মতো ওরা লাফাতে পারে, তাই এক ডাল থেকে আরেক ডালে যাচ্ছে খুব সহজে,ঘায়েল হচ্ছে না।বেশ কয়েকবার আমরা তীর খেতে গিয়েও কোনোমতে বাঁচলাম।তাই রেগে গিয়ে গুলি করা শুরু করলাম।এবার ওরা ভাগল। তবে একটা বিপদ রেখে গেল।একটা ২৫ ফুট লম্বা অ্যানাকোন্ডা ছেড়ে দিয়ে গেল।ওদের পোষা সাপ মনে হয় এটা। অ্যামাজনে কিছু কিছ জাতি সাপ পোষে,তাদোর মাঝে এরাও অন্যতম।সাপটা নিচের দিকে নামতে লাগল গাছ থেকে।আমরা একসাথে গুলি করতে লাগলাম।তবে মিস যেন না করি তার জন্য আমরা লক্ষ্য স্থির করে তারপর গুলি করছি।বেশ কয়েকবার গুলি খাওয়ার পর সাপটা মরল।আমরাও হাপ ছেড়ে বাচলাম। এবার চারপাশটা পর্যবেক্ষণ করে নিলাম, তারপর বসে বিশ্রাম নিতে লাগলাম সবাই।সবই খুব ক্লান্ত।
এখন বিশ্রাম নিব।তাই পরের পর্বের অপেক্ষা করুন
[কেমন লাগল??? আমি চরিত্রে নিজেকে কল্পনা করে পড়বেন।ভুল নজরে আসলে দয়া করে বলবেন]
বি.দ্র.: যথেস্ট সময় এবং মেধা ব্যায় করে গল্প লিখি,তাই আমার নাম দেওয়া ছাড়া কপি করবেন না।
চলবে,,,
আল বিদা,,,
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
হৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বে♥Samir♥
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেMehedi Hasan Prova
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেMehedi Hasan Prova
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেMehedi Hasan Prova
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেFariha tasnim oishe
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেFariha tasnim oishe
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেPRINCE FAHAD
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেLutfun Nahar (Sabira)
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেSaif sayed
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেMofizul
Golpobuzz ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেNaiRa AhmEd
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেFarhan
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেসখিনা আক্তার রিমা
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেলাকি
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেLutfun Nahar (Sabira)
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেশিখা
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেM.H.H.RONI
Golpobuzz ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেToumi
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেLutfun Nahar (Sabira)
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেToumi
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেরুবাইয়া ইসলাম
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেসিয়াম
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেLutfun Nahar (Sabira)
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেRobin Hasan [Mahin]
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেRobin Hasan [Mahin]
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেSushmita
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেRobin Hasan [Mahin]
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেSushmita
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেSᴋ᭄Sᴀʙɪʀᴮᴼˢˢ
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেSushmita
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেMofizul
Golpobuzz ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেSHUVO SUTRADHAR
Golpobuzz ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেতানিম
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বে