বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

➤চেষ্টাই সফলতা➤

"জীবনের গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান SHUVO SUTRADHAR (০ পয়েন্ট)

X আদনান বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। আদনান খুব ভাল ছাত্র। তার বাবা ছিলেন একজন রিক্সাচালক। রিক্সাচালক হলেও খুব ভালই চলছিল তাদের। কিন্তু আদনান যখন ষষ্ট শ্রেনিতে পড়ত তখন আকস্মিকভাবে আদনানের বাবা মৃত্যুবরন করেন। তখন যেন বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো ছিল তাদের পরিবার। সেই ছিল একমাত্র ব্যাক্তি যার অক্লান্ত পরিশ্রমে একমুঠু ভাত জুটত কিন্তু সেই যখন! একদিকে আদনানের পড়ালেখা অন্যদিকে তার পরিবার। কি করবে ভেবেই পাচ্চিল না আদনান। তবে সে এটা জানত চেষ্টা করলে অবশ্যই সফলতা আসে। তারপর সে সিদ্বান্ত নেয় রিক্সাচালিয়ে সে লেখাপড়া করবে এবং তার মায়ের মুখে একমুঠু ভাত দিবে। সে ভোর পাঁচটার সময় ঘুম থেকে উঠে একঘণ্টা পড়ালেখা করে ছয়টা থেকে একটানা সাড়ে আটটা প্রর্যন্ত রিক্সাচালিয়ে বাড়িতে চলে আসে। তারপর গোসল করে ভাত খেয়ে সে স্কুলে যায়। সে প্রত্যেকদিন স্কুলে যাওয়ার সময় ব্যাগে করে একটি লুঙ্গি নেয়। কারন তার স্কুলে যাওয়ার পথে একটি নদী পার হতে হয়। নদীটি পার হতে পাঁচ টাকা লাগে। মোট দশ টাকা লাগে। আদনান স্কুলে যাওয়ার সময় নদীটি পাঁচ টাকা দিয়ে পার হত আর যখন আসত তখন সে লুঙ্গি পড়ে সাতঁরিয়ে আসত শুধুমাত্র পাঁচটি টাকা বাঁচানোর জন্য। স্কুল শেষে বাড়ি আসত পাঁচটার সময়। বাড়ি আসার পর ভাত খেয়ে আবার চলে যায় রিক্সাচালাতে। তখন রিকসাচালাত রাত আটটা পর্যন্ত। তারপর বাড়িতে আসত এসে গোসল করে পড়তে বসত। আদনান তখন পড়ত রাত বারটা পর্যন্ত তারপর ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ত।এভাবে সে এইসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফেলে আজ তার রেজাল্ট। সে রিক্সা চালিয়ে এক ব্যাক্তিকে নিয়ে তার স্কুলের পাশ দিয়ে যাচ্ছে। সে দেখতে পেল অনেকেই রেজাল্ট পেয়ে আনন্দ করে স্কুল ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে আসছে আবার কেউ বিমুখতা নিয়ে। তখন সে যে ব্যাক্তিটিকে নিয়ে যাচ্ছিল তাকে..... আদনানঃ এই যে ভাই আমি একটু স্কুল থেকে আসি আপনে একটু দাড়ান। ব্যাক্তিটিঃ আরে তোমি একজন রিক্সাচালক তোমি স্কুলে গিয়ে কি করবে। স্কুলে ত আজ এইসএসসির রেজাল্ট দিচ্ছে। আদনানঃ ভাইয়া গিয়েই চলে আসব খুব দরকার। ব্যাক্তিটিঃ কোত্থেকে যে আস তোমরা আাচ্ছা যাও চলে আস শিঘ্রই আমার খুব তাড়া আছে। আদনানঃ ধন্যবাদ ভাই যাব আর আসব। তারপর সে স্কুল ক্যাম্পাসে ভিতর গেল। আর এদিকে ব্যাক্তিটি তারজন্য অপেক্ষা করছে। প্রায় পনের মিনিট হয়ে গেল সে আসছেনা। এত সময় সে ক্যাম্পাসের ভেতর কি করছে! ব্যাক্তিটি তাখে খুঁজতে স্কুল ক্যাম্পাসের ভেতর ঢুকল। ঢুকে দেখে সে মাটিতে বসে কাঁদছে। ব্যাক্তিটিঃ কিহ তোমি কাদঁছ কেন? তোমার কি কোনো আত্মীয় ফেল করেছে নাকি? আদনানঃ না ভাই। ব্যাক্তিটিঃ তাহলে কি হয়েছে বল? আদনানঃ আমি এইসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পাইছি। ব্যাক্তিটিঃ তোমি পড়ালেখা কর রিক্সাচালিয়ে! আর সেটা তো খুশির খবর তাহলে কাঁদছ কেন! আদনানঃ আমাকে এখন কলেজে ভর্তি হতে হবে এতগুলো টাকা আমি কিভাবে যুগার করব তার চিন্তায়। তার প্রতিভা দেকে লোকটি বৃস্মিত হয়ে গেল। ব্যাক্তিটিঃ আমি তোমাকে ভর্তির জন্য টাকা দিব এবং যখন যা প্রয়োজন আমি তোমাকে দিব। তোমিই ত জাতির ভবিষ্যৎ। তোমার মতো ব্যাক্তিটি এভাবে হেরে যেতে পারে না। তারপর ব্যাক্তিটির প্রচেষ্টায় সে কলেজে ভর্তি হয়। এভাবে সে পড়লেখা সমাপ্ত করে সে এখন একটি ব্যাংকে কর্মরত। সে তার মাকে নিয়ে সুখে আছে। এই গল্পটি আমার অনুভূতির প্রতিফলন মাত্র। [আমার প্রকাশিত গল্পসমূহ সব আমার নিজের লেখা তাই দয়া করে আমার নাম ব্যাতিত লেখাগুলো কপিরাইট করবেন না]


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৫৭৩ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now