বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
ক্লাশ কয়েকদিনের জন্য ছুটি ।
পড়াশুনার ঝামেলা নাই ।
সবাই একত্রিত হয়েছে পাজয়ে ।
পাবন,শুভ,জয়,অরকিয়া,সাজিদ,রিহা,
রিয়া,নোমান আর নাঈম । এই ছুটির
দিনগুলো কি করে কাটাবে তাই ভাবছে
ওরা । অনেক ভেবে পাবন
বলল,"সীমান্তের শেষের দিকে অনেক
বড় একটা জঙ্গল আছে, আমরা তো সবাই বন-
জঙ্গল খুব পছন্দ করি । চল কালকে সবাই
মিলে সেখানে গিয়ে বনভোজন করি ।
সারাদিন মজা করবো । রাতটা বনে
তাবুতে কাটিয়ে সকালে চলে আসবো।"
সবাই সানন্দে রাজি হল পাবনের কথায় ।
পরদিন সকাল ।
সবাই যার যার ব্যাগ নিয়ে হাজির হল
পাজয়ে । একটা ব্যাগে নেওয়া হল সব
খাবার দাবার, প্লেট আর পানির বোতল ।
অন্য ব্যাগে নেওয়া হল তাবু বানানোর
সরঞ্জামাদি ।
সকাল ৮টার মধ্যেই বনে পৌঁছে গেল ওরা
। বনে এসেই শুভ চাপাস্বরে পাবনকে
বলল,"জঙ্গল দেখলেই কেমন যেন ভয় ভয়
লাগে । পাবন বলল,"কেন ?" শুভ বলল,"মনে
হয় এই বুঝি অরকিয়া আমার ঘাড়ে চেপে
বসে রক্ত খেতে আসছে ।" পাবন
বলল,"তোর খালি কাল্পনিক চিন্তাভাবনা ।
ওইরকম কিছু হওয়ার কোন সম্ভাবনা আর নেই
। এখন চল তাবু বানাতে হবে ।"
বনের মধ্যে খোলা একটা জায়গা ওরা
নির্বাচন করলো তাবু বানানোর জন্য ।
জায়গাটা বনের এক পাশে । পাশে তরতর
করে বয়ে যাচ্ছে ছোট একটা নদী । নদীর
অপর পাড়েই উচুঁ পাহাড় । এর ঝর্ণার পানি
থেকেই তৈরী হয়েছে ছোট নদীটা ।
পাবন,জয়,নোমান আর নাঈম তাবু বানানোর
কাজ শুরু করলো । সাজিদ,রিহা আর রিহা
গেল কাঠ সংগ্রহে । অরকিয়া আর শুভ গেল
ঝর্ণা থেকে পানি আনতে । অরকিয়ার
থেকে একটু দূরে হাটঁছিলো শুভ । অরকিয়া
একটু অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলো,"কিরে
তুই দূরে দূরে হাটঁতেছিস কেন ?" শুভ সত্য
কথাটা গোপন করে বলল,"কি সব
আজেবাজে পারফিউম ব্যবহার করিস । কি
বাজে ঘ্রাণ ?" নাক সিটঁকালো শুভ ।
অরকিয়া একটু রেগে গিয়ে বলল,"কি
বলতেছিস এগুলো ? আমার মামা বিদেশ
থেকে এই পারফিউম পাঠিয়েছে । কত
দামী জানিস ? আর তুই কিনা বলতেছিস
বাজে ।" শুভ অরকিয়াকে রাগতে দেখে
হেসে বলল,"এইসব বিদেশী জিনিস
বিদেশে গিয়ে ব্যবহার করবি । এই জঙ্গলে
না ।" আরও রেগে গেল অরকিয়া । তেড়ে
আসলো শুভর দিকে । দৌড় দিল শুভ ।
পিছনে অরকিয়া ।
দৌড়াতে দৌড়াতে ঝর্ণার কাছে চলে
আসলো ।
দুই.
পানি নিয়ে ফিরে আসলো অরকিয়া ও শুভ।
কিছুক্ষণ আগেই কাঠ নিয়ে ফিরে এসেছে
সাজিদ, রিয়া আর রিহা । এদিকে তাবু
বানানোর কাজও শেষ করে ফেলেছে
পাবনরা । জয় বলল,"চল এবার সবাই একসাথে
নাস্তা করে নেই ।" সবাই একসাথে
নাস্তাপর্ব শেষ করলো । সারাদিন হৈ-
হুল্লোড় আর মজা করেই কাটিয়ে দিল ওরা
।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলো । আগুন জ্বালিয়ে
তার চারপাশে জড়ো হয়ে বসে গল্প
করতে লাগলো ওরা । হঠাৎ ঘন কুয়াশায়
ঢেকে গেল চারপাশ । কিছু বুঝে উঠার
আগেই চারদিক বন বন করে ঘুরতে লাগলো
। মিনিট তিনেক পর আস্তে আস্তে কুয়াশা
কেটে গেল । সম্পূর্ণ অপরিচিত এক
জায়গায় এসে পড়লো ওরা ।
খোলা এক বালুকাময় প্রান্ত । দূরে একটা
উচুঁ পাহাড় দেখা যাচ্ছে । অবাক বিস্ময়ে
তাকিঁয়ে আছে ওরা । কিছুই বুঝতে পারছে
না । এই তো কয়েক মিনিট আগেও ওরা
বনে তাবুর কাছে ছিল । আর এখন তাবু তো
দূরে থাক জঙ্গলটাও উধাও । চারপাশে তো
বালি ছাড়া কিছুই নেই । ঘোর কাটতেই জয়
চেচিঁয়ে বলল, "কোথায় আসলাম আমরা ?"
তখনই পিছন থেকে একটা কন্ঠ ভেসে
আসলো,"এই প্রশ্নের উত্তর তোমাদের
মধ্যে কেউই জানে না ।" সবাই পিছনের
দিকে তাকিঁয়ে দেখলো দাড়িঁওয়ালা
বৃদ্ধ একটা লোক লাঠি হাতে দাড়িঁয়ে
আছে। পাবন জিজ্ঞাসা করলো,"আপনি
কে ?" রহস্যময় একটা হাসি দিয়ে লোকটা
বলল, "তোমরা আমাকে চিনবে না । কিন্তু
আমি তোমাদেরকে ঠিকই চিনি । তুমি
নিশ্চয়ই পাবন । টু ডট কেমের দলনেতা।
বাকি তোমরা সবাই টু ডট কেমের সদস্য ।"
সতর্ক দৃষ্টিতে বৃদ্ধের দিকে তাকালো ।
পাবনের দিকে তাঁকিয়ে তাচ্ছিল্যের
স্বরে লোকটা বলল,"কি ব্যাপার
গোয়েন্দা মশাই ? ভ্রু কুচঁকে গেল মনে হয়
। জীবনে তো অনেক রহস্যই সমাধান
করেছো । এখন পারলে নিজের আর
নিজের সঙ্গীর জীবন বাঁচাও ।" থতমত
খেয়ে গেল পাবন । কোনরকমে বলল,"
আপনি আসলে কি বলতে চান বুঝিয়ে
বলেন ?"
বৃদ্ধ লোকটা দাড়িতে হাত বুলাতে
বুলাতে বলল,"তোমরা এখন যে সময়টাতে
দাড়িঁয়ে আছো সেই সময়টা বর্তমান
থেকে প্রায় ১৬০০ বছর পূর্বে । আগুনের
ফুলকি ছড়ানো ড্রাগন, মানুষখেকো মানুষ,
সভ্যতা থেকে অনেক দূরের এক আদিম যুগ
এটা । আর এই যুগটা সমতল ভূমি অর্থাৎ মাটির
নিচে । তোমাদের জন্য এখানে প্রত্যক
পদে পদে রয়েছে ভয়ানক বিপদ । একটু
অসতর্ক হলেই নির্ঘাত মৃত্যু । তবে এই যুগটা
বেশিদিন টিকবে না । ধ্বঃস হয়ে যাবে ।
তার আগেই তোমাদের খুজেঁ বের করতে
হবে আন্ডার দ্যা ল্যান্ড নামক বইটা । তবেই
তোমরা কেবলমাত্র মুক্তি পেতে পারো
এই মৃত্যুযুগ থেকে ।ঐ পাহাড় সোজা চলতে
থাকো ।"
পাবন চেচিঁয়ে বলল,"কিন্তু আমাদের
এখানে আনলো কে ? আর এত ভয়ানক
বিপদের মুখোমুখিই-বা করলো কেন ?"
পাবনের কথা শেষ হবার আগেই চারদিকে
বালি কুন্ডলী পাকিয়ে ঘুরতে শুরু করলো ।
আর কিছুই দেখতে পেল না ওরা ।
অদৃশ্য হয়ে গেল বুড়োটা ।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now